গৃহ সজ্জার অংগ হিসেবে আজকাল ব্যাপকভাবে টবে ফুলের চাষ হচ্ছে। শহরাঞ্চলের অধিকাংশ লোকেরই বাগান করার জমি নেই, টবে গাছ জন্মিয়েই তাদেরকে ফুল চর্চার শখ মিটাতে হয়। বাগান করার জায়গা থাকলেও তার পরিপূরক হিসেবে গৃহের বারান্দায়, ছাদে, দেউড়ীর উপরে গাছ জন্মানো যেতে পারে। গাছপালা লাগিয়ে বাসগৃহে যে পরিবেশ সৃষ্টি করা হয় বাগান তার বিকল্প নয়। টবে গাছ জন্মাবার নিয়ম-কানুন বাগানের গাছ অপেক্ষা ভিন্ন। লক্ষ্য করা গেছে, অনেকেই টবে ফুলের চাষ করতে গিয়ে পুরোপুরি সফল হননি। এখানকার আলোচনা থেকে তারা উপকৃত হতে পারবেন।
টবের প্রকারভেদ
আকৃতি, সাইজ ও তৈরির উপাদানভেদে টব বহু রকমের হয়ে থাকে। সাধারণ বা স্ট্যাণ্ডার্ড টব গোলাকৃতির অথবা চারকোনাবিশিষ্ট হয় এবং এর উপরের ব্যাস নীচের ব্যস অপেক্ষা ২৫% বেশী হয়। উপরের ব্যাস দিয়ে টবের সাইজ নির্দেশ করা হয়, যথা ২০ সেমি টব মানে টবের উপরের ব্যাস ২০ সেমি। বিশেষ ধরনের টব চ্যাপ্টা (থালা বা গামলার মতো), লম্বা বা অন্য যেকোন আকৃতির হতে পারে, এগুলোর উচ্চতা, ব্যাস ইত্যাদির মধ্যে কোনো নির্দিষ্ট অনুপাত নেই। টব মাটি, কাঠ, কংক্রিট, সিরামিক, ধাতু এবং প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হয়। উদ্ভিদের জন্য মাটির টবই সবচেয়ে ভালো। কিন্তু এটা অত্যন্ত ভারী ও ভঙ্গুর। পাশ্চাত্য দেশে আজকাল প্লাস্টিকের টবের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি, কারণ এগুলো পাতলা ও সস্তা। সিরামিক ও কাঠের টব খুবই ব্যয়বহুল, কেবল স্বচ্ছল ব্যক্তিদের পক্ষেই এগুলো ব্যবহার করা সম্ভব। স্থায়িত্ব ও দামের বিচারে আমাদের দেশে কংক্রিটের টব অনেকের কাছেই অধিক গ্রহণযোগ্য হওয়ার কথা। কোনো কোনো উদ্ভিদের জন্য মাটির তৈরি দই বা মিষ্টির হাঁড়ি নিচে ফুটো করে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ঝুলানো অবস্থায় উদ্ভিদ জন্মাবার জন্য টব বা ঝুড়ি খুব পাতলা হওয়া চাই। প্লাস্টিকের টব এ ব্যাপারে সবচেয়ে উপযোগী। তবে যেহেতু এটা এখনো এদেশে সহজলভ্য নয়, লোহার ফ্রেমে প্লাস্টিকের বেত দ্বারা নানা ডিজাইনের ঝুড়ি তৈরি করা যায়। সহজে পচে না এমন বস্তু, যথা—জালিবেতও এ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হতে পারে। সম্পূর্ণ অস্থায়ীভাবে ব্যবহারের জন্য পোক্ত বাঁশের ঝুড়ি ব্যবহার করা চলে।
টবের মিশ্রণ
