প্যারিস কমিউন (ইংরেজি: Paris Commune) হচ্ছে ১৮৭১ সালে ফ্রান্সের প্যারিতে প্রলেতারিয় বিপ্লবীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত প্রলেতারিয়েত শ্রেণির বিপ্লবী সরকার। সেটি ছিলো ইতিহাসে প্রথম প্রলেতারিয় একনায়কত্বের সরকার, তবে প্যারিসের বীর শ্রমিক শ্রেণি সেটিকে টিকিয়ে রাখতে সমর্থ হয় ৭২ দিন; ১৮৭১ সালের ১৮ মার্চ থেকে ২৮ মে। প্যারিসের কমিউনার্ডগণ পুরনো রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ভেঙে চূর্ণবিচূর্ণ করে নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থা হিসেবে কমিউনকে গঠন করে। ২৬ মার্চ প্যারিস কমিউন নির্বাচিত হয়ে ২৮ মার্চ তা ঘোষণা করা হয়। ফ্রান্সের বুর্জোয়া শ্রেণি বর্বরোচিত হিংস্রতম আক্রমণ চালিয়ে রক্তের বন্যায় প্যারিস কমিউনকে ধ্বংস করে। কার্ল মার্কস ফ্রান্সের গৃহযুদ্ধ পুস্তিকায় প্যারিস কমিউনের ঐতিহাসিক সার সংকলন করেন। মার্কস ও এঙ্গেলস প্রলেতারিয় একনায়কত্ব দেখতে কেমন প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন,
“প্যারিস কমিউনের প্রতি চোখ ফেরান। সেই হলো প্রলেতারিয়েতের একনায়কত্ব।”[১]
তারা ১৮৭২ সালের কমিউনিস্ট ইশতেহারের জার্মান সংস্করণের ভূমিকায় প্যারিস কমিউনের যে মূল শিক্ষাকে সংযোজন করেন তা হচ্ছে,
“কমিউন বিশেষভাবে একটি বিষয় প্রমাণ করেছে যে, শ্রমিকশ্রেণি আগে থেকে তৈরি রাষ্ট্রযন্ত্র শুধু দখল করে তার উদ্দেশ্য সাধন করতে পারে না।”[২]
মার্কস ও এঙ্গেলসের চোখের সামনেই ইউরোপীয় প্রলেতারিয়েত শক্তিশালী হয় এবং বেড়ে ওঠে, বুর্জোয়াকে বিরোধিতা করে সমাজের এক বৈপ্লবিক শক্তিতে পরিণত হয়। ৯ সেপ্টেম্বর, ১৮৭০ তারিখে প্রথম আন্তর্জাতিকের বিখ্যাত অভিভাষণে মার্কস সময়ানুপযোগী অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ফরাসি প্রলেতারিয়েতকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, কিন্তু তা ষত্বেও অভ্যুত্থান শুরু হলে মার্কস সোৎসাহে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন জনসাধারণের সেই বিপ্লবী উদ্যোগকে। ১৮৭১ সালের ১৮ মার্চ প্যারিসের জ্বলে উঠা স্ফুলিঙ্গ ১০ দিনের মাথায় শাসন ক্ষমতা এনে দিয়েছিল প্যারি কমিউনের হাতে। পৃথিবীর প্রথম সমাজতান্ত্রিক অভিমুখী রাষ্ট্র প্যারি কমিউন প্রসঙ্গে মার্কস লিখেছিলেন,
“সরলতম ধারণায় কমিউনের অর্থ হলো কেন্দ্রীয় স্থানগুলোতে, প্যারিসে ও ফ্রান্সের অন্য বড় বড় শহরে, পুরনো সরকারী যন্ত্রটিকে প্রাথমিকভাবে ধ্বংস করা এবং তাকে প্রতিস্থাপিত করা প্রকৃত স্বশাসন দিয়ে, শ্রমিক শ্রেণির সামাজিক মজবুত ঘাটি প্যারিস ও অনান্য বড় শহরে সেই শাসন হলো শ্রমিক শ্রেণির সরকার। অবরোধের মধ্য দিয়ে সেনাবাহিনীর হাত থেকে অব্যাহতি লাভ করে প্যারিস তার বদলে প্রতিষ্ঠা করেছিল এক জাতীয় রক্ষিবাহিনী, তার সংখ্যাধিক ছিল