কে যাস রে ভাটি গাঙ বাইয়া
আমার ভাইধনরে কইও—নাইওর নিতো বইল্যা।
বছরখানি ঘুইর্যা গেল, গেল রে,
ভাইয়ের দেখা পাইলাম না, পাইলাম না।
কইলজা আমার পুইড়া গেল, গেল রে,
ভাইয়ের দেখা পাইলাম না, পাইলাম না।
ছিলাম রে কতই আশা লইয়া।
ভাই না আইল—গেল গেল রথের মেলা চইল্যা।।
প্রাণ কান্দে, কান্দে—প্রাণ কান্দেরে,
নয়ন ঝরে ঝরে—নয়ন ঝরে রে—
পোড়া মন রে বুঝাইলে বুঝে না।
সুজন মাঝি রে ভাইরে কইও গিয়া—
না আসিলে স্বপনেতে দেখা দিত বইল্যা।।
সিন্দুরিয়া মেঘ উইড়া আইল রে,
ভাইয়ের খবর আনল না, আনল না।
ভাটির চরের নৌকা ফিরা আইল রে,
ভাইয়ের খবর আনল না, আনল না।
নিদয় বিধিরে! তুই সদয় হইয়া ভাইরে আইন্যো,
নইলে আমার পড়ান যাবে জ্বইল্যা।।
কথা : মীরা দেববর্মণ
সুর : শিল্পী
শিল্পী: শচীন দেববর্মণ
মীরা দেববর্মণ (মার্চ ১৯১৯ – ১৫ অক্টোবর ২০০৭) জন্মেছিলেন বাংলাদেশের কুমিল্লায় ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে। মীরা হচ্ছেন বাংলার একজন খ্যাতনামা গীতিকার এবং সঙ্গীত শিল্পী। তিনি বাংলার বিখ্যাত সুরকার শচীন দেববর্মণের স্ত্রী এবং রাহুল দেববর্মণের মাতা। তাঁর উল্লেখযোগ্য গান গুলো হলো ‘আজ দোল দিল কে’ (১৯৪৬), ‘তুম হ বড়ে চিতচোর’ (১৯৪৬), ‘কেন হায় স্বপ্ন ভাঙ্গার আগে’ (১৯৪৯), ‘কালি বদরিয়া ছা গয়ে, ডালি ডালি ফুল’ (১৯৪৮), ‘কে দিল ঘুম ভাঙ্গায়ে’ (১৯৪৯) ইত্যাদি।