ক্যানভাসের দগদগে ঘাটিকেও মুছে ফেলা যাবে;
বুকের নীল যন্ত্রণার দাগ কোন রঙ দিয়ে মোছাবে?
লক্ষ বছর ধরে মহাপৃথিবীর হাওয়ায় ভাসে এতো কম ঘৃণা;
এক জীবনের মোড়ে ঝুড়ি ঝুড়ি ভালোবাসা ফেরি করতে পারো না।
আমারো আছে অ-নে-ক অ–নে—কগুলো তীব্রতম ঘৃণার পাহাড়;
ঘৃণাই জগতদেহ, ঘৃণাই কোমলপথ ঘুরে ফিরে বারবার ভালোবাসবার।
এই, এই আজ শেষদিন, অত্যুজ্জ্বল শূন্যতায় প্রাগৈতিহাসিক স্বপ্নকে রাখি জমা।
সকালে খই ফোটা সুখে, বিকেলে বধির আমি, রাত্রিতে বেওয়ারিশ মৃত অনামা।
ভুলে গেছি, জলের রঙের মতো খুব ভুলে গেছি তোমার রূপ রস রঙ;
এখানে খেলনা পুতুলে ঢেউ তোলে মাংসের রঙিন আড়ঙ।
মহাকালের অতলে তলাবে একালের সেকালের সসীম অসীম সব সীমা;
প্রকৃতি বিছিয়ে রবে, জীবন চলবে বয়ে, রেখে যাবে পদে পদে
কালো কালো অশালীন চুমা।
১৮.১১.২০০১; সূর্যসেন হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
চিত্রের ইতিহাস: কবিতায় ব্যবহৃত অংকিত চিত্রটি হাইনেস কিং-এর (১৮৩১-১৯০৪) আঁকা চিত্র ঈর্ষা এবং ছিনালিপনা (Jealousy and Flirtation)। শিল্পী চিত্রটি আঁকেন ১৮৭৪ সালে। এখানে চিত্রটিকে নিচের দিকে কিছুটা ছেঁটে ব্যবহার করা হয়েছে।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।