সবচেয়ে বড় ডানাওয়ালা বিলুপ্ত পাখি পেলাগরনিস সানডার্সি

ছড়ানো বিরাট ডানার বিলুপ্ত এক পাখি প্রজাতির নাম পেলাগরনিস সানডার্সি (Pelagornis sandersi)। প্রায় ২৫ লাখ বছর আগে এরা বিলুপ্ত হয়েছে। এই প্রজাতির প্রথম জীবাশ্ম (ফসিল) পাওয়া যায় ১৯৮৩ সালে যখন দক্ষিণ ক্যারোলিনার চার্লসস্টোন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নির্মাণ শ্রমিকেরা সেখানে একটি নতুন টার্মিনাল গড়ে তুলেছিল। ২৫ মিলিয়ন বছর আগে পাখিটি বাস করত, তখন ঐ এলাকায় একটি মহাসাগর ছিল। পাখিটি অ্যালবার্ট স্যান্ডারসের শ্রদ্ধায় নামকরণ করা হয়, চার্লসটন যাদুঘরে প্রাকৃতিক ইতিহাসের তিনি প্রাক্তন সম্পাদক ছিলেন এবং তিনিই খননকাজ পরিচালনা করেন। এটি বর্তমানে চার্লসটন যাদুঘরে আছে, যেখানে এটি একটি নতুন প্রজাতি হিসাবে ডান কেসেপকা কর্তৃক ২০১৪ সালে চিহ্নিত হয়েছিল।

জীবিত পাখি প্রজাতির সঙ্গে তুলনায় এর পাখার বিস্তার অনেক বেশি যা ৬.৪ মিটার। এটি অনুমান করা হয়েছে যে এটি ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার (37 মাইল/ঘণ্টা) পর্যন্ত উড়ে যেতে সক্ষম ছিল।

কিছু বিজ্ঞানী ধারণা ব্যক্ত করেছেন যে এই প্রজাতিটির ওজন বেশি হওয়ায় এটি উড়তে পারত না। ২৬ থেকে ৪০ কেজি (৪৮ থেকে ৮৮ পাউণ্ড) এর মধ্যে যে সমস্ত প্রাণী উড়তে পারে, তাতে পাখি উড়ে যাওয়ার যান্ত্রিক ব্যবস্থায় মূল তত্ত্বে পাখিটি খুব ভারী বলে বিবেচিত হবে। ডারহাম, নর্থ ক্যারোলাইনায় জাতীয় বিবর্তনিক সংশ্লেষণ কেন্দ্রের ড্যান কেসেপকা, যিনি নতুন প্রজাতিটি আবিষ্কার করেছেন, মনে করেন যে এটি অপেক্ষাকৃত ছোট শরীর এবং দীর্ঘ পার কারণে উড়ে যেতে পারে এবং উড়ার অন্য কারণটি হচ্ছে  এটি অ্যালাট্রসের মতো তার তার বেশিরভাগ সময় ব্যয় করেছে সমুদ্রের উপরে, যেখানে পাখিটি বায়ুর প্রবাহের উপর নির্ভরশীল, এটি সমুদ্র থেকে উত্থিত বায়ুকে কাজে লাগিয়ে নিজেকে উপরে রাখত।

বর্তমানে জীবিত অ্যালবাট্রসের পাখা ৩.৪ মিটার, পেলিকানের ৩.০ মিটার, অ্যান্ডিয়ান কনডরের ৩.২ মিটার, সোনালি ঈগলের ২.৩ মিটার এবং অসপ্রের ১.৮ মিটার।

আরো পড়ুন:  গোলাপি হাঁস পৃথিবী ও বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত পাখি

Leave a Comment

error: Content is protected !!