ভূমিকা: গোয়ালিয়া লতা (বৈজ্ঞানিক নাম: Ampelocissus latifolia) বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকায় জন্মে। এর পাতা, মূলে নানা ভেষজ গুণ আছে। এছাড়াও এর ফল অনেকে খায়।
গোয়ালিয়া লতা-এর বর্ণনা:
গোয়ালিয়া লতা একধরনের বৃহৎ লতানো বীরুৎ সদৃশ আরোহী। বহুবর্ষজীবী, মৌল কান্ডবিশিষ্ট। তবে কান্ড ফাঁপা, রেখাযুক্ত, রোমহীন।
পত্র প্রশস্ত বর্তুলাকার-হৃৎপিন্ডাকার, অগভীরভাবে খন্ডিত, ৬-২০ × ৪-১৫ সেমি, গোলাকার দপ্তর করাতদস্তুর, ঝিল্লিময়, রোমহীন, ৫-৭ শিরাযুক্ত, পত্রবৃন্ত ৩০ সেমি পর্যন্ত লম্বা, বেলনাকার, রোমহীন।
সাইম প্যানিকল সদৃশ, ঘন, মঞ্জরীদন্ড ৮ সেমি পর্যন্ত লম্বা যা ২টি শাখান্বিত সরু আকর্ষীযুক্ত। পুষ্প ছোট, ৫-অংশক, মিশ্রবাসী, লালাভবাদামী।
বৃতি কর্তিতা। দলমন্ডল খন্ডক ২ মিমি লম্বা, আয়তাকার। লতাটির ফল বেরী আকারের, উপবৃত্তীয়, ৫-৬ x ৬-৯ মিমি, কালো, ২-বীজী।
ক্রোমোসোম সংখ্যা: 2n = ৪০, ৬০ (Kumar and Subramaniam, 1986).
আবাসস্থল ও বংশ বিস্তার: গোয়ালিয়া লতা বর্ষা অরণ্য জন্মে। লতাটির বংশ বিস্তার হয় বীজ এবং মৌল কান্ড দ্বারা।
গোয়ালিয়া লতা-এর বিস্তৃতি:
এই লতা ভারত এবং বাংলাদেশে সীমাবদ্ধ। বাংলাদেশে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি এবং সিলেট জেলার বনে বিস্তৃত।
গুরুত্ব: স্থানীয় লোকেরা ফল খায়। উদ্ভিদের মুলের লেই ক্ষতে প্রয়োগ করা হয় (Rahman et al., 2003).
অন্যান্য তথ্য: বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ১০ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) গোয়ালিয়া লতা প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এদের শীঘ্র কোনো সংকটের কারণ দেখা যায় না এবং বাংলাদেশে এটি আশঙ্কামুক্ত হিসেবে বিবেচিত।
বাংলাদেশে গোয়ালিয়া লতা সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটির বর্তমানে সংরক্ষণের প্রয়োজন নেই।
তথ্যসূত্র:
১. এম আতিকুর রহমান (আগস্ট ২০১০) “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। খন্ড ১০ম, পৃষ্ঠা ১০০। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিমিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Dinesh Valke
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।