ভূমিকা: সিলেটি ঢেকিয়া (বৈজ্ঞানিক নাম: Angiopteris sylhetensis) হচ্ছে বাংলাদেশের ভেষজ উদ্ভিদ। প্রাকৃতিক পরিবেশে অনায়াসে জন্মাতে পারে। তবে রাজ ঢেকিয়া থেকে এই প্রজাতির তথ্য অপ্রত্যুল।
সিলেটি ঢেকিয়া-এর বর্ণনা:
একটি স্থলজ ফার্ন। তরুণ অবস্থায় পত্রদন্ড সরস, মাংসল। পাতা দ্বি-পক্ষল, বড়, গোড়ায় স্ফীত নয়, ফলক প্রায় ৪০-৬০ সেমি লম্বা। গৌণ পত্রদন্ড গাঢ় বাদামী, গোল, নরম, পাতলা, গোড়ায় স্ফীত নয়।
পক্ষক প্রায় ৫-১৫ সেমি লম্বা এবং ২.৫-৪.০ সেমি চওড়া, চর্মবৎ, একান্তর, উপপত্রবৃন্তিক, দীর্ঘ-বল্লমাকৃতি হতে দীর্ঘ অর্ধবৃত্তাকৃতি, প্রান্ত ক্রকচী-দপ্তর, পক্ষকের শীর্ষ তীক্ষ কচী, বয়নবিন্যাস মসৃণ।
পত্রকের গোড়া অসমান, উপরের দিক সামান্য কর্তিত, নিচের দিক গোলাকার। শিরা সুস্পষ্ট এবং সোরাস রেখাকার।
ক্রোমোসোম সংখ্যা: n = ৪০ (Sing and Roy, 1988)।
আবাসস্থল ও বংশ বিস্তার:
পাহাড়ী নদীর ধারে। বংশবিস্তার হয় গ্রন্থিক এবং রেণু দ্বারা। বিস্তৃতি: ভারত অর্থাৎ পূর্ব ভারত এবং বাংলাদেশে সিলেট জেলা থেকে Ghosh et al. (2004) কর্তৃক নথিভুক্ত।
সিলেটি ঢেকিয়া-এর অন্যান্য তথ্য:
বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ৫ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) সিলেটি ঢেকিয়া শাক প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার জন্য এটি বাংলাদেশে এটি সংকটাপন্ন হিসেবে বিবেচিত।
বাংলাদেশে সিলেটি ঢেকিয়া শাক সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি।
প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটির অবস্থান খুঁজে বের করার জন্য জরিপ করা এবং স্বস্থানের বাইরে এবং স্বস্থানে সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
তথ্যসূত্র:
১. মমতাজ মহল মির্জা (আগস্ট ২০১০) “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। খন্ড ৫ম, পৃষ্ঠা ২৪৬-২৪৭। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।