কুকুরশোঁকা দক্ষিণ এশিয়ায় জন্মানো ভেষজ বিরুৎ

কুকুরশোঁকা

বৈজ্ঞানিক নাম: Blumea membranacea Wall. ex DC., Prodr. 5: 440 (1836). সমনাম: Conyza membranacea Wall. (1832), ইংরেজি নাম: Panicled Camphorweed স্থানীয় নাম: কুকুরশোঁকা, কাঞ্চন।
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae. বিভাগ: Angiosperms. অবিন্যাসিত: Edicots. বর্গ: Asterales. পরিবার: Asteraceae. গণ: Blumea  প্রজাতির নাম: Blumea membranacea

ভূমিকা: কুকুরশোঁকা (বৈজ্ঞানিক নাম: Blumea membranacea, ইংরেজি: Panicled Camphorweed) এ্যাস্টারাসি পরিবারের এক প্রকারের বিরুৎ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশে জন্মে।

কুকুরশোঁকা-এর বর্ণনা:

খাড়া, একবর্ষজীবী বীরুৎ, কাণ্ড সরল, শাখা বিন্যাসিত, প্রস্থচ্ছেদ গোলাকার, সরেখ, স্বল্পসংখ্যক কোমল দীর্ঘ রোমযুক্ত ও খর্ব বৃন্তক-গ্রন্থিল।

পত্র অনূর্ধ্ব ৬.৫ সেমি লম্বা, বি-বল্লমাকার, ঝিল্লিময়, উপরের পত্র অখন্ড বা বিষমভাবে ৩-৫ খন্ডিত বা দস্তুর, শীর্ষ সূক্ষ্মাগ্র, নিম্নাংশ ক্রমান্বয়ে সরু বা কীলকাকার,

নিচের গুলি ১-৩ জোড়া, ত্রিকোণাকার খন্ড বিশিষ্ট পক্ষবৎ খন্ডিত ও উপবৃত্তাকার প্রান্তীয় খন্ড, উভয় পৃষ্ঠ হালকাভাবে স্বল্প সংখ্যক কোমল দীর্ঘ রোমাবৃত।

পুষ্পবিন্যাস শিরমঞ্জরী, অসম জননকোষী, ব্যাস ৫ মিমি, প্রান্তীয় ও কাক্ষিক সমভূম যৌগমঞ্জরীতে বহু সংখ্যক, মঞ্জরী পত্রাবরণ ২.০-৫.৫ মিমি লম্বা,

বহির্দেশীয় গুলি বল্লমাকার, শীর্ষ দীর্ঘাগ্র, প্রান্ত শুষ্ক ঝিল্লিসদৃশ, বিশেষত শীষ সিলিয়াযুক্ত, পুষ্পধার সমতল, মসৃণ। পুষ্প হলুদ, স্ত্রী সুপিকার দলমণ্ডল ৪.৫-৫.০ মিমি লম্বা।

ক্রোমোসোম সংখ্যা: ২n = ২২ (Fedorov, 1969)।

আবাসস্থল ও বংশ বিস্তার:

পতিত জমি, ছায়াযুক্ত ও রোদময় উভয় স্থান, কখনও কখনও শুধু বালিতে জন্মায়। ফুল ও ফল ধারণ জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস। বংশ বিস্তার হয় বীজ দ্বারা।

বিস্তৃতি:

ভারত, মায়ানমার, শ্রীলংকা, ইন্দোনেশিয়া এবং চীন। বাংলাদেশে উদ্ভিদটি উত্তরাঞ্চলীয়, পূর্বাঞ্চলীয় এবং কেন্দ্রীয় জেলা সমূহে জন্মে বলে বর্ণিত আছে।

অন্যান্য তথ্য:

বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ৬ষ্ঠ খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) কুকুরশোঁকা  প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এদের শীঘ্র কোনো সংকটের কারণ দেখা যায় না এবং বাংলাদেশে এটি আশঙ্কামুক্ত হিসেবে বিবেচিত।

আরো পড়ুন:  পানিসরা বা পিচান্দি উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলের উপকারী বৃক্ষ

বাংলাদেশে কুকুরশোঁকা সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটির বর্তমানে সংরক্ষণের প্রয়োজন নেই।

তথ্যসূত্র:

১. এ বি এম এনায়েত হোসেন (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ৬ষ্ঠ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৮৯-৯০। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিমিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Dinesh Valke

Leave a Comment

error: Content is protected !!