শ্বেত তুলসি আফ্রিকা ও এশিয়ার ঔষধি বিরুৎ

ঔষধি বিরুৎ

শ্বেত তুলসি

বৈজ্ঞানিক নাম: Ocimum suave Willd., Enum. Pl.:629 (1809). সমনাম: Ocimum gratissimum L. var. suave (Willd.) Hook. f. (1885), Ocimum gratissimum var. gratissintun Paton (1992). ইংরেজি নাম: জানা নেই। স্থানীয় নাম: শ্বেত তুলসি, চা তুলসি। জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae বিভাগ: Angiosperms অবিন্যাসিত: Eudicots অবিন্যাসিত: Asterids বর্গ: Lamiales পরিবার: Lamiaceae গণ: Ocimum প্রজাতির নাম: Ocimum suave

ভূমিকা:  শ্বেত তুলসি (বৈজ্ঞানিক নাম: Ocimum suave) লামিয়াসি পরিবারের ওসিমাম গণের বিরুৎ।  বাংলাদেশে যে পাঁচ প্রজাতির তুলসি পাওয়া যায় এটি তার মধ্যে একটি। অন্যান্য তুলসিগুলি হচ্ছে বন তুলসি, বাবুই তুলসি, কালো তুলসি এবং রাম তুলসি। সবগুলো তুলসিই ভেষজগুণে অনন্য এবং একটির পরিবর্তে অন্যটি ভেষজ কাজে লাগানো যায়।  তুলসির সাবেক বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ ছিলো পবিত্র স্থান।[১] তুলসির উপকারিতা সম্পর্কে পড়ুন

মহা উপকারি তুলসি গাছের ঔষধি গুণাগুণ

বর্ণনা: শ্বেত তুলসি বর্ষজীবী বীরুৎ, প্রায় ৬০ সেমি লম্বা। কাণ্ড রোমশ, অধিকাংশ ক্ষেত্রে খাজের উপর। পত্র সবৃন্তক, পত্রবৃন্ত ২.৫-৩.৫ সেমি লম্বা, বাদামি রোমশ, পত্রফলক ৫-৮ x ২-৩ সেমি, উপবৃত্তাকার-বল্লমাকার, করাত দপ্তর, দীর্ঘাগ্র, উভয় পৃষ্ঠ বাদামি রোমশ। পুস্পমঞ্জরী শীর্ষীয় প্যানিকলে বিন্যস্ত, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শুভ্র রোমাবৃত অথবা রোমশ। বৃতি প্রায় ০.৪ সেমি লম্বা, বাইরে রোমশ। দলমণ্ডল প্রায় ০.৫ সেমি লম্বা।

পুংকেশর ৪টি, নিচের দিকে বক্র, দলমণ্ডল অপেক্ষা লম্বায় বড়, পুংদণ্ড পৃথক অথবা নিচের গুলো নিম্নদিকে যুক্ত, অনাবৃত বা উপরের গুলো দম্ভর ও নিচে রোমশ ও লোমযুক্ত, পরাগধানীর কোষগুলো সম্মিলিত। ডিস্ক অখণ্ড অথবা ৩-৪ খণ্ডিত। গর্ভাশয় ৪ প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট, গর্ভদণ্ড সরু, দ্বিখণ্ডিত, খণ্ড তুরপুন আকার বা চাপা। নাটলেট ৪টি, শুষ্ক।[২]

ক্রোমোসোম সংখ্যা: ২n = ৩২ (Fedorov, 1969)।

আবাসস্থল ও চাষাবাদ: রাস্তার কিনারায় আগাছা হিসেবে জন্মায়। বীজ থেকে চারা হয়। ফুল ও ফল ধারণ ঘটে এপ্রিল থেকে আগস্ট মাসে।

আরো পড়ুন:  লেবু তুলসি রান্নায় ব্যবহৃত আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার বিরুৎ

বিস্তৃতি: উষ্ণমণ্ডলীয় আফ্রিকা, মাদাগাস্কার, ভারত ও শ্রীলংকা। বাংলাদেশে ইহা যশোর জেলাতে পাওয়া যায়।

অন্যান্য তথ্য: বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ৮ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) শ্বেত তুলসি প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এদের সংকটের কারণ দেখা হয়েছে সীমাবদ্ধ বিস্তৃতি এবং বাংলাদেশে এটি আশঙ্কাজনক হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশে শ্বেত তুলসি সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রস্তাব করা হয়েছে ইন-সিটু পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করতে হবে। [১]

তথ্যসূত্র:

১. আয়ুর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্টাচার্য, চিরঞ্জীব বনৌষধি খন্ড ১, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, প্রথম প্রকাশ ১৩৮৩, পৃষ্ঠা, ৭৬-৭৮।

২. মাহবুবা খানম (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস”  আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ৮ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৩১১। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

Leave a Comment

error: Content is protected !!