মানসোয়া হচ্ছে বিগনোনিয়াসি পরিবারের লতানো উদ্ভিদের একটি গণ

মানসোয়া (লাতিন: Mansoa) হচ্ছে বিগনোনিয়াসি পভূমিকা: মানসোয়া হচ্ছে বিগনোনিয়াসি পরিবারের সপুষ্পক লতা জাতীয় উদ্ভিদের একটি গণের নাম। এই গণে অন্তত চারটি প্রজাতি আছে। আলংকারিক উদ্ভিদ লতা পারুল হচ্ছে এই গণের একটি পরিচিত প্রজাতি।

জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae. বিভাগ: Tracheophyta. অবিন্যাসিত: Edicots. অবিন্যাসিত: Asterids. বর্গ: Lamiales. পরিবার: Bignoniaceae. গণ: Mansoa.

বিবরণ: মানসোয়া গণের প্রজাতি গুলো কাষ্ঠল আরোহী লতা। এদের শাখা ছোট হলেও আকারে গোলাকার থেকে চতুষ্কোণাকার হয়। ছদ্ম উপপত্র খাটো এবং স্থূলাগ্র-কোণাকার থেকে ২ বা ৩ লম্বা সারি যুক্ত। লতার পাতা ২ বা ৩ টি পত্রক বিশিষ্ট, কখনও ত্রিখন্ডিত আকর্ষী যুক্ত। ফুলের বিন্যাস অক্ষীয় বা শীর্ষীয় রেসিম বা প্যানিকেল, বৃতি পেয়ালাকৃতি বা ঘন্টাকার, কর্তীতাগ্র বা ৫-খন্ডিত, দন্তর, কখনও সরু ও দীর্ঘায়ত।

দলমন্ডল সাদা থেকে টকটকে লাল বর্ণের হয়; নলাকৃতি-ঘন্টাকার থেকে নলাকার-চোঙ্গাকৃতি। পুংকেশর ৪ টি, দীর্ঘদ্বয়ী, মসৃণ বা রোমশ, রেণু আধার ঋজু বা বক্র, দূরাপসারী। গর্ভাশয় বেলনাকার, মোটামুটি গ্রন্থিল-পিড়কাযুক্ত থেকে অস্পষ্ট রোমশ, ডিম্বক প্রতি প্রকোষ্ঠে ২-৪ সারিতে বিন্যস্ত । ফল ক্যাপসিউল, রেখিক থেকে রৈখিক-দীর্ঘায়ত, চাপা বা দীর্ঘায়ত-উপবৃত্তাকার এবং চাপা বিহীন। বীজ সাধারণত পাতলা এবং দ্বিপক্ষবিশিষ্ট, কখনও পুরু এবং স্বভাবতই পক্ষবিহীন। এই গণের একটি ফুল লতা পারুল বা রসুন লতা।

প্রজাতিসমূহ: মানসোয়া গণে চারটি প্রজাতি আছে। প্রজাতিগুলো হচ্ছে Mansoa alliacea, Mansoa difficilis, Mansoa hymenaea এবং Mansoa verrucifera. বাংলাদেশে পাওয়া যায় লতা পারুল বা রসুন লতা (দ্বিপদ নাম: Mansoa alliacea).

তথ্যসূত্র:

১. এম এ হাসান (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ০৭ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ১৯-২০। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

Leave a Comment

error: Content is protected !!