বাংলাদেশের মানুষের সংস্কৃতি (ইংরেজি: Culture of Bangladesh) এবং বাংলাদেশের মানুষের সাংস্কৃতিক জীবনধারা (ইংরেজি: Cultural Life of Bangladeshi People) হচ্ছে হাজার বছরের সংস্কৃতির সাথে সংশ্লেষিত বঙ্গ অঞ্চলের মানুষের জীবনের ব্যবহারিক সংস্কৃতি। বাংলাদেশের মানুষের সংস্কৃতি মূলত অর্থনৈতিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশের ভিন্নতা এবং এর সাথে খাপ খাওয়ানোর ভিন্ন ভিন্ন কৌশল ও উপকরণের কারণে এখানকার সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য নিজস্ব হয়েছে। বাংলাদেশের সংস্কৃতির রয়েছে আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য যা এটিকে অন্য সংস্কৃতি থেকে পৃথক করেছে। তবে নানা জাতির আগমনে এদেশের সংস্কৃতিতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উপাদানের সংমিশ্রণ ঘটেছে। সংস্কৃতির এ সকল উপাদানের মধ্যে রয়েছে ভাষা, চিন্তা, বুদ্ধি, জ্ঞান, ধ্যান-ধারণা, মূল্যবোধ, আচার-আচরণ ইত্যাদি। আবার বাংলাদেশের সংস্কৃতি যুগে যুগে বহির্বিশ্বের নানাবিধ সাংস্কৃতিক উপাদান দ্বারা সমৃদ্ধ ও প্রভাবিত হয়েছে। বিশেষ করে পর্যায়ক্রমে বিদেশী শক্তির আগামন, আগ্রাসন, ঔপনিবেশিক শাসন, শোষণ এবং নানা সাংস্কৃতিক উপাদান একীভূতকরণের ফলে আমাদের সংস্কৃতি একটি মিশ্র সংস্কৃতিতে রূপান্তরিত হয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে আগত জনগোষ্ঠী যেমন আর্য, দ্রাবিড়, অস্ট্রিক, মঙ্গোলীয়, আফগান, পাঠান, মারাঠী, পার্সিয়ান, মুঘল, সালতানাৎ, পর্তুগীজ, ওলন্দাজ, ইংরেজ ইত্যাদি জনগোষ্ঠীর কারণে এ অঞ্চলের বাঙালিরা যেমন সংকর জাতিতে পরিণত হয়েছে তেমনি এদের আচার-আচরণ, ধ্যান-ধারণা, মূল্যবোধ, প্রথা, রীতি-নীতি, আচার-অনুষ্ঠান, শিল্পকলা, ভাষা, সাহিত্য, অর্থনীতি, সমাজনীতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবও ফেলেছে।
বাংলাদেশের সংস্কৃতি অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান পতনের সাথে সাথে বিভিন্ন যুগে পরিবর্তিত হয়েছে। এদেশের মানুষের সাংস্কৃতিক জীবনধারা জানার জন্য আমাদেরকে জীবনধারণ প্রণালী সম্পর্কে জানতে হবে। কোন দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে যখন স্বাধীনতা ও পরাধীনতার মতো বড় ওলটপালট ঘটে, তখন এর প্রভাব থেকে সে দেশের সমাজ ও সংস্কৃতি মুক্ত থাকতে পারে না। বাংলাদেশের জনগণের উত্থান ও পতনের সাথে এখানকার সংস্কৃতিরও রূপান্তর ঘটেছে।
নবাবি আমলে (১৭০৪-১৭৫৭) দেশে একটি নব্য অভিজাত শ্রেণি গড়ে উঠেছিল। এই শ্রেণির সদস্য ছিল উচ্চবর্ণের হিন্দুরা। নবাবি আমলের আমলাতন্ত্রে, ভূমি নিয়ন্ত্রণে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে মুসলমান, বিশেষকরে স্থানীয় মুসলমানের অংশ ছিল নামেমাত্র। ইংরেজ রাজত্ব প্রতিষ্ঠার ফলে নতুন রাষ্ট্রকাঠামোতে নবাবি আভিজাত্যের অস্তিত্ব অসঙ্গতিপূর্ণ হয়ে পড়ে। অতএব, ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রব্যবস্থাধীনে নবাবি আভিজাত্যের পতন ঘটে। এর অবশ্যম্ভাবী প্রভাব পড়ে দেশের শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে। গড়ে উঠে নতুন সমাজব্যবস্থা।[১]
রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতিতে এই যে ব্যাপক পরিবর্তন, এর সঠিক সনাক্তকরণ ও মূল্যায়ন দরকার, নচেৎ যেসব ঘটনাপ্রবাহ ও পরিবর্তন বঙ্গ ভূখণ্ডের পরিবর্তন, বাঙালি জাতীয়তাবাদের এবং উগ্র বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটিয়েছে সেগুলির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনুধাবন করা সম্ভব নয়। নিম্নে বাংলাদেশের মানুষের সাংস্কৃতিক জীবনধারা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
পরিবেশন শিল্পকলায় বাংলাদেশ
পরিবেশন শিল্পকলায় বাংলাদেশের একটি সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে। প্রাচীন কাল থেকে যাত্রা, বাউলগান, গম্ভীরা প্রভৃতি উপস্থাপন করা হয় গান, নাচ এবং নাটক-অভিনয়ের মাধ্যমে। জারি নাচ, সারি নাচ, লাঠি নাচ, খেমটা নাচ এবং ঘাটু নাচ যথাক্রমে জারি গান, সারি, লাঠি নাটক, খেমটা গান এবং ঘাটু গানের অংশ হিসেবে পরিবেশিত হয়েছে। মেয়েলী গীত, সহেলা গীত এবং হুদমা গীত মহিলাদের আশা এবং আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করে। হোলি গীত, গাজীর গান, মগন গীত, বিয়ের গানগুলি যথাযথ অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় অনুষ্ঠানগুলির সাথে উপস্থাপন করা হয়। কিছু সংগীত পেশাদার গায়কদের দ্বারা উপস্থাপন করা হয় যা গয়ন, বয়াতী এবং গিদাল নামে পরিচিত, অন্যগুলি স্বাচ্ছন্দ্য এবং আনন্দ উপভোগের জন্য বাড়ির বাইরে এবং বাইরে শ্রমজীবী এবং অন্যান্য শ্রমিকদের দ্বারা গাওয়া হয়।
বাংলাদেশের সংগীত
বাংলাদেশের সঙ্গীত বা বাংলাদেশের গান (ইংরেজি: Music of Bangladesh) হচ্ছে পূর্ব বঙ্গ, দক্ষিণ বঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের মানুষের হাজার বছরের সংগীতের ধারা। উত্তর বাংলার ভাওয়াইয়া, পূর্ব বাংলার ভাটিয়ালি, দক্ষিণবাংলার সারি হচ্ছে এই অঞ্চলের আঞ্চলিক স্বাতন্ত্রে উজ্জ্বল সংগীতের তিনটি প্রধান ধারা।
মূল নিবন্ধ: বাংলাদেশের সঙ্গীত পূর্ববঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের হাজার বছরের সংগীতের ধারা
বাংলাদেশের মানুষের আনন্দ বেদনা, মিলন বিচ্ছেদ, উৎসব রিক্ততা, প্রেম বিদ্বেষ, ক্রোধ প্রশান্তি, আশা হতাশা ইত্যাদি যেসব গানে ফুটে ওঠে তাই হাজার বছরের বাংলাদেশের গান। দুঃখ বিষাদ ঔদাস্য শূন্যতা; কুণ্ঠা লজ্জা দ্বিধা; পুলক শিহরণ রোমাঞ্চ; ফুর্তি উচ্ছাস উল্লাস ছড়িয়ে আছে বাংলাদেশের গানে। বাংলা ভাষী অঞ্চলের মানুষের জীবনের সমস্ত অনুভূতিকে, সমস্ত অভিব্যক্তিকে শুধু প্রকাশ করেই তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের সংগীত।
ভাষা:
বাংলাদেশের বাঙালিদের ভাষা বাংলা। এছাড়াও অনেক জাতির নিজস্ব ভাষা রয়েছে। আর বাংলা ভাষায় অন্যান্য ভাষা থেকে শব্দ এসে এ ভাষার মৌলিকত্বকে নাড়া দিলেও ভাষাকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করেছে। তৎসম, অর্ধতৎসম, তদ্ভব এবং বিভিন্ন বিদেশি ভাষা থেকে আগত শব্দ (আরবি, ফার্সি, হিন্দি, উর্দু, তুর্কি, চাইনিজ, জাপানি, বার্মিজ, পর্তুগীজ, ওলন্দাজ, গুজরাটি, মারাঠি, ইংরেজি, ফরাসি, স্প্যানিশ ইত্যাদি) বাংলা ভাষাকে নতুন মাত্রা দিয়েছে এবং এদেশের মানুষ এই ভাষার মাধ্যমে তাদের ভাবের আদান প্রদান করে থাকে।
