বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের উদ্ধারকারী দল কর্তৃক রাজশাহী অঞ্চল থেকে নিয়মিত পাখি পাচারকারী চক্রের সদস্যকে আটক করেছে। রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানা পুলিশের সহায়তায় ২৬০টি পাখিসহ রোববার ১৩ জুলাই, ২০১৪ তারিখে আটক করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত আটককৃত ব্যক্তির নাম রাজু। রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) ভ্রাম্যমাণ আদালতে পাচারকারীকে ৫ মাসের কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে উদ্ধার করা পাখিগুলোর মধ্যে রয়েছে ৮০ টি লালমাথা টিয়া (Plum Headed Parakeet), সাতটি বাবুই (Baya Weaver), ৮৫ টি কালোমাথা মুনিয়া (Black Headed Munia), ৬২ টি চান্দিঠোঁট মুনিয়া (Indian Silverbill) এবং ২৬টি তিলা মুনিয়া (Scaly Breasted Munia)| এই প্রজাতিগুলো ১৯৭৪ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন এবং ২০১২ সালের বন্যপারণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে সংরক্ষিত। প্রচণ্ড গরমে চট দিয়ে খাঁচায় মুড়িয়ে রাখার প্রেক্ষিতে কয়েকটি পাখি মারা যায়। এছাড়া অবশিষ্ট পাখিগুলিকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা বিভাগে এনে চিকিৎসা ও পরিচর্যা করা হচ্ছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অসুস্থ পাখিগুলো বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারী অ্যান্ড এনিম্যাল হাজবেন্ড্রী বিভাগের ডাক্তার মো. হেমায়েতুল ইসলাম আরিফের তত্বাবধানে বন বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসা শেষে সম্পূর্ণরূপে সুস্থ্ প্রতীয়মান হলে পাখিগুলোকে প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করা হবে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ রাজশাহী, এর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোল্যা রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয় এবং তিনি তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।