আইসল্যান্ড মৎস্যশিল্প প্রধান গণতান্ত্রিক দ্বীপ রাষ্ট্র

প্রাক্তন ডাচ উপনিবেশ আইসল্যান্ড এই নামেরই একটি দ্বীপ। স্ক্যান্ডিনেভিয়া থেকে আগত নরওয়েবাসীদের বংশধরেরাই এখন এখানকার বাসিন্দা। দেশের রাজধানী রাইক-ইয়াভিকে মোট জনসংখ্যার প্রায় একতৃতীয়াংশ বসবাস করে (৮৫ হাজার)।

আইসল্যান্ড ইউরোপের মধ্যে একটি রুক্ষ দেশ। এখানে কৃষি ও খনিজ সম্পদ অনেক কম। এদেশে দ্বীপের তিন-চতুর্থাংশই উদ্ভিদ জন্মানোর জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নেই। উদ্ভিজ্জ্জের মধ্যে তৃণভূমি প্রধান, যেখানে ভেড়া, গবাদি পশু ও শক্তসমর্থ আইসল্যান্ডীয় ঘোড়া পালন করা হয়। এই দেশের চারপাশের সমুদ্রে বিভিন্ন জাতের মাছ পাওয়া যায় এবং মৎস্যশিকার এখানকার লোকদের আদি ও প্রধান পেশা। বর্তমানে আইসল্যান্ডের রপ্তানি আয়ের অর্ধেকই মাছ ধরা ও মাছ প্রক্রিয়াকরণ খাত থেকে আসে।

এককথায় বলা হয় মাছধরা এবং মাছ প্রসেসিংই এদেশের অর্থনীতির মূল শাখা। তার বার্ষিক মাছধরার পরিমাণ ১৫ লক্ষ টন। সে মৎস্য ও মৎস্যজাত সামগ্রীর অন্যতম প্রধান রপ্তানিকারী দেশ।

দেশে গবাদি পশু ও মেষ পালন করা হয়। তাকে পশুখাদ্য, শস্য, অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী এবং শিল্পপণ্যাদিও আমদানি করতে হয়।

তথ্যসূত্রঃ

১. কনস্তানতিন স্পিদচেঙ্কো, অনুবাদ: দ্বিজেন শর্মা: বিশ্বের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ভূগোল, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, বাংলা অনুবাদ ১৯৮২, পৃ: ১৯৮।

আরো পড়ুন:  জার্মানি উন্নত অর্থনীতিসম্পন্ন পুঁজিবাদী সাম্রাজ্যবাদী শোষণমূলক নিপীড়ক রাষ্ট্র

Leave a Comment

error: Content is protected !!