ভূমিকা: কমলা পেট সরু সাপ (বৈজ্ঞানিক নাম: Trachischium tenuiceps ইংরেজি নাম: Orange-bellied Oriental Slender Snake) কলুব্রিডি পরিবারের ট্রাচিসচিয়াম গণের সাপের একটি প্রজাতি। কীট খাওয়া সাপের প্রজাতিগুলোর ভেতরে এটি একটি। বাংলাদেশের সাপের তালিকায় ট্রাচিসচিয়াম গণে যে তিনটি প্রজাতি পাওয়া যায় এটি তার একটি।
বর্ণনা: কমলা পেট সরু সাপের ৫ সেমি লেজসহ দেহের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৭ সেমি। এদের দেহ গাঢ় বাদামী রঙের, উপরিভাগ কালচে এবং অঙ্কীয়ভাগ হলুদ থেকে কমলা রঙের; লেজের অঙ্কীয়ভাগে বাদামী রঙের ছােট ফোঁটা এবং বাদামী রঙের রেখা থাকে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক সাপ হালকা বাদামী রঙের এবং পৃষ্ঠীয়ভাগের আঁইশ বাদামী রঙের যা পরবর্তীতে অনুদৈর্ঘ্য রেখা তৈরী করে।
কমলা পেট সরু সাপের আঁইশের বিন্যাস: ১৩ সারিতে সাজানাে থাকে, পুরুষ সাপের ক্ষেত্রে পায়ুর উভয় পার্শ্বের আঁইশ স্পষ্ট শিরযুক্ত, অঙ্কীয় আঁইশের সংখ্যা ১২৫-১৪০টি, নি-পুচ্ছের আঁইশের সংখ্যা ২৮-৪২ টি, জোড়ায় থাকে, প্রিন্টাল ২টি; পােষ্টঅকুলার ২টি; টেম্পােরাল ১+১ বা ১+২; সুপ্রাল্যাবিয়াল ৬টি; ৩য় ও ৪র্থ টি চোখের কাছাকাছি অবস্থিত (Smith, 1943)।
স্বভাব ও আবাসস্থল: কমলা পেট সরু সাপ পাহাড়ী এলাকায় বন-জঙ্গলে বাস করে। এদের প্রাকৃতিক স্বভাব সম্পর্কে তেমন জানা নেই।
বিস্তার: কমলা পেট সরু সাপ বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল এবং চীনে বিস্তৃত।
অবস্থান: কমলা পেট সরু সাপ আইইউসিএন কর্তৃক মূল্যায়িত নয় এবং বাংলাদেশে এই প্রজাতির সাপ সম্পর্কে তথ্য-উপাত্ত যথেষ্ট নয়।
ছবির ইতিহাস: কমলা পেট সরু সাপের ছবিটি Aamed Zambre তুলেছেন। কৃতজ্ঞতা indiansnakes.org।
তথ্যসূত্র:
১. এম কামরুজ্জামান, জিয়া উদ্দিন আহমেদ (প্রধান সম্পা.), বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: উভচর প্রাণী ও সরীসৃপ, খণ্ড: ২৫ (ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ২০০৯), পৃ. ১৬৩।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।