ভূমিকা: জলার সুখদর্শন (বৈজ্ঞানিক নাম: Crinum stenophyllum) অ্যামেরিলিডেসি পরিবারের বর্ষজীবী বিরুৎ। বাড়ি ও বাগানের শোভাবর্ধনের জন্য লাগানো হয়।
জলার সুখদর্শন-এর বর্ণনা:
বহুবর্ষজীবী বীরুৎ, মূলাকার কান্ড কন্দাল। পত্র রৈখিক, ৯০ x ১ সেমি, রস শিথিল। ভৌম পুষ্পদন্ড অতিশয় সরু, ২-কিনারা বিশিষ্ট, আম্বেল পদ্ধতিতে ৪-৬ টি পুষ্পযুক্ত, চমসা ৫ সেমি লম্বা। বল্লমাকার। পুষ্প ক্ষুদ্র বৃন্তক, উভলিঙ্গ, বহুপ্রতিসম।
পুষ্প পুট খন্ড ৬, মূলীয় অংশ যুক্ত হয়ে ৮-১০ সেমি লম্বা নালি গঠন করে, খন্ড রৈখিক বা বল্লমাকার। পুংকেশর ৬ টি, পুংদন্ড লম্বা, ছড়ানো পরাগধানী পৃষ্ঠলগ্ন। গর্ভপত্র ৩টি, যুক্ত, গর্ভাশয় ৩ কোষী, অধোগর্ভ, অমরাবিন্যাস অক্ষীয়। ফল ক্যাপসুল।
আবাসস্থল ও বংশ বিস্তার:
পাহাড়ী মৃত্তিকা জন্মে। এছাড়াও জলাশয়েও ভালোভাবে জন্মাতে পারে। এই প্রজাতির বংশ বিস্তার হয় মুলাকার কান্ড দিয়ে।
বিস্তৃতি:
ভারত (ছোট নাগপুর) ও মায়ানমার। বাংলাদেশের সিলেট জেলা থেকে রিপোর্টকৃত (Hooker, 1892)। ব্যবহার: এই প্রজাতি মূলত বাহারি উদ্ভিদ হিসাবে লাগানো হয়।
অন্যান্য তথ্য:
বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ১১ খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) জলার সুখদর্শন প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, আবাসস্থল ধ্বংসের কারণে হুমকির সম্মুখীন এবং বাংলাদেশে এটি সংকটাপন্ন হিসেবে বিবেচিত।
বাংলাদেশে জলার সুখদর্শন সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটির বর্তমানে সংরক্ষণের জন্য ব্যক্তিগত বাগানের বাইরেও লাগানো দরকার।
তথ্যসূত্র:
১. এম এ হাসান (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ১১ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৩৬২। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি ফেসবুক থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Medstd Amaryllidaceae
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।