শিল্পকলা বা চারুকারুকলা বা আর্ট (ইংরেজি: The Arts) বলতে বস্তু, পরিবেশ এবং অভিজ্ঞতার উৎপাদন করার জন্য দক্ষতা এবং কল্পনার মাধ্যমে মানব সংস্কৃতি ও সমাজে তত্ত্ব, মানব অনুশীলন এবং সৃজনশীলতার শারীরিক অভিব্যক্তিকে বোঝায়। অর্থাৎ শিল্পকলা হচ্ছে শিল্পীর আন্তরিক যত্ন, স্নেহ, প্রেম দিয়ে তৈরি মানবের সাংস্কৃতিক ক্রিয়ার প্রকাশিত বাহ্যিক রূপ। এই শিল্পের মধ্যে গান, নাচ, ছবি, চলচ্চিত্র, ভাস্কর্য ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। সপ্তদশ শতাব্দী পর্যন্ত যেকোন সৃষ্টি বা বিষয়ের উপর বিশেষ দক্ষতাকেই শিল্প হিসাবে বিবেচনা করা হতো। এটি কেবল্মাত্র বিজ্ঞান কিংবা নৈপুণ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলোনা। সপ্তদশ শতকের পরেই সাধারণ বিষয় থেকে চারুকলাকে আলাদা বা পৃথক করা হয়েছে। আমাদের রোদ্দুরে সাইটে শিল্প ক্যাটাগরিতে গান, ছবি সম্পর্কে বেশ কিছু প্রবন্ধ আছে।
আলোকচিত্র হচ্ছে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর স্থির চিত্র। যা তৈরি করতে আলো বা অন্য কোনো তড়িচ্চুম্বকীয় বিচ্ছুরণকে কাজে লাগানো হয়। ক্যমেরা দ্বারা আলোকচিত্র ধরা হয়। এরপরে বিশেষ কাগজের মাধ্যমে সেটা দৃশ্যমান হয়। বর্তমানে অনেক আধুনিক ক্যমেরার মাধ্যমে আলোকচিত্র ধরা হয়। এখন এটা লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। একজন আলোকচিত্রী ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করেন ও সুন্দর সুন্দর চিত্রকে ধরার চেষ্টা করেন।
চলচ্চিত্র হচ্ছে একধরনের চলমান, দৃশ্যমান বিনোদন। যা মানুষের চিত্তকে আনন্দ দিয়ে থাকে। চলচ্চিত্র সাংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যেকোন বাস্তব ঘটনা বা কাল্পনিক কাহিনীকে বিভিন্ন কলাকুশলীর মাধ্যমে কৃত্রিম যন্ত্রপাতি দিয়ে উপস্থাপন করা হয়। কৃত্রিমভাবে দ্বিমাত্রিক চলমান চলচ্চিত্র তৈরির কৌশল আবিষ্কৃত হয়েছিল ১৮৬০ সালের দিকে। সমাজের অসঙ্গতি, অন্যায়, আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থাকে তুলে ধরার জন্য চলচ্চিত্র গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
চিত্রকর্ম হচ্ছে তুলি ও রঙের কাজ। শিল্পী কোনো বিষয় বা ব্যক্তিকে নানা ধরণের রঙের মাধ্যমে কোনো পটভুমিতে এঁকে থাকেন। এই কাজ শিল্পী শখ বা পেশাগত কারণে করে থাকেন। এজন্য শিল্পী বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করে থাকেন যেমন, দেয়াল, কাঠ, বাঁশ, তুলি, রং, ফ্রেম ইত্যাদি। অনেকে কৃত্রিম রং ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক রং দিয়ে চিত্রকর্ম করেন।
সঙ্গীত হচ্ছে শিল্প। শ্রুতিমধুর ভাষাকে সুর দিয়ে ও বাদ্যযন্ত্র সহ বা ছাড়া কন্ঠে আনা হয়। সঙ্গীত অনেক পুরাতন সংস্কৃতি। রাজা বাদশারা নিজের দরবারে নিয়মিত সঙ্গীতের আসর বসাতো। অনেক রাজার সভা কবির মতো সভা গায়কও থাকতো। যখন পাথর যুগ ছিলো তখন মানুষ প্রকৃতি থেকে সুর সংগ্রহ করতো।
আবার ভাস্কর্য হচ্ছে শিল্পের একটি রূপ। যা ত্রি-মাত্রিক শিল্পকর্ম। যুগ যুগ থেকে এর গুরুত্ব অনেক। পূর্বে শাসকরা নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য ভাস্কর্য তৈরি করতো। এটা প্রতীক হিসাবে অনেক শিল্পী উপস্থাপন করে।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।