সরিষা ভেষজ গুণ সম্পন্ন এশিয়ায় জন্মানো শস্যকণা

শস্য

সরিষা তেল

ইংরেজি নাম: Mustard plants. বাংলা নাম: সরিষা
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae বিভাগ: Angiosperms অবিন্যাসিত: Edicots অবিন্যাসিত: Rosids বর্গ: Brassicales পরিবার: Brassicaceae

পরিচিতি: সারা দেশে কমবেশি চাষ করা হয়। সরষে বর্ষবীজী বীরুৎ প্রজাতির। হলুদ রঙের ফুল হয়। গাছ প্রায় এক মিটারের কাছাকাছি বড় হয়। পাতা বড় হয়। ফুল বড় হয়। অগ্রভাগ কিছুটা গুচ্ছবদ্ধ হয়। হলুদ কিংবা পীত বর্ণের। শুঁটি অবস্থার অনুযায়ী সরিষা কয়েক ধরনের।[১]

সরিষার উপকারিতা

সাধারণত তিন প্রকার সরিষা দেখা যায়-
ক. রাই সরিষা (ছোট) Brassica juncea.
খ. শ্বেত সরিষা (সাদা রাই) Brassica campestris,
গ. সরিষা Brassica napus. একে টেরি সরিষাও বলে।

এই গাছটি শাক বর্গের অন্তর্গত। সরষে বর্ষজীবী। ১ থেকে ৩ ফুট উচু হয়। গাছের গোড়ার পাতা বড় হয়। আকারে প্রায় ডিম্বাকৃতি ও ঈষৎ ঢেউ খেলানো হয়ে থাকে। বাংলাদেশে এ গাছের পরিচিতি। ভারতের উড়িষ্যার অঞ্চল বিশেষে এটিকে সরিস বলে। পাশ্চাত্য উদ্ভিদবিজ্ঞানীগণের মতে এটি Cruciferae পরিবারের মনে করেন।[২]

সরিষার তেল প্রধানত রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়। আচার, চাটনি তৈরিতে ব্যবহার হয়। এছাড়া শরীরে, বিশেষ করে ছোট শিশুদের গায়ে মাখার জন্য সরিষার তেল ব্যবহার করা হয়। কল কব্জা ক্ষয় নিবারণের জন্য এর তেলের ব্যবহার আছে। সরিষার কচি পাতা ও ডগা শাক হিসেবে এবং সরিষাবাটা ইলিশ মাছের সঙ্গে খাওয়া যায়।

কৃষিক্ষেতে এর হলুদ ফুলের সমারোহ অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন।। এছাড়া সরিষা ক্ষেত থেকে আহরিত মধু যা মৌমাছির দ্বারা তৈরি হয় অত্যন্ত সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও ভেষজ গুণসম্পন্ন। এর শুকনো গাছ ও পাতা জ্বালানি এবং খৈল গবাদিপশুর খাদ্য ও সার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।[৩]

বিস্তৃতি: এশিয়া মহাদেশের উদ্ভিদ।

চাষ পদ্ধতি: জমি চাষ করে প্রস্তুত করতে হয়। তারপরে বীজ ছিটিয়ে দিলেই কিছু দিনের মধ্যে চারা জন্মে যায়। বিশেষ যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন নেই।

আরো পড়ুন:  পাট শাক বা পাট পাতা বহুবিধ পুষ্টিগুণ, খাদ্যমান ও চাষ পদ্ধতি

ব্যবহৃত অংশ: ঔষধ হিসাবে বীজ ও তেল ব্যবহার করা হয়।

তথ্যসূত্র:

১. শেখ সাদী; উদ্ভিদকোষ, দিব্যপ্রকাশ, ঢাকা, প্রথম প্রকাশ ফেব্রুয়ারি ২০০৮, পৃষ্ঠা, ৩৬৯।

২. আয়ুর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্টাচার্য, চিরঞ্জীব বনৌষধি খন্ড ২, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, প্রথম প্রকাশ ১৩৮৩, পৃষ্ঠা, ২১০।

৩. গ্রিন মিজানুর রহমান; রোগ-শোক-ক্ষুধা মুক্তিতে বাংলার উদ্ভিদ, ফেসবাংলা লিমিটেড, ঢাকা, প্রথম প্রকাশ ৫ জুন ২০১৪ তৃতীয় পুনর্মুদ্রণ ৫ জুন ২০১৫ পৃষ্ঠা, ৮ অধ্যায়।

Leave a Comment

error: Content is protected !!