চিতা লিলি উষ্ণ ও নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের ভেষজ বিরুৎ

বিরুৎ

চিতা লিলি

বৈজ্ঞানিক নাম: Belamcanda chinensis (L.) DC. in Red. Lilac. 3, t. 121 (1SO5),  সমনাম: Ixia chinensis L. (1753), Pardanthus chinensis Ker-Gawl. (1805). ইংরেজি নাম: চাইনিজ বেলামকান্ডা। স্থানীয় নাম: চিতা লিলি।
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae. বিভাগ: Angiosperms. অবিন্যাসিত: Monocots. বর্গ: Asparagales. পরিবার: Iridaceae. গণ: Iris  প্রজাতির নাম: Belamcanda chinensis

ভূমিকা: চিতা লিলি (বৈজ্ঞানিক নাম: Belamcanda chinensis, ইংরেজি: চাইনিজ বেলামকান্ডা) উষ্ণ ও নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের দেশে জন্মে। ভেষজ গুণ থাকায় অনেকে বাগানে চাষ করে থাকে।

চিতা লিলি-এর বর্ণনা:

রোমশ বিহীন বহুবর্ষজীবী বীরুৎ, মূলাকার কান্ড লতানো। কান্ড ১.০-১.৫ মিটার উঁচু, ঋজু পত্রবহুল। পত্র ৩০-৬০ x ২-৪ সেমি, অসি ফলাকাকার, দ্বিসারী, প্রশস্ত রৈখিক, চকচকে। পুষ্পবিন্যাস সাইম, ৬০-৭৫ সেমি লম্বা, এক বা দুইবার শাখান্বিত, চমসাকার, চমসা ঝিল্লি সদৃশ, ১০ x ৪ মিমি, বৃন্ত ২-৪ সেমি, স্থায়ী। পুষ্প ৬-১২, মধ্যাহ্নের পূর্বে উন্মুক্ত এবং অপরাহ্নে শুষ্ক ও বিবর্ণ হয়ে পড়ে, কমলা বা লাল বর্ণের দাগ যুক্ত। পুষ্পপুট ১.৫-৩.৫ x ০.৭ সেমি, ডিম্বাকার, পুষ্পপুটাংশ সামান্য অসম, বিস্তৃত।

পুংকেশর ৩টি, পুষ্পপুট নালিকার নিম্নাংশে সন্নিবিষ্ট, পুংদন্ড সূত্রাকার, পরাগধানী ১০ মিমি। গর্ভাশয় ৩-প্রকোষ্ঠী, ৫ মিমি লম্বা, উপবৃত্তাকার, প্রতি প্রকোষ্ঠে অনেক ডিম্বক, গর্ভদন্ডের বাহু উপরের দিকে ক্রমশ পুরু। ফল ডিম্বাকৃতি ক্যাপসুল, ১.৫-২.০ সেমি। বীজ ৫ মিমি লম্বা, চকচকে কালো।

ক্রোমোসোম সংখ্যা: 2n = ২৮, ৩২ (Fedorov, 1969)।

আবাসস্থল ও বংশ বিস্তার:

উদ্যান, এখানে ব্যাপকভাবে এর চাষাবাদ চলে। ফুল ও ফল ধারণ সময়কাল মে-সেপ্টেম্বর। বীজ দ্বারা বংশ বিস্তার

চিতা লিলি-এর বিস্তৃতি:

আদি নিবাস চীন, উষ্ণ ও নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের দেশ সমূহে প্রবর্তনের মাধ্যমে চাষাবাদ করা হয়। বাংলাদেশের উদ্যানে চাষ করা হচ্ছে।

অর্থনৈতিক ব্যবহার ও গুরুত্ব:

শুষ্ক গ্রন্থিক রেচক রূপে এবং বক্ষ ও যকৃতের ব্যবহার করা হয় (van Steenis, 1977)।

আরো পড়ুন:  বাংলাদেশের ঔষধি উদ্ভিদ বা ভেষজ উদ্ভিদের ৭০০ প্রজাতির একটি পরিপূর্ণ তালিকা

অন্যান্য তথ্য:

বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ১৩ খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) চিতা লিলি প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এদের শীঘ্র কোনো সংকটের কারণ দেখা যায় না এবং বাংলাদেশে এটি আশঙ্কামুক্ত হিসেবে বিবেচিত।

বাংলাদেশে চিতা লিলি সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটির বর্তমানে সংরক্ষণের প্রয়োজন নেই।

তথ্যসূত্র:

১. এম মতিউর রহমান (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ১৩ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৩৪৬-৩৪৭। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিমিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Amos Oliver Doyle

Leave a Comment

error: Content is protected !!