টবে যে মাধ্যমে উদ্ভিদ জন্মানো হয় তাকে মাটি না বলে মিশ্রণ (potting mixture) বলা হয়, কারণ, সাধারণত এটা নানাবিধ উপকরণ মিশিয়ে তৈরি করতে হয়। মিশ্রিত দ্রব্যের গুণাগুণের উপর টবে গাছ জন্মানোর সফলতা বহুলাংশে নির্ভরশীল। যেহেতু টবের অল্প পরিসরে গাছের শিকড় সীমাবদ্ধ থাকে, সেজন্য মিশ্রণ এমন হবে যা গাছের শিকড়ের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ সৃষ্টি করতে সক্ষম। মিশ্রণের নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্য থাকা বাঞ্ছনীয়।
১) যথেষ্ট ঠাসা (compact) হবে যাতে শিকড় সহজে নড়ে না যায়।
২) শুকালে বেশি মাত্রায় সংকুচিত হবে না এবং ভিজলে বেশি কেঁপে উঠবে না।
৩) যথেষ্ট পরিমাণে পানি ধারণ করে রাখার ক্ষমতা এবং একই সাথে সচ্ছিদ্র হবে যেন অতিরিক্ত পানি সহজেই নীচের দিকে বের হয়ে যায়।।
৪) রোগের জীবাণু, কীটপতঙ্গ ও আগাছার বীজ থেকে মুক্ত হবে।
বিভিন্ন দেশে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য উপকরণ দিয়ে নানা প্রকার উদ্ভিদের জন্য সবচেয়ে উপযোগী মিশ্রণের ফর্মুলা নির্ণীত হয়েছে। বাংলাদেশে এ বিষয়ে কখনো কোনো গবেষণা হয়নি। তাছাড়া অন্যান্য দেশে ব্যবহৃত মিশ্রণ তৈরির অনেক উৎকৃষ্ট উপকরণ এখানে পাওয়া যায় না। সম্পূর্ণ অনুমানের উপর ভিত্তি করে নিম্নে তিন প্রকার মিশ্রণের ফর্মুলা দেয়া হলো এবং কোন্ ধরনের উদ্ভিদের জন্য এগুলো সবচেয়ে উপযোগী তা উল্লেখ করা হলো। অনুসন্ধিৎসু উদ্ভিদ প্রেমিকরা প্রয়োজনবোধে ও অভিজ্ঞতার আলোকে এগুলোর পরিবর্তন পরিবর্ধন করে নিতে পারেন।
মিশ্রণ ১: দোআঁশ মাটি এক ভাগ ও জৈবসার (পচা গোবর, আবর্জনা সার অথবা পাতাপচা সার) এক ভাগ। এর প্রতি ঘনমিটারে ২ কিলোগ্রাম হাড়ের গুঁড়া (হাড়ের গুঁড়া না পাওয়া গেলে এক কিলো ট্রিপল সুপার ফসফেট) ও আধা কিলো চুনা পাথর (পোড়া চুন নয়) ভাল করে মিশাতে হবে। এ মিশ্রণ অধিকাংশ মৌসুমী ফুল, গুল্ম, লতা, পাম ও কন্দজ উদ্ভিদের জন্য উপযোগী।
মিশ্রণ ২: একভাগ দোঁআশ মাটি, এক ভাগ বালু ও তিনভাগ জৈব সার অথবা দুই ভাগ বেলে দোআঁশ মাটি ও তিনভাগ জৈব সার। এর প্রতি ঘন মিটারে ২ কিলোগ্রাম হাড়ের গুঁড়া ও আধা কিলো চুনাপাথর মিশাতে হবে। এ মিশ্রণ কোমলাঙ্গী বাহারী পাতার উদ্ভিদ, ক্যাকটাস, কোনো কোনো সাকুলেন্ট ও ভূমিজ অর্কিডের জন্য উপযোগী।
