জায়ফল বা জাতিফল পূর্ব এশিয়া, মালয় ও আমেরিকার উষ্ণপ্রধান অঞ্চল সমূহে জন্মে। সমগ্র পৃথিবীতে এই Myristica গণের প্রায় ৮০টি প্রজাতি পাওয়া যায়, কারও কারও মতে ৮৫টি প্রজাতি বর্তমান। তার মধ্যে ৩০টি প্রজাতির সন্ধান মেলে ভারত, মালয়, আমেরিকা প্রভৃতি অঞ্চলে। এই প্রজাতিটির সংস্কৃত নাম জাতিফল বা জায়ফল। এটির বোটানিক্যাল নাম: Myristica fragrans Houtt. পরিবার: Myristicaceae. ব্যবসায়িক ভিত্তিতে এই গাছটির চাষ হয় মালয়, পেনাং, শ্রীলঙ্কা, জাভা, সুমাত্রা, মালাক্কা প্রভৃতি পূর্বভারতীয় দ্বীপপুঞ্জে। বর্তমানে ভারতের তামিলনাড়ু ও কেরালায় এর কিছু, কিছু, চাষ করার চেষ্টা হচ্ছে।
জায়ফল-এর বিবরণ:
এই গাছগুলি খুব বড় হলেও ৩০ থেকে ৪০ ফুটের বেশী উচু হয় না। চিরসবুজ বৃক্ষ, পাতা পুরু, বেশ শক্ত, কাঁঠাল পাতার মতো, লম্বা ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি ও চওড়া দেড়-দুই ইঞ্চির মতো, পাতার উপরটা সবুজ, উল্টোদিকের বর্ণ ফিকে হরিদ্রাভ ধুসর, ফল আকারে ছোট আর হরিদ্রাভ, অল্প সুগন্ধযুক্ত। ফল ২ থেকে ৩ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হতে দেখা যায়, গায়ে ডোরা ডোরা দাগ, দেখতে আকারে অনেকটা ছোট নাসপাতির মতো।
বর্ষার আগে ফুল ও পরে ফল হয়। স্ত্রী-পুরুষ ভেদে দুই প্রকারের গাছ জন্মালেও স্ত্রীগাছ সংখ্যায় বেশী হয়ে থাকে। ফল পাকলে আপনা আপনি ফেটে যায়, ফলের মধ্যস্থিত বীজের চারিদিকে বিভিন্ন আকারের পাতলা লালচে হ’লদে দেখতে জালের মতো বহিরাবরণ থাকে— সেটা তৈলাক্ত ও ক্ষণভঙ্গর; সেইটাকেই আমরা জৈত্রী বা জাতিপত্রী বলি আর যেটাকে বলি জায়ফল সেটার মধ্যে থাকে এর বীজের শাঁস আর এই বীজের বাইরেটা মসৃণ এবং শক্ত, গায়ে ডোরা দাগ।
ওই তৈলাক্ত বীজের শাঁসটাই ঔষধে ব্যবহত হয়। এই শাঁস থেকে যে তৈল নিষ্কাষিত হয় সেটাকে বলা হয় “Nut meg oil”. এই গণের আর একটি প্রজাতি কঙ্কন, মালাবার, কর্ণাটক প্রভৃতি প্রদেশাঞ্চলে পাওয়া যায়। যার ফলের মধ্যস্থিত নরম দ্রব্যগুলি দেখতে জৈত্রীর মত, কিন্তু সেগুলি অপেক্ষাকৃত মোটা, গন্ধ অনেকটা জৈত্রীর মত, সেগুলি বাজারে রামপত্রী নামেও পরিচিত। এটির বোটানিক্যাল নাম Myristica malabarica. এটা জৈত্রীর সঙ্গে ভেজালও দেওয়া হয়। ঔষধার্থে ব্যবহার হয় জায়ফল এবং জৈত্রী।[১]
জায়ফল-এর গুণাগুণ:
