বাংলা নাম: জাভা গণ্ডার, জাভাদেশীয় গণ্ডার
ইংরেজি নাম/Common Name: Javan Rhinoceros.
বৈজ্ঞানিক নাম/Scientific Name: Rhinoceros sondaicus
সমনাম: Rhinoceros javanicus, Rhinoceros floweri.
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্যKingdom: Animalia
বিভাগ/Phylum: Chordata
শ্রেণী/Class: Mammalia
বর্গ/Order: Perissodactyla
পরিবার/Family: Rhinocerodae,
গণ/Genus: Rhinoceros, Linnaeus, 1758;
প্রজাতি/Species: Rhinoceros sondaicus (Desmarest, 1822)
বর্ণনা: বাংলাদেশের স্তন্যপায়ীদের মধ্যে গণ্ডার ছিলো তিন প্রজাতির। এদের মধ্যে আমাদের আলোচ্য গণ্ডারের নাম জাভা গণ্ডার। মাথাসহ জাভা গণ্ডারের দৈর্ঘ্য ২ থেকে ৪ মিটার (৬.৫ থেকে১৩ ফুট) এবং এটি ১.৪-১.৭ মিটার (৪.৬-৫.৬ ফুট) উচ্চতায় পৌঁছতে পারে। ওজন ৯০০ থেকে ২৩০০ কেজি হয়। হালকা ধুসর বর্ণের শরীর হয় এবং নাকের সামনে থাকা শিংটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ ইঞ্চি হয়। এদের চামড়ায় কিছু ভাঁজ থাকায় তা অনেকটা বর্মের মতো দেখায়। জাভাদেশীয় গণ্ডার ভারতীয় গণ্ডারের চেয়ে ছোট, এবং কালো গণ্ডারের আকারের কাছাকাছি। এটি জাভার বৃহত্তম প্রাণী এবং এশীয় হাতির পর ইন্দোনেশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাণী।
স্বভাব: জাভা গণ্ডারের আয়ুষ্কাল ৩০-৪৫ বছর। ঐতিহাসিকভাবে এরা অতিবৃষ্টির বনভূমি, ভেজা তৃণভূমি, এবং বিশাল বন্যাপ্রবণ এলাকার সমভূমিতে বসবাস করে। এসব গণ্ডার সাধারণভাবে মানুষ এড়িয়ে চলে, কিন্তু ভয় পেলে মানুষকে আক্রমণও করতে পারে। জাভা গণ্ডার খুব দুর্লভ হবার কারণে বিজ্ঞানী ও সংরক্ষণবাদীরা এই প্রাণী সম্পর্কে খুব কমই সম্পর্কে গবেষণা করতে পারেন। সাধারণভাবে গবেষকগণ এঁদের আকার এবং আচরণ গবেষণার জন্য ক্যামেরা ফাঁদের উপর নির্ভর করেন।
বিস্তৃতি: জাভা গণ্ডার বাংলাদেশের বিলুপ্ত আবাসিক প্রাণি। বাংলাদেশে এই প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটেছে ১৯২৫ সালেরও আগে। বর্তমানে শুধু ইন্দোনেশিয়ায় ৩৫টি টিকে আছে।
অবস্থা: জাভা গণ্ডার বিশ্বে মহাবিপন্ন ও বাংলাদেশে বিলুপ্ত। বাংলাদেশের ১৯৭৪ সালের বন্যপ্রাণি আইনে এ প্রজাতি সংরক্ষিত।
বিবিধ: গণ্ডারের প্রজাতিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে হুমকির সম্মুখে আছে জাভা গণ্ডার প্রজাতিটি। ইন্দোনেশিয়ার জাভায় Ujung Kulon National Park-এ ৩৫টি জাভা গণ্ডার রয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে গোটা বিশ্বেই জাভা গণ্ডারের সংখ্যা ওই ৩৫টিই। ওই পার্কের বাইরের বেঁচে থাকা সর্বশেষ জাভা গণ্ডারটি ভিয়েতনামে ২০১০ সালে মারা গেছে।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।