বাজে ক্ষুব্ধ ঈশানী ঝড়ে রুদ্র বিষাণ ইনক্লাব আহ্বান হচ্ছে হেমাঙ্গ বিশ্বাসের লেখা একটি আধুনিক বাংলা গণসংগীত। গানটি বৃহৎ আকারের ৩৫ লাইনের একটি কাহিনীকাব্য। গানটি সুর করেছিলেন হেমাঙ্গ বিশ্বাস নিজেই এবং তিনিই গেয়েছিলেন।
গানটি হেমাঙ্গ বিশ্বাসের একটি জনপ্রিয় গণসংগীত এবং এটি একটি কাহিনীকাব্য হিসেবে বিবেচিত। গানটি উৎপল দত্তের ‘কল্লোল’ নাটকের প্রস্তাবনা গীত হিসেবে প্রথম গাওয়া হয়। গানটি সুব্রত রুদ্র সম্পাদিত, নাথ ব্রাদার্স কলকাতা পরিবেশিত গণসংগীত-সংগ্রহ প্রথম প্রকাশ নভেম্বর ১৯৯০ গ্রন্থের পৃষ্ঠা ৭১-এ সংকলিত রয়েছে। গানটির কথা এবং গানটিকে রোদ্দুরে ডট কম আপনাদের কাছে উপস্থাপন করতে পেরে আনন্দিত।
‘বাজে ক্ষুব্ধ ঈশানী ঝড়ে রুদ্র বিষাণ ইনক্লাব আহ্বান’ গানের কথা
বাজে ক্ষুব্ধ ঈশানী ঝড়ে রুদ্র বিষাণ
(উৎপল দত্তের ‘কল্লোল’ নাটকের প্রস্তাবনা গীত)
বাজে ক্ষুদ্র ঈশানী ঝড়ে রুদ্র বিষাণ
ইনক্লাব আহ্বান —
নিথর জলধিজলে জাগে উতরোল
বিষ-মন্থনে ওঠে জীবন হিল্লোল
ক্রুর বন্ধন ভেঙে ভেঙে তরঙ্গ রঙ্গে ওঠে
সমুদ্র কল্লোল, উঠিল সমুদ্র কল্লোল।।
বিদ্রোহী জাহাজ জঠরে
বয়লারে বয়লারে জ্বলন্ত অঙ্গারে
আগুনের ফুল্ কিতে নাবিকের প্রাণে প্রাণে
জ্বলিল মশাল
প্রাণে প্রাণে জ্বলিল মশাল।।
সেদিন ছেচল্লিশের শীতের কুয়াশা
ভেদি গোলামীর ঘোর অমানিশা
চূর্ণ করি কংসের কারাগার
সচকিত সাইরেনে নব অঙ্গীকার
আরব সাগরবাহী অতলান্তজয়ী
বোম্বাই বন্দরে বিদ্রোহী ‘খাইবার’
ভিড়িল বিদ্রোহী ‘খাইবার’।।
হাঁকে শার্দুল সিং গফুর
বীর শার্দূল সিং গফুর
কে আছ বাহাদুর
কামান গর্জনে
কামগার ময়দানে
রাজপথে ব্যারিকেডে সশস্ত্র মজদুর
দাঁড়ালো সশস্ত্র মজদুর।।
দরিয়ার ডাকে দিল সাড়া মহাভারতের জনতা
উত্তাল ঢেউ-এ ঢেউ-এ কল্লোলিত মহানগর কলকাতা
কল্লোলিত মহানগর কলকাতা।।
নীল সমুদ্র লাল করে গেল
নাবিকের রক্তধারা।
তোমরা কি শুধিবে রক্তের ঋণ
অলক্ষ্যে শুধায় তারা।।
দরিয়ার ডাকে দিল সাড়া মহাভারতের জনতা
উত্তাল ঢেউ-এ ঢেউ-এ কল্লোলিত মহানগর কলকাতা
কল্লোলিত মহানগর কলকাতা।।
গানটি ইউটিউবে শুনুন এবং আমাদের চ্যানেলটি অনুগ্রহ করে সাবস্ক্রাইব করুন:
সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমার চুনারুঘাট উপজেলার মিরাসি গ্রামে জন্ম নেয়া হেমাঙ্গ বিশ্বাস বাংলা গণসংগীতের জননন্দিত মহাযোদ্ধা। তিনি একজন বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী, কবি, লেখক এবং সুরকার। মূলত লোকসঙ্গীতকে ভিত্তি করে গণসঙ্গীত সৃষ্টির ক্ষেত্রে তাঁর অবদান বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয়। “হেমাঙ্গ বিশ্বাসের গান” এবং “শঙ্খচিলের গান” তাঁর গানের দুটি সঙ্কলন।