জায়ফল খেলে অরুচি দুর হয়। জায়ফল সুগন্ধযুক্ত গরম মশলায় ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও ব্যবহার করা হয় নানা রকম মিষ্টি বা রান্নায়। ঘরোয়া ওষুধ হিসেবেও জায়ফল ব্যবহার করা। চিকিৎসকদের মতে, জায়ফল সুগন্ধি, পাচক (খাবার জুম করায়), উষ্ণ, বায়ুনাশক, খিচুনি বন্ধ করে। অল্প মাত্রায় খেলে খিদে পায়, হজম তাড়াতাড়ি হয়। পেটফাঁপা, পেটের অসুখ, শূল প্রস্রাব কম হওয়া (মূত্রকৃচ্ছতা) ইত্যাদি অস্বঞ্জি বা অসুখ উপশম করে।
জায়ফল খাবার হজম করায় এবং মলরোধ করে বলে পেটের অসুখ (অতিসার) রক্ত আমাশা যুক্ত পেটের অসুখ (রঞ্জাতিসার), গা বমি ভাব এবং বমি হলে জায়ফলের চুর্ণ পরিমাণ মতো খাওয়ানো হয়। মাথা ব্যথা, বাত, হাত পা আকড়ে যায় (ক্র্যাম্প) প্রভৃতি অসুখে জায়ফলের প্রলেপ লাগালে উপকার পাওয়া যায়। পরোনো বাত বা পক্ষাঘাতে সর্ষের তেলের সঙ্গে জায়ফল ফুটিয়ে মালিশ করলে সুফল পাওয়া যায়।
শাস্ত্র মতে:
আয়ুর্বেদ মতে, তিক্ত, কটুরস, তীক্ষ্ণ, উষ্ণ, রুচিকর, বলকর, লঘু, কফ-বাত-পিত্ত অথাৎ ত্রিদোষীরক, অগ্নিউদ্দীপক (খিদে বাড়িয়ে দেয়), গায়ের রং পরিষ্কার করে (বর্ণপ্রসাদক), মলরোধ করে, স্বরবর্ধক, বায়ু কফ, মুখের অরুচি, মলের দুর্গন্ধ, কৃমি, বমি দূর করে। গায়ের রঙের কালচে ভাব কৃষ্ণবর্ণতা কমিয়ে দেয়। মাথার রোগ, ব্রণ, মেহ, শ্বাস, সাইনাস, সর্দি, হার্টের অসুখে সুফল দেয়। পুরোনো পেটের অসুখ, পেটফাঁপা, খিচুনি, শূল, আমবাত, মুখের দুর্গন্ধ ও দাঁতের ব্যথায় স্বস্তিভাব আনে। খাওয়ার পরিমাণ এক বা দুই গ্রাম। ভাবপ্রকাশ মতে, মুখের মেচেতা বা কালচে নীলচে ভাব দূর করতে জায়ফল ঘষে তার প্রলেপ লাগালে উপকার পাওয়া যায়। সেনের মতে, কুষ্ঠরোগের ক্ষত বা ঘায়ে লাগালে ঘা বা ক্ষতের উপশম হয়।
হাকিমি বা ইউনালি মতে, উষ্ণ প্রকৃতির লোক এবং যাঁদের পিত্তের ধাত তাঁদের ফুসফুস ও যকৃতের পক্ষে জায়ফল অপকারী। জায়ফল খেলে তাঁদের মাথা ব্যথা করবে। কিন্তু যাঁদের প্রকৃতি শীতল তাঁরা জায়ফল খেলে ঠাণ্ডার জন্যে যে সব অসুখ সেগুলোর উপশম হয়ে রতিশক্তি বাড়বে এবং মন প্রফুল্ল হবে। মাত্রা ১ থেকে ২ গ্রাম । জায়ফল খাবার হজম করায়, পাকস্থলী ও প্লীহ সবল করে। জায়ফল খেলে লিভার ও প্লীহার ফুলে ওঠা সেরে যায় এবং পাকস্থলীর বদরস দূর হয়।[২]
সুস্থ থাকতে জায়ফলের ব্যবহার বা প্রয়োগ:
১. বাত ও ব্যথায়: গেঁটে বাতে জায়ফলের তেল মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়। জায়ফলের তেল সর্ষের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে সন্ধি বা গাঁঠের পুরনো ব্যথায় বা ফোলায় মালিশ করলে সেই জায়গাটা গরম হয়ে যায়, অসাড় অঙ্গে সাড় আসে, ঘাম বেরোয়, সন্ধিবাতের জন্যে আড়ষ্ট হয়ে যাওয়া সন্ধিস্থল আবার সচল হয় এবং সন্ধিবাতের (গেঁটেবাত) উপশম হয়।
