ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যরক্ষা হচ্ছে প্রত্যেকের স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়মকানুন মেনে চলা

শারীরিক গঠন ও বৃদ্ধি স্বাভাবিক রাখা, নিরোগ তথা শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকাই হচ্ছে স্বাস্থ্যরক্ষা (ইংরেজি: Personal health care)। অর্থাৎ দৈহিক ও মানসিক উভয়ের সুস্থ্যতাই স্বাস্থ্যরক্ষার মূলকথা। শিশু জন্মের পর থেকেই তার মধ্যে শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশ ঘটতে থাকে।

যৌবনকাল বা প্রাপ্ত বয়স হওয়া পর্যন্ত একজন ব্যক্তির নানা ধরনের শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশ ঘটতে থাকে। কাজেই শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশ ঠিক রাখতে হলে তাকে বয়স অনুযায়ী প্রদত্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। শরীর ও মন অত্যন্ত নিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত। স্বাস্থ্যরক্ষা করতে হলে শরীরের সাথে সাথে মনের স্বাস্থ্যও ঠিক রাখতে হবে।

ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যরক্ষা 

সুস্থ শরীর ও মন সুন্দর জীবনযাপনের প্রধান শর্ত। শরীর ভালো না থাকলে কোনো কাজেই আনন্দ পাওয়া যায় না। আবার, মনে আনন্দ ও উদ্যম না থাকলে কোনো কাজই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায় না। নিজের যাবতীয় ছোট-বড়, গুরুত্বপূর্ণ বা কম গুরুত্বপূর্ণ যে কোনো কাজই যথার্থভাবে সম্পন্ন করার জন্য এবং জীবনকে আনন্দময়ভাবে উপভোগ করার জন্য নিজেকে দৈহিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখা অত্যন্ত জরুরী। এজন্য প্রত্যেকের স্বাস্থ্যরক্ষার নিয়ম মেনে চলা উচিত।

ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যরক্ষার কৌশল 

স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যাবতীয় সুঅভ্যাস চর্চা করার মাধ্যমে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যরক্ষা করা সম্ভব। স্বাস্থ্যবিধি অর্থাৎ, স্বাস্থ্যরক্ষার নিয়মকানুন মেনে চলে আমরা ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে পারি। স্বাস্থ্যসম্মত সুঅভ্যাস গড়ে তোলা এবং তা প্রতিদিন চর্চা করাই হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ভিত্তি। ব্যক্তিগত ও চারিপাশের পরিবেশগত পরিচ্ছন্নতা রক্ষা, নিরাপদ পরিমিত ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ, পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম, প্রয়োজনীয় ব্যায়াম ও খেলাধুলা ইত্যাদি স্বাস্থ্যবিধির মূলকথা। এসব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে দেহ ও মনকে সতেজ ও কর্মক্ষম রাখা যায়। 

ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যরক্ষার ক্ষেত্রে শরীরের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যরক্ষাও সমান জরুরী। সময়মত শরীরের যত্ন নেয়া যেমন স্বাস্থ্যরক্ষার অন্যতম প্রধান বিষয়, তেমনি মনের প্রফুল্লতা বজায় রাখাও স্বাস্থ্যরক্ষার মৌলিক বিষয়। শরীরের যত্নে পরিচ্ছন্নতা, খাদ্য, বিশ্রাম, ঘুম, ব্যায়াম ইত্যাদি অত্যাবশ্যক। মনের যত্নের জন্য প্রয়োজন বিনোদনমূলক কার্যাবলি। বই পড়া, গান শোনা, বাগান করা, আনন্দ ভ্রমণ, খেলাধুলা, সংস্কৃতিচর্চা ইত্যাদি কাজ মনের স্বাস্থ্যরক্ষায় ভূমিকা রাখে।

আরো পড়ুন:  ব্যায়াম শরীরের ভেতর নানারকম পরিবর্তন করে যা শারীরিক সক্ষমতা বাড়ায়

ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যরক্ষার ক্ষেত্রে সময়ানুবর্তিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেমন- রাতে ঠিকমত ঘুমানো, সকালে ঘুম থেকে ওঠা, ঠিক সময়ে খাদ্যগ্রহণ, গোসল, স্বাভাবিকভাবে মলমূত্র ত্যাগের অভ্যাস, মাদক ও যে কোনো নেশামুক্ত জীবনযাপন, ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা রক্ষা ইত্যাদি বিষয় ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যরক্ষার সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। এসব মেনে চলাই ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যরক্ষার কৌশল।

Leave a Comment

error: Content is protected !!