ভূমিকা: কালা ডাঁটি ঢেকিয়া (বৈজ্ঞানিক নাম: Cheilanthes farinosa) পাহাড়ী ছায়াযুক্ত স্থানে জন্মে। অনেকে শোভাবর্ধনের জন্য টবে লাগিয়ে থাকে।
কালা ডাঁটি ঢেকিয়া-এর বর্ণনা:
গ্রন্থিক ১-২ সেমি লম্বা, ১.০-১.৫ সেমি পুরু, খাটো, প্রায় খাড়া, মূল গুচ্ছিত। পত্রদন্ড কমবেশী লম্বাটে, আবলুসের মতো কালো চকচকে, পাতা ত্রিকোণাকারবল্লমাকৃতি অথবা দীর্ঘ দীর্ঘাগ্রী, পত্রকের সবচাইতে নিচের জোড়াটি প্রায়শঃ দূরবতী।
পত্রফলকের নিচের পৃষ্ঠে সাদা এবং পাউডার বা গুড়াযুক্ত, সাধারণতঃ দ্বি-পক্ষল এবং পক্ষবৎ খন্ডিত, বয়ন ঝিল্লিময় হতে চমৎ। শিরা মুক্ত। সোরাসগুলি স্পষ্টত: রেখাকার।
ক্রোমোসোম সংখ্যা: n = ৩০ (Vasudeva and Bir, 1982)।
আবাসস্থল ও বংশ বিস্তার: শুষ্ক এবং উন্মুক্ত পতিত জমির ফাটলে। গ্রন্থিক এবং রেণু দ্বারা বংশ বিস্তার করে।
কালা ডাঁটি ঢেকিয়া-এর বিস্তৃতি:
ভারত, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, মালয় উপদ্বীপ, ফিলিপাইন, গ্রীষ্মমন্ডলীয় আমেরিকা, জাভা, পূর্ব আফ্রিকা এবং ফিজি। বাংলাদেশে সিলেট জেলা থেকে এই প্রজাতি সংগ্রহ করা হয়েছে (Mirza and Rahman, 1997)।
ব্যবহার: টবে লাগানো বাহারী উদ্ভিদ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
অন্যান্য তথ্য:
বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ৫ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) কালা ডাঁটি ঢেকিয়া প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, আবাসস্থল ধ্বংসের কারণে বাংলাদেশে এটি হুমকির সম্মুখীন হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশে কালা ডাঁটি ঢেকিয়া সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি।
তথ্যসূত্র:
১. মমতাজ মহল মিজা (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ৫ম (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ২৬৫-২৬৬। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি www.fernsoftheworld.com থেকে নেওয়া হয়েছে।
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।