সংকেত বা প্রতীক:
সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো সংকেত বা প্রতীক। বাংলা ভাষাই বাংলাদেশের মানুষের অতি গুরুত্বপূর্ণ সংকেত। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বাংলাদেশের মানুষের জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ১৯৭১ সালে মহান গণযুদ্ধের মাধ্যমে লাল সবুজের এ পতাকা অর্জিত হয়।
খাদ্যাভ্যাস:
আমাদের অতি পরিচিত একটি প্রবাদ মাছে ভাতে বাঙালি। মাছে ভাতে বাঙালি বাংলাদেশের মানুষের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ধারণ করে। বাংলাদেশেরর মানুষ প্রধানত ভাত, মাছ, ডাল, শাক সবজি, মাংস, ডিম, দুধ ইত্যাদি খেয়ে থাকে। বেশির ভাগ মানুষ তিন বেলাতেই ভাত খায়। তবে অনেকে ভাতের বদলে রুটিও খেয়ে থাকেন। শহর এলাকাতে মানুষ দিনের বিভিন্ন সময় নাস্তাও করে থাকেন। বর্তমানকালে শহর এলাকায় ফাস্টফুড জাতীয় নাস্তার ব্যাপক প্রচলন লক্ষ্য করা যায়। কোনো উৎসব অনুষ্ঠানে মাংস, রোস্ট, পোলাও, বিরিয়ানি, জর্দা ইত্যাদির প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়।
পোষাক-পরিচ্ছদ
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ লুঙ্গি, গেঞ্জি, গামছা, পাজামা-পাঞ্জাবি, ফতুয়া পরিধান করে। শহর এলাকায় প্যান্ট, শার্ট, টি-শার্ট, ট্রাউজার, ক্যাপ, ব্লেজার পরিধান করে। মেয়েরা শাড়ি, ব্লাউজ, পেটিকোট, সালোয়ার কামিজ, বোরকা ইত্যাদি পরিধান করে। গ্রাম কিংবা শহর সবখানে গামছা ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। মেয়েরা পাউডার, নেলপালিশ, টিপ, লিপস্টিক, কাচের চুড়ি, গহনা, ঝুমকা, নাকফুল ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকে। সনাতন ধর্মের বিবাহিতা মেয়েরা সিঁথিতে সিঁদুর এবং হাতে শাঁখা পরে।
বাড়িঘর:
মাটির দেয়ালের উপর শন বা খড়ের চালা বাংলাদেশের মানুষের সংস্কৃতির একটা অংশ। একসময় বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে মানুষ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মাটির দেয়ালের উপর টিনের চালার ঘর ব্যবহার করতো। তবে ইদানীং টিনের বেড়া এবং টিনের চাল এবং আধা পাকা ঘরে টিনের চাল, পাকা ভবন দেখা যায়। তবে প্রতিকূল প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে অঞ্চলভেদে টিনের বেড়ার ঘর এবং মাটির দেয়ালের ঘর পরিলক্ষিত হয়। শহর অঞ্চলে মোটামুটি পাকা ঘরের আধিক্য বেশি এবং বাড়ির ভিতরে সোফাসেট, খাট-পালংক, ডাইনিং টেবিল ইত্যাদি দেখা যায়। গ্রামাঞ্চলে চৌকি, খাট ইত্যাদি বেশি লক্ষ্যণীয়।
ধর্ম:
বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ ইসলাম ধর্মে অনুসারী। এছাড়াও এদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মের মানুষ বসবাস করে। বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠীর জনসংখ্যা যেমন-চাকমা, মারমা, হাজং, মণিপুরি, গারো, রাখাইন ইত্যাদি এখানে বসবাস করে এবং তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ইসলাম ধর্মের অনুসারী বাংলাদেশিরা