মিশ্রণ ৩: এক ভাগ বালু ও দুই ভাগ পিট (peat) অথবা জৈব সার এবং তার সাথে উপরে উল্লিখিত পরিমাণে হাড়ের গুঁড়া ও চুনাপাথর। এর সাথে এক ভাগ নারকেলের ভূসি (নারকেলের খোসা থেকে তন্তু আলাদা করে নিলে যা অবশিষ্ট থাকে) যোগ করলে খুব ভাল হয়। এ ভুঁসি খুব হালকা এবং পানি ধরে রাখতে পারে। ঝুলানো ঝুড়ির জন্য এ মিশ্রণ অধিক উপযোগী।
টবে ব্যবহারের জন্য সম্ভব হলে নদীর শুকিয়ে যাওয়া তলা থেকে দোআঁশ ও বেলে দোঁআশ মাটি সংগ্রহ করা উচিত, কারণ এ মাটি স্বাভাবিকভাবে জীবাণুমুক্ত। অন্যথায় বাগানের সাধারণ মাটি ব্যবহার করতে হবে। জৈবসারে সব সময়ই কিছু না কিছু জীবাণু ও আগাছার বীজ থাকে। সম্ভব হলে ব্যবহার করার আগে জৈবসার অথবা পুরো মিশ্রণ জীবাণুমুক্ত করে নেয়া উচিত। মিশ্রণের ভিতর দিয়ে ৭৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় আধা ঘণ্টা বাষ্প চালালে অধিকাংশ জীবাণু ও আগাছার বীজ মারা যাবে। একটি তেলের পিপায় আংশিক ভিজানো মিশ্রণ নিয়ে পিপার মুখ বন্ধ করে নীচ দিক থেকে তাপ দিয়েও একে জীবাণুমুক্ত করা যেতে পারে। কাঠ কয়লা মাধ্যমের নিষ্কাশনযোগ্যতা বাড়ায় এবং পানি ধরে রাখে, তাই যে কোনো মিশ্রণের সাথে কিছু পরিমাণ গুঁড়া করা কাঠ কয়লা যোগ করলে উপকার পাওয়া যায়।
টব ও ঝুলানো ঝুড়িতে জন্মাবার উপযোগী উদ্ভিদ
সাধারণভাবে বলতে গেলে, যে কোনো আলঙ্কারিক উদ্ভিদই টবে জন্মানো সম্ভব, কিন্তু সবগুলো টবে ভাল মানায় না। টবের উদ্ভিদ নির্বাচনের সময় যে বিষয়টি বিশেষভাবে লক্ষ্য করতে হবে তা হলো, টব রাখার স্থানে লভ্য আলোর পরিমাণ এবং সংশ্লিষ্ট উদ্ভিদের আলোর চাহিদা। নীচে টবে জন্মানোর উপযোগী কয়েকটি উদ্ভিদের তালিকা দেয়া হলো, এর মধ্য থেকে যে কেউ নিজের পছন্দমতো উদ্ভিদ বেছে নিতে পারেন।
পূর্ণ আলোকিত স্থানের উদ্ভিদ
মৌসুমী ফুল: Amaranthus গণের প্রজাতিসমূহ, স্ন্যাপ ড্রাগন, মোরগ ঝুঁটি, চন্দ্র মল্লিকা, Parrot’s bill, ডালিয়া, কার্নেশন, কোচিয়া, স্যালভিয়া ও গাঁদা।
ফুলধারী গুল্ম: মুক্তোঝুরি, চিংড়ি ফুল, ক্রসান্ড্রা , লঙ্কাজবা, গোলাপ, নয়নতারা।
লতানো উদ্ভিদ: উলট চণ্ডাল, হাওয়া লতা, প্রভাত গরবী, Chilean bell flower, কুঞ্জলতা।
বাহারী পাতার উদ্ভিদ: কোলিয়াস, বিগোনিয়া, ব্রমেলিয়াড, Pseuderanthemun spp., Aloe spp., Kalanchoe spp.।
অন্যান্য উদ্ভিদ: Barbados lily, পাটা ঝাউ, New Caledonian pine, Euphorbia spp., Butterfly palm.
