ভূমিকা: ইসবগগাল > ঈষদৃগোলাম > ইসেবগুল > ইসপগুল > ঈসবগুল। বৈজ্ঞানিক নাম Plantago ovata Forsk. এরা Plantaginaceae পরিবারের Plantago গনের সদস্য। এটি এক ধরণের ভেষজ গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ।
ইসবগুল-এর বিবরণ:
ইসবগুল বর্ষজীবী উদ্ভিদ। ফার্সী অপ বা অশ্ব আর গুল বা ফুল এই দুটি শব্দ থেকে ইসেবগুল। অশ্বকর্ণের মতো পাতা ও বীজ বলে নাম ঈসবগুল।
কাণ্ড ও পাতা ঘন, শক্ত লোমযুক্ত। পাতা লম্বা কুশঘাসের ন্যায়। ৮ থেকে ২৪ সেন্টিমিটার পাতার তিনটি শিরা আছে। গাছ দুই থেকে তিন ফুট উঁচু হয়। পাতা দেখতে অনেকটা ধান গাছের পাতার মতো।
পুষ্পদণ্ডের মস্তক গোলাকার, পুষ্পস্ত বক ডিম্বাকৃতি, সূক্ষ্মলোমযুক্ত, বীজকোষ ২ ঘর বিশিষ্ট; প্রত্যেক ঘরে একটি বীজ থাকে। বাংলাদেশে এর চাষ হয় না।
বিস্তৃতি:
ইসবগুল-এর আদি বাসভূমি ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে। এছাড়া স্পেন, উত্তর আফ্রিকা, পাকিস্তানের সিন্ধু এলাকা, পশ্চিম এশিয়া, চীন, রাশিয়া ও ভারতে এই গুল্ম জন্মে।
ইসবগুল-এর ভেষজ গুনাগুন:
আয়ুর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্টাচার্য বলেছেন, ঈশবগুলের বীজ ও ভূষি পিচ্ছিল, স্নিগ্ধতাকারক, মৃদু বিরেচক, মূত্রকারক প্রভৃতি গুণসম্পন্ন । কোষ্টবদ্ধতা, আমাশয়, অতিসার, অর্শ, মূত্রকৃচ্ছ, মূত্রপ্রদাহ, শ্বাস, কাস ও সন্ধিবাত রোগের উপশম করে। আদিবাস ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল।
১. ইসবগুলের মধ্যে যে অদ্রবণীয় ও দ্রবণীয় খাদ্য আঁশ থাকে তা কারণে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে সেটা দূর হয়ে যায়।
২. ডায়রিয়া ও পাকস্থলীর ইনফেকশন সারাতে এটি ভালো।
৩. গ্যাস্টিক, অম্ল বা অ্যাসিডিটির সমস্যা প্রতিকার করে।
৪. ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বেশ কার্যকারী ভূমিকা রাখে।
৫. পাকস্থলীর বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন করে ও হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে।
৬. এর খাদ্য আঁশ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় ও হৃদরোগ থেকে সুরক্ষিত করে।
৭. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
তথ্যসূত্র:
১ শেখ সাদী, উদ্ভিদকোষ, দিব্যপ্রকাশ, ঢাকা, প্রথম প্রকাশ ফেব্রুয়ারি ২০০৮, পৃষ্ঠা, ৭২।
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।