২. মূত্র সংক্রামণ: সঠিক পরিমাণে খেলে বহুমূত্র (ডায়াবেটিস) রোগ সারে। মূত্রকৃচ্ছ্রে রোগের উপসর্গ কি হয় সে সম্বন্ধে অনেকে জানা আছে। এক্ষেত্রে জায়ফল চূর্ণ ১০০ মিলিগ্রাম মাত্রায় গোক্ষুর ভিজানো জলসহ খেলে কয়েকদিনের মধ্যে ওটার উপশম হবে। গোক্ষুরের জল প্রস্তুত করতে গেলে ৫ গ্রাম গোক্ষুর (বীজ) একটু থেতো করে নিয়ে রাত্রে ১ গ্লাস গরমজলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরের দিন সকালের দিকে তাকে ছেকে নিয়ে ওই জলটা নিতে হবে।
৩. চোখের রোগে: চোখের চুলকুনিতে জায়ফলের প্রলেপ লাগালে উপকার হয়। জায়ফলের সুর্মা পরলে চোখের রোগে উপকার হয়।
৪. পেটের অসুখে: জায়ফল শুকনো খোলায় ভেজে খেলে পায়খানা বন্ধ হয়। জায়ফল ও শুঠ (শুকনা আদা) গাওয়া ঘিয়ে ঘষে চাটালে বাচ্চাদের সর্দির জন্যে যদি পেটের অসুখ করে তা সারবে। জায়ফলের চূর্ণ গুড়ে মিশিয়ে ছোট ছোট গুলি পাকিয়ে নিতে হবে । এই গুলি আধ ঘন্টা অন্তর খাওয়ালে এবং তার সঙ্গে একটু গরম জল খাওয়ালে কলেরার বা আন্ত্রিক রোগের পায়খানা (মল নিষ্কাশন) বন্ধ হয়। জায়ফলের এক দু ফোঁটা তেল বাতাসার বা চিনির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে পেট ব্যথা ও গ্যাস সারে।
৫. কানের অসুখে: তেলের সঙ্গে মিশিয়ে কানে দিলে কানের বধিরতা (কান কালা)। হওয়া সারে।
৬. বমি ও হেঁচকি বন্ধ করে: জায়ফল ভাতের ফ্যানে ঘষে খাওয়ালে হেঁচকি ও বমিভাব সেরে যায়। বিবমিষায় বা বমি এটা কিন্তু রসবহ স্রোতের বিকারে হয় এবং এটা আমাশয়জাত ব্যাধি, অতিসার হলেই যে বমি হবে তা নয়, আমদোষ হলে এই বিবমিষা এসে থাকে। এক্ষেত্রে জায়ফল জলে ঘষে ১০/১৫ ফোঁটা নিয়ে ৭/৮ চা-চামচ জল মিশিয়ে খেলে. ওই বমনেচ্ছাটা চলে যাবে।
৭. পাতলা পায়খানা বন্ধ: জায়ফল, খারিক (কবিরাজি দোকানে পাওয়া যায়) আফিম সমপরিমাণ নিয়ে এবং পানের রসে বেটে ছোলার দানার আকারে গুলি তৈরি করতে হবে। এই হল আয়ুর্বেদের বিখ্যাত ‘জাতিফলাদি গুটিকা’। ঘোলের সঙ্গে এই গুলি খাওয়ালে সব রকমের দাস্ত (পায়খানা) বন্ধ হয়।
৮. অনিদ্রা দূর করে: একটা জায়ফলের এক চতুর্থাংশ গুঁড়া জলে মিশিয়ে খেলে ঘুম ভাল হয়। জায়ফল ঘষে তার প্রলেপ কপালে লাগালে ঘুম ভাল হয়।
৯. দাঁতের সমস্যায়: জায়ফলের তেলে ভেজানো তুলে দাঁতে রাখলে দাঁতের পোকা মরে যায় এবং দাঁতের ব্যথা কমে এবং পাইয়োরিয়া সেরে যায়।