আংশিক ছায়াময় স্থানের উদ্ভিদ:
সন্ধ্যামণি, Dumb_cane, অ্যারালিয়া, Zebra plant, Jatropha podagrica, Philodendron গনের প্রজাতিসমূহ, Scinalapsus গণের প্রজাতিসমূহ, এ্যালোকেশী, Anthuriunn spp., Caladium spp., Maranta, Calathea, Cordyline, FicuS elastica, Snake plant, Slipper flower, লেডি পাম, সিকাড, Cast iron plant, Chinese evergreen.
ঝুলানো ঝুড়িতে লাগাবার উদ্ভিদ:
পিটুনিয়া, Nasturtium, Asparagus sprengeri, Chlorophytum elatum, Tradescantia spp., পরাশ্রয়ী ক্যাক্টাস, অর্কিড, Flying gold fish plant, Begonia scandens এবং ফার্ন।
পানিতে জন্মাবার উপযোগী উদ্ভিদ
এমন কিছু উদ্ভিদ আছে যেগুলোর গোড়ার দিক পানিতে চুবিয়ে রাখলেও এরা অনায়াসেই বেঁচে থাকে, যদিও এ অবস্থায় এরা দীর্ঘস্থায়িভাবে আকর্ষণীয় থাকে না। অনেক সময় অস্থায়ীভাবে ঘর সাজাতে এগুলো ব্যবহার করা হয়। উদ্ভিদকে সুস্থ রাখতে হলে মাঝে মাঝে পানি বদলানো এবং পানিতে কিছু সার প্রয়োগ করা প্রয়োজন। যেসব উদ্ভিদ এভাবে জন্মানো যায় তাদের মধ্যে Aglaonema modestum, Dumb cane, পাতাবাহার, পূরবী লতা ও Tradescantia spp. বিশেষ উল্লেখের দাবিদার।
টবের গাছের পরিচর্যা
টবে গাছ লাগাবার প্রথম বিবেচ্য হচ্ছে টবের সাইজ নির্ণয় করা। বৃহদাকার টবে ক্ষুদ্র গাছ অত্যন্ত বেমানান। দীর্ঘজীবী উদ্ভিদের বেলায় প্রথমে ক্ষুদ্রাকার টবে গাছ লাগিয়ে পরে এক বা একাধিকবার বড় টবে স্থানান্তরিত করতে হয়। দীর্ঘাঙ্গী উদ্ভিদের জন্য লম্বা টব ও ছড়ানো উদ্ভিদের জন্য চ্যাপ্টা টব ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়। ঠিকমতো যত্ন নিতে পারলে ছোটো টবেও বেশ বড় গাছ জন্মানো সম্ভব।
পানি নিষ্কাশনের জন্য সব টবের নীচে এক বা একাধিক ছিদ্র থাকে। মিশ্রণ ভরার আগে ছিদ্রের উপর ভাঙ্গা টবের একটু বাঁকা টুকরা ও তার উপর ২-৩ সেমি পরিমাণ ইটের কুচি এবং টবের বাকিটুকু মিশ্রণ দ্বারা ভরাট করতে হবে। মিশ্রণের উপরিভাগ টবের কিনার থেকে ২-৩ সেমি নীচে থাকবে যাতে মাটি ও সেচের পানি উপচে না পড়ে। টবের মাঝখানে চারা বসিয়ে এর চারিদিকে মিশ্রণ ঠেসে দিতে হবে। বৈঠক খানার বা বারান্দায় টব রাখতে হলে নীচে থালা দিতে হবে। ঝুলানো ঝুড়ির নীচেও থালা বেঁধে দেয়া প্রয়োজন, নতুবা সেচ দেয়ার পর ময়লা পানি পড়ে মেঝে নষ্ট হবে।
