উদয় পথের যাত্রী
ওরে ছাত্রছাত্রী,
মশাল জ্বালো, মশাল জ্বালো, মশাল জ্বালো।
প্রেতপুরীর এই অন্ধ কারায় আনো আলো।।
পিশাচ নিশাচর
ঘিরিছে চরাচর
বাণীর পূজারী কাঁদে নিরন্ন বেদনায় কাঁদে জর্জর;
আলোক মিনারে প্রদীপ শিখারে ওরা যে নিভালো।।
শিক্ষাবিহীন গৃহহারা যারা কাঁদিছে আঁধারে
হে প্রগতির সৈনিক তোরা ভুলিবি কি তাদেরে।
কঙ্কালে প্রাণ দাও
জীবনের গান গাও
ভুলি ভেদাভেদ অন্ধআবেগ, হাতে হাত মিলাও
ধনপিপাসায় মূঢ় হতাশায় আগুন জ্বালো।।
সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমার চুনারুঘাট উপজেলার মিরাসি গ্রামে জন্ম নেয়া হেমাঙ্গ বিশ্বাস বাংলা গণসংগীতের জননন্দিত মহাযোদ্ধা। তিনি একজন বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী, কবি, লেখক এবং সুরকার। মূলত লোকসঙ্গীতকে ভিত্তি করে গণসঙ্গীত সৃষ্টির ক্ষেত্রে তাঁর অবদান বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয়। “হেমাঙ্গ বিশ্বাসের গান” এবং “শঙ্খচিলের গান” তাঁর গানের দুটি সঙ্কলন।