১০. ব্রণ সারাতে: জায়ফলের তেল দিয়ে তৈরি করা মলম লাগালে ব্রণ ঘা ইত্যাদি তাড়াতাড়ি সেরে যায়।
১১. রক্তাতিসারে: যেসব দ্রব্য স্বভাবতই পিত্তবন্ধিকর, যেমন কোন রুক্ষ দ্রব্য, অল্পদ্রব্য, গুরুপাকদ্রব্য—এগুলি প্রধানভাবে খেলে প্রথমে হয় অতিসার, তারপরে ঐ অভ্যাস না ছাড়লে হয় রক্তাতিসার। এক্ষেত্রে এই জায়ফল চূর্ণ মাত্রামত নিয়ে একট ছাগল দুধ মিশিয়ে দু’বেলা খেলে ২/৩ দিনের মধ্যেই রসবহ স্রোতে বায়ুবিকারজনিত যে অতিসার সেটা সেরে যাবে। তবে প্রধানভাবে এর মাত্রা ১০০ মিলিগ্রাম।
১২. অপাক রোগে: যাকে বলে হজম বলতে আর কিছু নেই, যা খাচ্ছেন সেটা কচা-কচা অবস্থায় পরের দিন বেরিয়ে যাচ্ছে, সে মলটাও দুর্গন্ধযুক্ত, দাস্ত হয়ে যাওয়ার পর যেন আধমরা, সুতরাং শরীরের পোষণ তো হয় না। এর কারণটা হলো, আমাশয়ের ও পক্কাশয়ের মধ্যবর্তী যে অন্নবহা নালী, এখানেই থাকে আমাদের প্যান ক্লিয়াস (Pancreas), সেই স্থানটিতে থাকে আমাদের জঠরাগ্নি; এই অগ্নিদ্বারাই আমাদের আহার্য অংশ পরিপাকের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দেয়। রসবহ স্রোত দোষযুক্ত হ’লে এই অগ্নির মান্দ্য হয়, তখন জায়ফল জল দিয়ে ঘষে (চন্দনের মত) ১০/১৫ ফোঁটা আর একটু জল মিশিয়ে খেতে হবে, এর দ্বারা পরিপাক শক্তি বৃদ্ধি হবে এবং অপাকটা কমে যাবে।
১৩. মন্দাগ্নিতে: যাঁরা মাঝে মাঝে পেটের দোষে ভোগেন, কথাটা এই যে, অগ্নির বল যাতে বাড়ে সেসব খাদ্য না খেয়ে প্রায়ই শীতবীর্য দ্রব্য খেয়ে থাকেন, তাঁদের পাচকাগ্নিটা দুর্বল হয়ে যায়, এই যেমন কাঁচা পোস্তবাটা, পুইশাক, ঝিঙে, লাউ, কড়াইডাল (বিউলিডাল) প্রভৃতি খেয়ে খেয়ে এমন হয় যে, কোন জিনিস আর তাড়াতাড়ি পরিপাক হতে চায় না। এই ধরনের পেটের দোষে জায়ফল চূর্ণ সামান্য গরমজল (ঈষদুষ্ণ) সহ ১০০ মিলিগ্রাম মাত্রায় কয়েকদিন খেলে ও অসুবিধেটা চলে যায়।
১৪. অন্যান্য: জায়ফল খেলে মুখ সুগন্ধিত হয়। ঘামের দুর্গন্ধ নষ্ট হয়, বায়ু নিঃসারিত হয়ে যাওয়ার জন্যে বায়ুর আধিক্য কমে যায়। বমি বা গা বমি ভাব সারে, শৈত্যের জন্য মল ত্যাগ হতে থাকলে তা নিবারিত হয়।
হাকিমি মতে, জায়ফল মায়েদের স্তনের দুধ বাড়িয়ে দেয় অর্থাৎ শুন্যবর্ধক। কিন্তু বেশি মাত্রায় জায়ফল কখনোই খাওয়া উচিত নয়। বেশি জায়ফল খেলে লাভের বদলে ক্ষতিই হবে। জ্বর হলে, শরীরে দাহ থাকলে (শরীর জ্বালা করলে) এবং ব্লাডপ্রেসার (উচ্চ রক্তচাপ বেশি থাকলে জায়ফল খাওয়া বা ব্যবহার করা উচিত নয়।[১][২]