প্যারিসের মেহনতিরা। একমাত্র এই অবস্থার দরুনই ১৮ মার্চের অভ্যুত্থান সম্ভব হয়েছিলো। এই বাস্তব ঘটনাই একটা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়া দরকার ছিল, তার সরকারি ক্ষমতা জবরদখলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র জনগণ, বড় বড় শহরের জাতীয় রক্ষিবাহিনী দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা দরকার ছিল জনগণের বিরুদ্ধে সরকারের রক্ষক স্থায়ী সেনাবাহিনীকে। কমিউন তৈরি হয়েছিল সকল নাগরিকের ভোটে নির্বাচিত দায়িত্বশীল ও স্বল্প মেয়াদে প্রত্যাহারযোগ্য বিভিন্ন মহল্লার (arrondissement) … … পৌর প্রতিনিধিদের নিয়ে। সেই সংস্থার সংখ্যাগরিষ্ঠ স্বভাবতই মেহনতিরা অথবা শ্রমিক শ্রেণির স্বীকৃত প্রতিনিধিরা। পার্লামেন্টারী সংস্থা না হয়ে তাকে হতে হলো একটি কাজের সংস্থা, একাধারে কার্য নির্বাহক ও আইন প্রণয়নি সংস্থা। পুলিশকে একটি কেন্দ্রীয় সরকারের হাতিয়ার হওয়ার বদলে হতে হলো কমিউনের সেবক, প্রশাসনের অন্য সমস্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের মতো তারাও কমিউনের দ্বারা নিযুক্ত ও সর্বদাই প্রত্যাহার যোগ্য, কমিউনের সদস্যদের মত সমস্ত কর্মকর্তাকেই কাজ করতে হতো শ্রমজীবির মজুরিতে। বিচারপতিদেরও হতে হলো নির্বাচিত, প্রত্যাহারযোগ্য ও দায়িত্বশীল। সমাজ জীবনের সমস্ত বিষয়ে উদ্যোগ থাকলো কমিউনের হাতে। এককথায়, সমস্ত সরকারি কাজকর্ম, এমন কি অল্প যেসব কাজের ভার কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে, তাও সম্পন্ন করত কমিউনের প্রতিনিধিরা, এবং সেই হেতু তা থাকল কমিউনের নিয়ন্ত্রণাধীনে। … স্থায়ী সেনাবাহিনী আর সরকারি পুলিশের উচ্ছেদের সংগে সংগে ভাঙা হয়েছিল নিপীড়নের কায়িক শক্তিটাকে। স্বত্বাধিকারী সংস্থা হিসেবে সমস্ত গির্জা তুলে দিয়ে এবং সমস্ত সাধারণ স্কুল থেকে ধর্মীয় শিক্ষাকে ব্যক্তিগত জীবনের নিভৃতে (তৎসহ অবৈতনিক শিক্ষা প্রবর্তন করে) ভক্তদের ভিক্ষান্নে জীবনযাপন করার জন্য পাঠিয়ে দিয়ে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সরকারি দাক্ষিণ্য ও দাসত্ব থেকে মুক্ত করে ভাঙা হয়েছিল মানসিক নিপীড়নের শক্তিটাকে, বিজ্ঞানকে শুধু যে সকলের অধিগম্য করা হয়েছিল তাই নয়, সরকারি চাপ ও শ্রেণিগত কুসংস্কারের শৃঙ্খল থেকেও বন্ধনমুক্ত করা হয়েছিল। পৌর কর নির্ধারিত ও সংগ্রহ করত কমিউন, সাধারণ রাষ্ট্রীয় উদ্দেশ্য পূরণের জন্য কর সংগ্রহ করত কমিউনের কর্মকর্তারা, এবং কমিউন নিজে তার বিলিব্যবস্থা করত সাধারণ উদ্দেশ্যের জন্য।”[৩]