মসজিদে, হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা মন্দিরে, বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীরা প্যাগোডায় এবং খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারীরা চার্চে যায় তাদের উপাসনা করার জন্য। মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে দুই ঈদ, মিলাদ-উন-নবী ইত্যাদি। এছাড়া নামাজ, রোজা, যাকাত তাদের প্রধান ধর্মীয় রীতি। হিন্দুদের দুর্গাপূজা, কালিপূজা, লক্ষ্মীপূজা, মনসা পূজা, সরস্বতী পূজা এবং বৌদ্ধদের বৌদ্ধপূর্ণিমা ও খ্রিস্টানদের খ্রিস্টমাস, ইস্টার সানডে ইত্যাদি।
মৌলিক অর্থনীতি:
বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত কৃষিভিত্তিক। গত কয়েক দশকে ডেইরি, পোল্ট্রি এবং মৎস্য চার গ্রামীণ অর্থনীতি নতুন গতি সঞ্চার করেছে। সাম্প্রতিককালে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রেরিত বৈদেশিক মুদ্রা (রেমিটেন্স) এবং তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানি আয় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশের খনিজ সম্পদের মধ্যে গ্যাস সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। সুন্দরবনসহ বনাঞ্চল, নদী, সমুদ্র ইত্যাদি প্রাকৃতিক সম্পদ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
বিনোদন:
বাংলাদেশের মানুষ বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান পালন করে। যেমন; অগ্রহায়ণ মাসে নবান্ন উৎসব, পৌষ-পার্বণ, পহেলা বৈশাখ, বৈশাখী মেলা ইত্যাদি। যাত্রা, জারিগান, লোকগান, লালনগীতি, মুর্শিদী, ভাটিয়ালি, নজরুলসংগীত, রবীন্দ্রসংগীত ইত্যাদি এদেশের মানুষের সংস্কৃতিকে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য দান করেছে। হাডুডু, দাড়িয়াবান্ধা, কানামাছি, গোল্লাছুট-এর পাশাপাশি ফুটবল ও ক্রিকেট জনপ্রিয় খেলা। গ্রামাঞ্চলের মেলাগুলোতে সার্কাস, পুতুলনাচ, নাগরদোলা প্রধান আকর্ষণ। বর্ষবরণ এবং বিজয় দিবস দেশের জাতীয় উৎসব হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।
শিক্ষা: বাংলাদেশে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি অন্তত দশের অধিক ধরনের বহুধাবিভক্ত শিক্ষা ব্যাপকভাবে প্রচলিত। এছাড়াও ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। তবে শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষার একটা প্রচলনও লক্ষ্য করা যায়।
ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব:
জমিদারী প্রথা বিলোপের পর থেকে ভূমিভিত্তিক ক্ষমতা কাঠামোর কর্তৃত্ব আগের তুলনায হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে গ্রামীণ ক্ষমতা কাঠামোতে রাজনৈতিক প্রভাব, নগদ অর্থ, শিক্ষা, প্রশাসনের সাথে সম্পর্ক, প্রযুক্তির উপর মালিকানা প্রভৃতি উপাদানের প্রভাব লক্ষ করা যায়।
তথ্যসূত্র
১. সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশের ইতিহাস ১৭০৪-১৯৭১, রাজনৈতিক ইতিহাসের প্রেক্ষাপট, প্রথম খণ্ড, মিত্র ঘোষ এন্ড পাবলিশার্স, কলকাতা, প্রথম প্রকাশ ডিসেম্বর ১৯৯৩, পৃষ্ঠা ৩
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।