জালিনাবাগের জালালাবাদের এসেছে আদেশ, চলাে চলাে বীর, পরো পরো বীর সৈনিকের বেশ হচ্ছে হেমাঙ্গ বিশ্বাসের লেখা একটি আধুনিক বাংলা গণসংগীত। গানটি মাঝারি আকারের ১৯ লাইনের একটি বাংলা গণসংগীত। গানটি সুর করেছিলেন সুর করেন দেবব্রত বিশ্বাস এবং হেমাঙ্গ বিশ্বাস নিজেই গেয়েছিলেন। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির কলকাতায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় কংগ্রেসের প্রারম্ভ গীত হিসেবে বিনয় রায়ের নেতৃত্বে প্রথম গাওয়া হয়। পরবর্তীতে মণিলাল মজুমদার, এবং হেমাঙ্গ বিশ্বাসের মেয়ে রঙ্গিলি বিশ্বাসসহ আরো অনেকেই গানটি গেয়েছেন।
গানটি হেমাঙ্গ বিশ্বাসের একটি জনপ্রিয় গণসংগীত এবং এই গানটিতে জালিয়ানওয়ালাবাগ এবং জালালাবাদ বা চট্টগ্রামের শহিদ হওয়া স্বাধীনতা সংগ্রামীদেরকে না ভুলবার শপথ করা হয়েছে। গানটিতে শহিদদের রক্তের প্রতিশোধ নেবার এবং হত্যাকারীদের বিচার করবার কথা বলা হয়েছে। বিভিন্ন শব্দ সাজিয়ে শোষকদেরকে ধ্বংস করবার কথা বলা হয়েছে। গানটি দ্রুত লয়ে গণসংগীতের সুরে গাওয়া হয়েছে। গানটির কথা এবং গানটিকে রোদ্দুরে ডট কম আপনাদের কাছে উপস্থাপন করতে পেরে আনন্দিত।
‘জালিনাবাগের জালালাবাদের এসেছে আদেশ’ গানের কথা
জালিনাবাগের জালালাবাদের এসেছে আদেশ
চলাে চলাে বীর, পরো পরো বীর
সৈনিকের বেশ।।
স্বাধীনতা-সংগ্রাম হয়নি তো আজো শেষ।
হত্যাকারীর আজো হয়নি বিচার
হয়নি তাে শােধ, দু’শতকের রক্তের যতো ধার
শােষণের কারাগার ঘিরে চারিধার
ভ্রাতৃবিরোধে ডুবছে স্বদেশ!
এ তো নহে বন্দর
এ যে চোরা বালুচর
দস্যুর ঘাটে তুমি ফেলেছ নোঙর
যাত্রীরা হুশিয়ার —
কুচক্রী কালাে মেঘ ঘিরে চরাচর
যাত্রীরা হুশিয়ার—
ধ্বংসের দানবেরা মিলায়েছে হাত
স্বদেশে, বিদেশে মিলে একসাথ
হানো শেষ আঘাত, হানাে শেষ আঘাত
বিষাক্ত নাগিনীরে কর নিঃশেষ।
গানটি ইউটিউবে শুনুন এবং কেমন লাগলো তা জানান
সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমার চুনারুঘাট উপজেলার মিরাসি গ্রামে জন্ম নেয়া হেমাঙ্গ বিশ্বাস বাংলা গণসংগীতের জননন্দিত মহাযোদ্ধা। তিনি একজন বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী, কবি, লেখক এবং সুরকার। মূলত লোকসঙ্গীতকে ভিত্তি করে গণসঙ্গীত সৃষ্টির ক্ষেত্রে তাঁর অবদান বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয়। “হেমাঙ্গ বিশ্বাসের গান” এবং “শঙ্খচিলের গান” তাঁর গানের দুটি সঙ্কলন।