প্যারিস কমিউন ছিল পৃথিবীর প্রথম প্রলেতারিয়েতের একনায়কত্বের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এক রাষ্ট্র। ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের রাষ্ট্র ও বিপ্লব নামক বইটি পাঠ করলেও বোঝা যাবে যে ১৮৭১ সালের প্যারিস কমিউনের অভিজ্ঞতার আলোকে শ্রমিক শ্রেণির একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠার শর্তগুলো তিনি কিভাবে উপস্থাপন করেছেন। ইতিহাসের সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত শ্রমিক রাষ্ট্র প্যারিস কমিউনের প্রধান চারটি র্শত ছিল, যেমন,
১. কোন প্রকার স্থায়ী সেনাবাহিনী থাকবে না বরং সাধারণ জনগনের দ্বারাই তৈরী হবে সশস্ত্র বাহিনী। ‘কমিউনের প্রথম ডিক্রিই ছিল স্থায়ী সৈন্যবাহিনীর বিলোপ ও সশস্ত্র জনগণ দিয়ে তার স্থান পূরণ’।
২. একজন দক্ষ শ্রমিকের চেয়ে কোনো অবস্থাতেই কোনো সরকারি র্কমকর্তা বেশি বেতন পাবেন না। ‘রাষ্ট্রের বড় চাকুরেদের সংগে সংগে তাদের সমস্ত বিশেষ সুবিধা ও প্রতিনিধিত্ব ভাতাও দূর’ করা হয়েছিল। ‘রাষ্ট্রের সমস্ত পদাধিকারীর বেতন হবে মজুরের বেতনের সমান’।
৩. সরকারে সকল স্তরের র্কমকর্তাগণ অবশ্যই জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হবেন এবং প্রয়োজনে তাদেরকে অপসারণের অধিকারও থাকবে। ‘কমিউন গঠিত হয় প্যারিসের বিভিন্ন পল্লীতে সর্বজনীন ভোটে নির্বাচিত পৌর পরিষদ সভ্যদের নিয়ে। তারা ছিল জবাবদিহিতে বাধ্য এবং যে কোনো সময়ে অপসারণীয়। স্বভাবতই তাদের অধিকাংশই ছিল শ্রমিক, অথবা শ্রমিক শ্রেণির স্বীকৃত প্রতিনিধি’।
৪. নির্ধারিত সময়ান্তে প্রত্যেক ব্যক্তিই অর্থনীতি ও রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে পরিচালনার কাজে অংশগ্রহণ করবেন। লেনিনের কথায়, ‘যদি প্রত্যেকেই আমলা হয়ে যান, তবে আর কেহই আমলা থাকবেন না’। ‘রাষ্ট্রক্ষমতার কাজগুলো যত চালাবে সর্বজনগণ, ততই হ্রাস পাচ্ছে সে ক্ষমতার প্রয়োজনীয়তা’। মার্কস লেখেন, ‘কমিউনের অস্তিত্বটাই ছিলো স্বতঃসিদ্ধ হিসেবে, স্থানীয় আত্মশাসনের সংগে জড়িত’।
কার্ল মার্কস প্যারিস কমিউনের মর্ম বিশ্লেষণ করেছেন এই কথায় যে সেটি ছিলো আসলে ‘শ্রমিক শ্রেণির সরকার, দখলকারী শ্রেণির বিরুদ্ধে উৎপাদক শ্রেণির সংগ্রামের পরিণাম,’ এটি ছিলো অবশেষে আবিষ্কৃত সেই রাজনৈতিক আধার যার মধ্য দিয়ে কার্যকরী হতে পারে শ্রমের অর্থনৈতিক মুক্তি’। ‘কমিউন হলও প্রলেতারিয় বিপ্লবের পক্ষ থেকে বুর্জোয়া রাষ্ট্রযন্ত্র ধ্বংসের প্রথম প্রচেষ্টা এবং অবশেষে আবিষ্কৃত সেই রাজনৈতিক আধার যা দিয়ে বিধ্বস্ত শোষণমূলক আধারটিকে বদল করা সম্ভব ও তা করতে হবে’।[৪]
কমিউন আরো যে সকল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তার মধ্যে ছিল বাজি রাখার খেলা নিষিদ্ধ করা, গণিকাবৃত্তি থেকে মুক্ত করা, রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি, রাজনৈতিক ও পেশাগত শপথের বিলুপ্তি। কমিউনার্ডদের শ্রেণিসংগ্রাম প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মার্কস আরো লেখেন,
