সুন্দি তরুণাস্থি কাছিম বাংলাদেশ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি প্রজাতি

সুন্দি কাছিম

বৈজ্ঞানিক নাম: Lissemys punctata; সমনাম: Testudo punctata, Testudo granulosa, Testudo scabra, Emyda vittata, Trionyx granosus ইত্যাদি বাংলা নাম: সুন্দি কাছিম বা সুন্দি তরুণাস্থি কাছিম সিন্ধু কাছিম; ইংরেজি নাম: Indian flapshell turtle
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
শ্রেণী: Reptilia বর্গ: Testudines পরিবার: Trionychidae গণ: LissemysGray, 1855 প্রজাতি: Lissemys punctata (Lacépède, 1788).

ভূমিকা: সুন্দি কাছিম বা সুন্দি তরুণাস্থি কাছিম বা সিন্ধু কাছিম বাংলাদেশের কচ্ছপের তালিকায় মোট ২৯ প্রজাতির কচ্ছপ, কাইট্টা ও কাছিমের একটি প্রজাতি। আমাদের আলোচ্য এই কাছিম হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সংকটাপন্ন প্রজাতি।

বর্ণনা: এই কাছিমের দেহ ছোট, দৈর্ঘ্য প্রায় ২৫-৩৫ সেমি। স্ত্রী কাছিম অপেক্ষাকৃত বড়।

স্বভাব ও আবাসস্থল: এরা পুকুর, নদী, নালাতে বাস করে। তবে এরা দেহের অর্ধেক অংশ বালু বা কাদার মধ্যে ঢুকান অবস্থায় বাস করতে পছন্দ করে। এরা লম্বা গ্রিবার মাধ্যমে দ্রুত শিকার ধরতে পারে।

বিস্তৃতি: এই কাছিম প্রজাতির বিস্তৃতি বাংলাদেশে ব্যাপক। এছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমার, নেপাল, শ্রীলংকা এবং থাইল্যন্ডে পাওয়া যায়।

অবস্থা: বিশ্বব্যাপী এই প্রজাতির কাছিম সংকটগ্রস্ত নয়। প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ে কাজ করা সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় এর নাম নেই। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনানুসারে রক্ষিত বন্যপ্রাণীর তালিকায় তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতি সংরক্ষিত।

বাস্তুতান্ত্রিক ভূমিকা: এই কাছিম পানিতে অক্সিজেনের সমতা রক্ষার জন্য কম্পন সৃষ্টি করে।

অর্থনৈতিক গুরুত্ব: বাংলাদেশে হিন্দু ও আদিবাসেদের কেউ কেউ খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। এটিও বাংলাদেশে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোক ও জেলেরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে এটিকেও বিলুপ্তির পথে অচিরেই নিয়ে যাবে।

Leave a Comment

error: Content is protected !!