এন্টিডেসমা ক্রান্তিয় অঞ্চলের ফলজ ও ভেষজ প্রজাতির গণের নাম

গণের নাম

এন্টিডেসমা

গণের নাম: Antidesma L., Sp. Pl.: 1027 (1753). জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস জগৎ/রাজ্য: Plantae, বিভাগ: Tracheophytes. অবিন্যাসিত: Angiosperms.অবিন্যাসিত: Eudicots. বর্গ: Malpighiales. পরিবার: Phyllanthaceae.

এন্টিডেসমা-এর বিবরণ:

ভিন্নবাসী গুল্ম বা ছোট বৃক্ষ, সরল রোমাবৃত। পত্র সরল, একান্তর, খাটো বৃন্তযুক্ত, অখন্ড, সোপপত্রিক, পক্ষ শিরাল। পুষ্পবিন্যাস অক্ষীয়, পত্রের প্রতিমুখ, শীর্ষীয় বা কান্ডজ স্পাইকেট বা অর্ধরেসিমোস, কখনও পেনিকেল।

পুংপুস্প: বৃতি পেয়ালাকার বা ৩-৫ খন্ডিত, কদাচিৎ অধিক খন্ডিত, খন্ড প্রান্তআচ্ছাদী, পাপড়ি অনুপস্থিত, চাকতি গ্রন্থি মুক্ত বা যুক্ত, অন্ত পুংকেশরীয় বা বহি:পুংকেশরীয়, পুংকেশর ২-৫টি, চাকতির ওপর সন্নিবিষ্ট,

পরাগধানী অর্ধচন্দ্রাকৃতি বা দুইখন্ডে বিভক্ত, বন্ধ্যা গর্ভকেশর ছোট, মুলাকৃতি বা গোলাকার, রোমশ বিহীন বা রোমশ।

স্ত্রীপুষ্প: বৃতি পুংপুষ্পের বৃতির ন্যায়, পাপড়ি অনুপস্থিত, চাকৃতি অধিগভ। গর্ভাশয় ১-কোষী, কোষে ডিম্বক ২টি, গর্ভমুন্ড ২-৪টি, প্রতিটি ২ খন্ডিত।

ফল ড্রপ, ছোট, তির্যক, চাপা, অন্তস্তৃক শক্ত, জালিকাকার, স্থায়ী গর্ভমুন্ড দ্বারা দাগযুক্ত। বীজ ছোট সাধারণত একল অবশিষ্ট বীজ লুপ্ত, কেরাঙ্কেল অনুপস্থিত, সস্য রসালো, বীজপত্র প্রশস্ত, চ্যাপ্টা।

প্রজাতি:

এই গণে ১০০ টির বেশি প্রজাতি আছে। বাংলাদেশে প্রায় ১০ টি প্রজাতির দেখা পাওয়া যায়। তবে অরণ্যে জন্মে বলে কিছু প্রজাতি সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে। যে প্রজাতি পাওয়া যায় তার মধ্যে আছে-

পাহাড়ি শিয়াল বুকা, ক্ষুদিজাম, খাসিয়া জাম, শিয়াল বুকা, বনশিয়াল বুকা, মাল্টা  ইত্যাদি।

তথ্যসূত্র:

১. (আগস্ট ২০১০) “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। খন্ড ৭ম, পৃষ্ঠা ৩৯৩। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

Leave a Comment

error: Content is protected !!