“শ্রমজীবী শ্রেণি যে শ্রেণিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে সমস্ত শ্রেণির এবং সেই হেতু, সমস্ত শ্রেণি শাসনের বিলুপ্তির জন্য প্রয়াস চালায়, কমিউন সেই শ্রেণিসংগ্রামকে বিদূরিত করে না, … কিন্তু তা যোগায় সেই যুক্তিসহ মাধ্যম, যেখানে শ্রেণিসংগ্রাম তার বিভিন্ন পর্যায়ের মধ্য দিয়ে চলতে পারে সবচেয়ে যুক্তিসংগত ও মানবিকভাবে। তা শুরু করতে পারে প্রচণ্ড প্রতিক্রিয়া এবং সেই রকমই প্রচণ্ড সব বিপ্লব। … শ্রমজীবী শ্রেণি জানে যে শ্রেণিসংগ্রামের বিভিন্ন পর্যায়ের মধ্য দিয়ে তাকে যেতে হয়। … কিন্তু সেই সংগে তারা এও জানে যে রাজনৈতিক সংগঠনের কমিউন ধরনটির মধ্য দিয়ে এখনই বিরাট বিরাট পদক্ষেপ করা যেতে পারে এবং তাদের নিজেদের জন্য ও মানবজাতির জন্য সেই আন্দোলন শুরু করার সময় এসে গেছে।”[৫]
কমিউনের মধ্যে কার্ল মার্কস দেখেছিলেন ভবিষ্যতের গড়ে ওঠা রাষ্ট্রের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য। প্যারিস কমিউন পরাজিত হবার এক অতি গুরুত্বপূর্ণ কারণরূপে তিনি মনে করেছিলেন যে, তার নেতৃবৃন্দ যথেষ্ট দৃঢ়চিত্তে কাজকর্ম চালাননি আর তার নেতৃত্বে ছিল না কোনো প্রলেতারিয় পার্টি। প্যারিস কমিউনের পতনের পর মার্কস লিখেছিলেন, ‘প্যারিস কমিউনের পতন হতে পারে, কিন্তু তা যে সমাজবিপ্লবের সূচনা করেছে তা জয়যুক্ত হবেই। তার জন্মস্থান সর্বত্র’[৬]। মার্কসের সাথে কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে আমরাও বলতে পারি, প্যারিস কমিউন যে বিপ্লবের সূচনা করেছিল তার দেখানো পথ থামতে পারে কেবল সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠার পরেই।[৭]
তথ্যসূত্র:
১. ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস, ১৮ মার্চ, ১৮৯১, ফ্রান্সে গৃহযুদ্ধ গ্রন্থের ভূমিকা, মার্কস-এঙ্গেলস রচনা সংকলন, প্রথম খণ্ড ২য় অংশ, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, ১৯৭১, পৃষ্ঠা ১৫০।
২. মার্কস ও এঙ্গেলস, ১৮৭২ সালের কমিউনিস্ট ইশতেহারের জার্মান সংস্করণের ভূমিকা,
৩. মার্কস ও এঙ্গেলস, প্যারিস কমিউন প্রসঙ্গে, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, তারিখহীন, পৃষ্ঠা ২৪১-২৪২।
৪. দেখুন, ভ্লাদিমির লেনিন, রাষ্ট্র ও বিপ্লব, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, ১৯৭৬, পৃষ্ঠা ৪১-৫৬।
৫. মার্কস ও এঙ্গেলস, প্যারিস কমিউন প্রসঙ্গে, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, তারিখহীন, পৃষ্ঠা ১৮২-১৮৪।
৬. মার্কস ও এঙ্গেলস, প্যারিস কমিউন প্রসঙ্গে, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, তারিখহীন, পৃষ্ঠা ২৪৬।
৭ প্রবন্ধটি আমার [অনুপ সাদি] রচিত ভাষাপ্রকাশ, ঢাকা থেকে ২০১৫ সালে প্রকাশিত সমাজতন্ত্র গ্রন্থের ৮৫-৯০ পৃষ্ঠা থেকে নেয়া হয়েছে এবং রোদ্দুরেতে প্রকাশ করা হলো। প্রবন্ধের রচনাকাল ২৭ অক্টোবর ২০১৪।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।