চোলা পুঁটি হচ্ছে এশিয়ার সুস্বাদু মিঠাপানির মাছ

মাছ

চোলা পুঁটি

বৈজ্ঞানিক নাম: Puntius chola (Hamilton, 1822) সমনাম: Cyprinus caola Hamilton, 1822, Fishes of the Ganges, p. 312; Cyprinus titius Hamilton, | 1822, Fis/ies of the Ganges, p. 315; Systoms terarpagus McClelland, 1839, Asiat. Res. 19: 285; Barbuds chola Day, 1878, Fis/hes of India, p. 571; Barbuds (Pantius) chola Hora, 1942, Rec. Indian Muds. 44(2): 195; Puantitas chola Deraniyagala, 1952, Coloured Atlas vert. Ceylon 1: 28. ইংরেজি নাম: Swamp Barb, Chola Barb. স্থানীয় নাম: চোলা পুঁটি, পুঁটি 
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণিবিন্যাস 
জগৎ: Animalia পর্ব: Chordata উপপর্ব: Vertebrata মহাশ্রেণী: Osteichthyes শ্রেণী: Actinopterygii বর্গ: Cypriniformes পরিবার: Cyprinidae গণ: Puntius প্রজাতি: P. chola

বর্ণনা: পৃষ্ঠদেশ উদরীয় অংশের তুলনায় অধিক উত্তল। মুখ ছোট আকারে ও দুই চোয়াল প্রায় সমান। ঠোঁট খাজ কাঁটা নিচের দিকে মোটা। বুকের পাখনা তুন্ড ছাড়া মাথার দৈর্ঘের সমান। এদের দেহ রুপালি বর্ণের তবে কানকো সোনালী বর্ণের । পার্শ্বরেখা বরাবর লেজের উপর ২২ থেকে ২৪ তম আঁইশে একটা কালো ফোটা থাকে। এই প্রজাতির সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ১৫ সেমি (Pethiyagoda , 1991) দৈর্ঘের হতে পারে।

বসবাস: এরা পানির উপরি অংশে ও তলদেশ উভয় স্তরেই বাস করতে পারে এবং স্বাদুপানির অভ্যন্তরেই এদের চলাচল বেশি (Riede, 2004)। এরা নানা প্রকার কীটপতঙ্গ এবং উদ্ভিজ উপাদান খায় (Mills and Veres, 1989)। এই মাছ জুন থেকে জুলাই মাসে ডিম পাড়ে। প্রজননকালে অগভীর জলাশয় এবং প্লাবন ভূমিতেও চলে যায় এরা।সাধারণত এরা জলজ আগাছার উপর ডিম পাড়ে। মৃদু স্রোতযুক্ত স্থানে ডিম পারতে এদের বেশি পছন্দ। জলাশয়, নদী, খাল-বিল, হাওড়, পুকুর এবং প্লাবন ভূমিতে এরা বাস করে। এদেরকে মূলত অগভীর জলাশয়েই বাস করতে দেখা যায় (Pethiyagoda, 1991)।

বিস্তৃতি: পাকিস্তান, ভারত, নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা এবং মায়ানমার (Menon, 1999)। সমগ্র বাংলাদেশেই নদী, খাল-বিল, পুকুর, হাওড় এবং প্লাবন ভূমিতে পাওয়া যায় । (Ahmed, 1991; Menon, 1999; Rahman, 2005)।

আরো পড়ুন:  চন্দনা ইলিশ বাংলাদেশের উন্নত খাদ্যমান সমৃদ্ধ মাছ

চাষাবাদ: চোলা পুঁটি মাছ বাংলাদেশের মিঠাপানির মাছের মধ্যে সর্বাধিক পরিমাণে পাওয়া যায়। এই মাছ প্রায় সারা বছরই বাজারে পাওয়া যায়। এই পুঁটি মাছের চ্যাপা শুটকি বানিয়ে খাওয়া হয় এবং বাংলাদেশের অনেক মানুষের কাছে সুস্বাদু খাবার হিসেবে পরিচিত। এই মাছ অ্যাকুরিয়ামের জন্য পালন করা হয়। এই মাছ চাষ কারা হয় না। বাংলাদেশের জলাশয়, খালে-বিলে প্রাকৃতিকভাবে এই মাছের প্রজনন ঘটে থাকে।

বর্তমান অবস্থা এবং সংরক্ষণ: IUCN Bangladesh (২০০০) এর লাল তালিকা অনুযায়ী এই প্রজাতিটি এখনও হুমকির সম্মুখীন নয়।

মন্তব্য: বাংলাদেশে যেখানে মিঠাপানির কোনো জলাশয় নেই সেখানে এই প্রজাতি বা বার্বের অন্যান্য প্রজাতির মাছ পাওয়া যায় না। যদিও এদের অধিকাংশই আকারে তেমন বড় হয় না কিন্তু এদের প্রাচুর্য্যতা বেশী এবং অর্থনৈতিকভাবে ও গুরুত্বপূর্ণ।

তথ্যসূত্র:

১. কিবরিয়া, এম মনজুরুল (অক্টোবর ২০০৯)। “স্বাদুপানির মাছ”। আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; আবু তৈয়ব, আবু আহমদ; হুমায়ুন কবির, সৈয়দ মোহাম্মদ এবং অন্যান্য। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ ২৩ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃ: ৮২–৮৩। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

Leave a Comment

error: Content is protected !!