ভূমিকা: সুন্দি কাছিম বা সুন্দি তরুণাস্থি কাছিম বা সিন্ধু কাছিম বাংলাদেশের কচ্ছপের তালিকায় মোট ২৯ প্রজাতির কচ্ছপ, কাইট্টা ও কাছিমের একটি প্রজাতি। আমাদের আলোচ্য এই কাছিম হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সংকটাপন্ন প্রজাতি।
বর্ণনা: এই কাছিমের দেহ ছোট, দৈর্ঘ্য প্রায় ২৫-৩৫ সেমি। স্ত্রী কাছিম অপেক্ষাকৃত বড়।
স্বভাব ও আবাসস্থল: এরা পুকুর, নদী, নালাতে বাস করে। তবে এরা দেহের অর্ধেক অংশ বালু বা কাদার মধ্যে ঢুকান অবস্থায় বাস করতে পছন্দ করে। এরা লম্বা গ্রিবার মাধ্যমে দ্রুত শিকার ধরতে পারে।
বিস্তৃতি: এই কাছিম প্রজাতির বিস্তৃতি বাংলাদেশে ব্যাপক। এছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমার, নেপাল, শ্রীলংকা এবং থাইল্যন্ডে পাওয়া যায়।
অবস্থা: বিশ্বব্যাপী এই প্রজাতির কাছিম সংকটগ্রস্ত নয়। প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ে কাজ করা সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় এর নাম নেই। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনানুসারে রক্ষিত বন্যপ্রাণীর তালিকায় তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতি সংরক্ষিত।
বাস্তুতান্ত্রিক ভূমিকা: এই কাছিম পানিতে অক্সিজেনের সমতা রক্ষার জন্য কম্পন সৃষ্টি করে।
অর্থনৈতিক গুরুত্ব: বাংলাদেশে হিন্দু ও আদিবাসেদের কেউ কেউ খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। এটিও বাংলাদেশে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোক ও জেলেরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে এটিকেও বিলুপ্তির পথে অচিরেই নিয়ে যাবে।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।