প্রকারভেদ: বড় পাতা ও ছোট পাতা ভেদে দুই প্রকারের থানকুনী এদেশে পাওয়া যায়; ছোট পাতার থানকুনী বা থ্যালকুড়ি কোচবিহার অঞ্চলে জন্মে; সেটিকে ও অঞ্চলে ক্ষুদে মানী বলে। থানকুনি একটি ভেষজ উদ্ভিদ। এটির ভেষজ গুনাগুণ সম্পর্কে আরো জানতে পড়ুন
ক্ষুদে মানী বা ছোট পাতার থানকুনী ‘আমাশায় ও পেটের দোষে’ বড় থানকুনীর বা ঢোলা মানী থেকে বেশী উপকারী। (যদিও বলা যায় আমাতিসার কখনও প্রচলিত আমাশা শব্দের বাচ্য নয়)বড় থানকুনির বৈজ্ঞানিক নাম Centella asiatica (Linn.) urban. আর ছোট থানকুনির বৈজ্ঞানিক নাম Centella japonica. দুটিরই পরিবার Apiaceae. দেখতে অনেকটা থানকুনির মতো। আর একপ্রকার লতাগাছকে অনেকে থানকুনি বলে ভুল করেন। এটির বোটানিকাল নাম Ipomoea reniformis Choisy,পরিবার Convolvulaceae একে গ্রামের ভাষায় ভুঁইকামড়ি বলে।[১]
পরিচয়: এটি বর্ষজীবী উদ্ভিদ। স্যাঁতস্যাঁত ও ছায়াযুক্ত স্থানে এই গাছ ভালো জন্মে। পুকুর পারে এদের বেশি দেখা যায়। পাতা বৃত্তাকার এবং কিনারা খাঁজকাটা। ফুল ক্ষুদ্র ও ঈষৎ লাল আভাযুক্ত।
বিস্তৃতি: ভারত বাংলাদেশসহ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশের আর্দ্র এলাকায় থানকুনি ভালো হয়। বাংলাদেশের সব জেলায় থানকুনি জন্মে থাকে।
ব্যবহৃত অংশ: থানকুনি পাতা ও পুরো গাছ ঔষুধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। [২] দেহের ক্ষত সারাতে, জ্বর, মুখের ঘা, পেটের সমস্যা দূর করতে প্রাথমিক ঔষধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
তথ্যসূত্রঃ
১. আয়ূর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্রচার্য, চিরঞ্জীব বনৌষধি খন্ড ১, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, প্রথম প্রকাশ ১৩৮৩, পৃষ্ঠা, ২৪।
২. শেখ সাদী; উদ্ভিদকোষ, দিব্যপ্রকাশ, ঢাকা, প্রথম প্রকাশ ফেব্রুয়ারি ২০০৮, পৃষ্ঠা, ২২৬-২২৭।
বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিপিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Shashidhara halady
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।