চে, এক রক্তমাখা আলো

(শামীম পারভেজকে)

নিপীড়িত মানুষের বিদ্রোহের ভিত্তিমূলে
গান থাকে, কথা থাকে, হাহাকারের পরে ঘুরে দাঁড়ানো থাকে,
আগমন ও প্রস্থান থাকে।
মহাকালের ভেতরে ছোট ছোট মুহূর্তগুলো হারালেও
অন্যায়ের টুঁটি চেপে কিছু মানুষ মাথাকে উঁচু করে বের হয়,
সমতার কমিউনগুলো দৈনন্দিন ব্যস্ততায় গড়ে ওঠে।
যুদ্ধের ধারাবাহিকতায় ন্যায়যুদ্ধ শুরু হলে
যেখানেই জয়ের খবর আসে,
আরো এক কদম এগোলো সমাজ,
শ্রমিকেরা বোঝেন একদিন পশ্চাদপসরণ মানে সাময়িক বিরতি।

কবিতাটি ইংরেজি অনুবাদে পড়ুন:  Che, the Blood Smeared Light

মাটির হাতগুলো পাহাড়ে উঠে সামন্তদম্ভ চূর্ণ করলেই
শ্রমিকের ঘাম পথ খুঁজে পায়,
কৃষকেরা লড়ে যায় সাম্যের বেদীতে,
শোষিতকে নেতা মেনে যেইদিন যন্ত্রণার নিরসনে
লাল পৃথিবীর ডাকে
মানুষের কলরবে তুমি গলা ছেড়ে গান ধরেছ মুক্তির,
সেইদিন থেকে তুমি ধ্রুবতারা নও শুধু,
পাহাড় সরানো সেই বুড়ো যেন
জাগালো সবার দুনিয়া।
একটি স্বাধীনতা ব্যর্থ হলে নির্ঘুম তুমি
ভ্রু কুঁচকিয়ে পেয়েছো চৌচালা ঘর,
যে ডানায় ভর করে গাছেরা হয়ে যায় পাখির আশ্রয়,
সেই ডানায় চড়ে আমাদের মাঝ থেকে কিছু কিছু বন্ধুরা
নক্ষত্রের চেয়েও উজ্জ্বল হয়ে দিনে দিনে ঝরে যায়
রক্তমাখা আলোর আন্দোলনে।
তীব্র বর্ষায় যেদিন শহরের বস্তিগুলো ভাসতে থাকে,
পৃথিবীর কোনো এক ক্ষুদ্র কোণে অসহায় মানুষের ভিড়ে
এইসব লেখাজোখা মহাপৃথিবীর চিহ্ন হয়ে ঝুলতে থাকে
সত্যের বারান্দায়।

১৪ জুন, ২০১৫, চৌরঙ্গী মোড়, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।

Leave a Comment

error: Content is protected !!