টবের গাছে সেচ দেয়ার ব্যাপারে বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন। অতি অল্প বা অতিরিক্ত সেচ কোনোটাই ভাল নয়। প্রতিবার সেচ দেয়ার সময় এমন পরিমাণ পানি দিতে হবে যাতে টবের মাটি সম্পূর্ণ ভিজে গিয়ে কিছু নীচের ছিদ্র দিয়ে বেরিয়ে যায় যায়। মাটি সম্পূর্ণ শুকাবার পূর্বেই আবার সেচ দিতে হবে। কেবল মিশ্রণের উপরিভাগ ভিজিয়ে ঘন ঘন সেচ দেয়া ক্ষতিকর। পানি ঢালার পর যদি দেখা যায় নীচের দিকে সহজে প্রবাহিত হচ্ছে না, তাহলে বুঝতে হবে মিশ্রণে নিষ্কাশন সমস্যা রয়েছে। এ অবস্থায় সরু কাঠি দিয়ে খুঁচিয়ে ঠিক করে দিতে হবে। মিশ্রণ নিষ্কাশিত না হওয়া উদ্ভিদের জন্য ক্ষতিকর। মার্চ-মে মাসে পত্রবহুল গাছের পাতায় দৈনিক দু’একবার করে পানি সিঞ্চন করা উপকারী।
সঠিকভাবে সার প্রয়োগের উপর টবে গাছ জন্মনোর কৃতকার্যতা অনেকাংশে নির্ভরশীল। এই লেখায় বর্ণিত উপায়ে মিশ্রণ তৈরি করলে তাতে গাছের অনেকদিন চলার মতো ফসফরাস, ক্যালসিয়াম ও গৌণ উপাদান থাকবে। সার প্রয়োগ করে প্রধানত নাইট্রোজেন ও পটাশিয়াম সরবরাহ করতে হবে। উন্নত দেশে বিভিন্ন জাতের উদ্ভিদের জন্য নির্দিষ্ট ফর্মুলা অনুযায়ী তৈরি সার পাওয়া যায়। আমাদের দেশে এরকম কিছু সহজলভ্য নয়। এখানে নাইট্রোজেন বাহী সারের মধ্যে ইউরিয়া, অ্যামোনিয়াম সালফেট ও ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট এবং পটাসিয়াম বাহী সার হিসেবে কেবল মিউরিয়েট অব পটাশ পাওয়া যায়। ইউরিয়াতে কোনো কোনো সময় বাই-ইউরেট নামে একটি বিষাক্ত দ্রব্য থাকে। এ কারণে এটা টবের গাছের জন্য নিরাপদ নয়, তবে অন্য সারের অনুপস্থিতিতে ইউরিয়া ব্যবহার না করে উপায় কি? সেচের পানির সাথে ১৫ থেকে ২০ দিন পর পর টব প্রতি চা চামচের আধা চামচ করে ইউরিয়া ও মিউরেট অব পটাশ অথবা এদের পরিবর্তে এক চামচ পটাশিয়াম নাইট্রেট (রাসায়নিক দ্রব্য বিক্রেতারদের কাছে এটি পাওয়া যাবে) প্রয়োগ করা যেতে পারে। টবের গাছের জন্য জৈব তরল সার খুব উপকারী। একটা মাটির গামলায় পানির মধ্যে তাজা গোবর বা খৈল ২০-২৫ দিন রেখে দিলে তা পচে তরল সার তৈরি হয়, এর সাথে কিছু ইউরিয়া যোগ করলে পচন দ্রুততর হয়। তরল সারে সকল খাদ্যোপাদান বিদ্যমান এবং এগুলো ধীরে ধীরে গাছের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। মাঝে মাঝে অল্প করে তরল সার প্রয়োগ করলে টবের গাছে কোনো খাদ্যোপাদানের অভাব হওয়ার কথা নয়।
সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য সব উদ্ভিদেরই আলো প্রয়োজন। এ জন্য ছায়ায় রাখা টবের গাছ মাঝে মাঝে আলোকিত স্থানে স্থানান্তরিত করে রোদ খাওয়ানো প্রয়োজন।
তথ্যসূত্র:
১. ড. মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ, ফুলের চাষ, দিব্যপ্রকাশ ঢাকা, দিব্যপ্রকাশ সংস্করণ বইমেলা ২০০৩, পৃষ্ঠা ১৮৭-১৯১।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।