ভূমিকা: সিলেটি কাঞ্চন (বৈজ্ঞানিক নাম: Begonia silhetensis) বেগোনিয়াসিস পরিবারের একটি এক প্রকারের বাহারি বিরুৎ। এই প্রজাতি ভারত, বাংলাদেশে জন্মে।
সিলেটি কাঞ্চন-এর বর্ণনা:
নিষ্কান্ড বীরুৎ, মূলাকার কান্ড পুরু ও খাটো, সাধারণত তন্তুময়, কদাচিৎ কাল। পত্র প্রায় ১৫ সেমি লম্বা, প্রশস্ত ডিম্বাকার, সূক্ষ্ম দপ্তর, কখনও শক্ত দন্তযুক্ত বা খন্ডিত, উভয় পৃষ্ঠ অমসৃণ, বৃন্ত ১২ – ৪৫ সেমি লম্বা, মোটামুটি রোমশ বা কুর্চযুক্ত। বৃত্যংশ ৫-১০ সেমি লম্বা, ১-৭ টি পুষ্পযুক্ত, পুষ্পমঞ্জরী বৃন্তাপেক্ষা ক্ষুদ্রতর।
পুংপুষ্প: বৃত্যংশ ২ টি, মসৃণ, পাপড়ি ২ টি, বৃত্যংশের চেয়ে খাটো, পুংকেশর অসংখ্য, একগুচ্ছ, পরাগধানী সরু দীর্ঘায়ত, যোজক ক্ষুদ্র। স্ত্রী পুষ্প: গর্ভদন্ড দ্বিখন্ডিত, গর্ভমুণ্ড অতীব অমসৃণ। ফল ক্যাপসিউল, গোলাকার বা ডিম্বাকার, পুরু প্রাচীর বিশিষ্ট, ৪-কোষী, মোটামুটি সরস, ঘন বাদাম রোমাবৃত, কোণ বা পক্ষবিহীন। বীজ অনেক, চকচকে বাদামী, সামান্য উপবৃত্তাকার।
আবাসস্থল ও বংশ বিস্তার: ভিজা ও ছায়াযুক্ত পাহাড়ী ঢাল। বীজ ও গ্রন্থিকন্দের মাধ্যমে বংশ বিস্তার।
বিস্তৃতি:
ভারতের খাসিয়া পাহাড়, কাছাড় ও কিনানে জন্মে। বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলা থেকে রিপোর্টকত (Alam, 1997)।
অন্যান্য তথ্য:
বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ৭ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) সিলেটি কাঞ্চন প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, আবাসস্থল ধ্বংসের কারণে বাংলাদেশে এটি সংকটাপন্ন। বাংলাদেশে সিলেটি কাঞ্চন সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটির যথাস্থানে সংরক্ষণের প্রয়োজন।
তথ্যসূত্র:
১. বি এম রিজিয়া খাতুন (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ৭ম (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ১৩-১৪। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।