জায়ফল-এর বাহ্য ব্যবহার
১৫. হাতে পায়ে খিল ধরা রোগে: যাঁদের হাতে-পায়ে মাঝে মাঝে খিল ধরে তাঁরা যদি জায়ফল দিয়ে তৈরী তেল মালিশ করেন তাহলে ওটা আর হবে না। এই তেল তৈরী করতে জায়ফলকে গুড়া করে নিতে হবে অথবা বেটে নিতে হবে, তারপর কড়ায় ৫০ গ্রাম তেল চড়িয়ে গরম হলে ওই তেল নামিয়ে ৫ থেকে ৬ গ্রাম জায়ফলের গুড়া অথবা বাটা ওই গরম তেলে দিয়ে নেড়ে কোন পাত্র দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। তারপর ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা বাদে ওটাকে ছে’কেও নেওয়া যায় অথবা ঐ গুড়া সমেত থাকলেও ক্ষতি নেই, তবে মালিশের সময় ঐ গুড়া ছে’কে নিতেই হবে।
১৬. শিরঃপীড়ায়: যে মাথা ধরাটা বিকালের দিকে হয়, অথবা কপালের এক দিকটায় যন্ত্রণা হয়, যাকে আমরা “আধকপালে” বলি, এক্ষেত্রে জায়ফল চন্দনের মতো ঘষে সেখানে লাগিয়ে দিলে ওটা কমে যাবে।
১৭. মেচেতায়: এ রোগের নাম সকলেই জানেন এবং কোথায় হয় সেটাও সকলের জানা আছে, তবুও বলি এটা নাকে মুখেই হয়, আবছা হালকা কালো দাগ কারর বা আন্দামান দ্বীপের আকার আবার কারও বা উত্তমাশা অন্তরীপের আকারে দাগগুলো হয়। এটা ঊধর্বগত পিত্ত শ্লেষ্মজ ব্যাধি। এই রোগে জায়ফল ঘষা কয়েক দিন লাগালে নিশ্চয়ই সেরে যাবে।
CHEMICAL COMPOSITION
Myristica fragrans Fatty acids are :- lauric 4%; myristic 71.8%; Palmitic; stearic 1.2%; and linoleic 1.5%. Other constituents are :— B-pinene; p-cymene; d-linalol; diterpene; geraniol; myristicin; carotene as Vitamin-A; starch; furfural; aminodextrine; reducing sugar; resinous colouring material and glycerides. The leaves, bark and flowers contain :- light brown volatile oil and stem contains a tannine mucilage complex.[১]
সতর্কীকরণ: ঘরে প্রস্তুতকৃত যে কোনো ভেষজ ওষুধ নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করুন।
তথ্যসূত্রঃ
১. আয়ুর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্টাচার্য: চিরঞ্জীব বনৌষধি খন্ড ৪, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, প্রথম প্রকাশ ১৩৮৩, পৃষ্ঠা, ২২-২৪।
২. সাধনা মুখোপাধ্যায়: সুস্থ থাকতে খাওয়া দাওয়ায় শাকসবজি মশলাপাতি, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, নতুন সংস্করণ ২০০৯-২০১০, ২৫১-২৫৩।
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।