এ পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হতো তুমি বলোতো হচ্ছে গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের লেখা একটি আধুনিক বাংলা গান। গানটি মাঝারি আকারের ১৭ লাইনের একটি বাংলা প্রেমের গান। গানটি সুর করেছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায় এবং গানটি যৌথভাবে প্রথম রেকর্ডিংয়ে ১৯৬১ সালে গেয়েছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায় এবং সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। গানটি ১৯৬১ সালে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনেসপ্তপদী চলচ্চিত্রে উত্তমকুমার ও সুচিত্রা সেনের অভিনয়ে প্রথম দর্শকদের সামনে উপস্থিত হয়।
গানটি গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের একটি গীতিকবিতা। গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের এই গানটিতে আধুনিক বাংলা প্রেমের গানের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো ফুটে উঠেছে। প্রেম, আকাঙ্খা, প্রকৃতি, উদ্দামতা, উচ্ছ্বলতা, সুরেলা আবেশ, সমর্পণ এবং স্মৃতি মিলিয়ে গানটি রোমান্টিকতার এক চূড়ান্ত রূপ।
গানটিতে দুজন ভালোবাসার মানুষের অজানা পথের শেষে হারিয়ে যাবার অনুভূতিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গানটি দীর্ঘ মিলনের আকাঙ্ক্ষাকে কাব্যিকভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। আকাঙ্ক্ষার মানুষটির প্রতীক্ষায় শেষে যে মিলন ঘটেছে তাকে আরো দীর্ঘ করার চেষ্টা দেখা যাচ্ছে। কাব্যিক রূপ গানটির একটি প্রধান দিন দিক। গানটিতে যেসব উপমা আর রুপক ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে যথেষ্ট নতুন ছিল।
গানটি শিশির চক্রবর্তী সংকলিত পত্রভারতী কলকাতা প্রকাশিত দ্বিতীয় মুদ্রণ ডিসেম্বর ২০১৮পাঁচদশকের আধুনিক বাংলা গানের গীতবিতান এ শুধু গানের দিন গ্রন্থের ৪০৩ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত রয়েছে। এছাড়াও গানটি সুধীর চক্রবর্তী সংকলিত ও সম্পাদিত প্যাপিরাস কলকাতা প্রকাশিত প্রথম প্রকাশ ১ বৈশাখ ১৩৯৪ আধুনিক বাংলা গান গ্রন্থে প্রকাশিত রয়েছে। রোদ্দুরে ডট কম গানটি প্রকাশ করতে পেরে আনন্দিত।
এ পথ যদি না শেষ হয় গানটির গানের কথা
এ পথ যদি না শেষ হয়
তবে কেমন হতো তুমি বলোতো
যদি পৃথিবীটা স্বপ্নের দেশ হয়
তবে কেমন হতো তুমি বলোতো।।
কোন রাখালের ওই ঘর ছাড়া বাঁশীতে,
সবুজের ওই দোল দোল হাসিতে ।।
মন আমার মিশে গেলে বেশ হয়
যদি পৃথিবীটা স্বপ্নের দেশ হয় ।।
তবে কেমন হতো তুমি বলোতো
নীল আকাশের ওই দূর সীমা ছাড়িয়ে,
এই গান যেন যায় আজ হারিয়ে
প্রাণে যদি এ গানের রেশ হয়,
পৃথিবীটা যদি স্বপ্নের দেশ হয় ।।
তবে কেমন হতো তুমি বলোতো
এ পথ যদি না শেষ হয়
তবে কেমন হতো তুমি বলোতো।।
এ পথ যদি না শেষ হয় গানটির সম্পাদিত চিত্রায়ন ইউটিউব থেকে দেখুন
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।