ভূমিকা: জিরা (বৈজ্ঞানিক নাম: Cuminum cyminum) হচ্ছে Apiaceae পরিবারের কিউমিনাম গণের একটি সপুষ্পক বিরুৎ। এটিকে চাষ করা হয় এবং দোআঁশ মাটিতে ভালো জন্মে।
জিরা-এর বিবরণ:
জিরা হলো বিরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ। এরা প্রায় ৩০ থেকে ৫০ সেমি বা ১২–২০ ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে। জিরা গাছ একবর্ষজীবী বিরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ। এদের কাণ্ড সরু, রোমহীন ও শাখান্বিত এবং ২০–৩০ সেমি বা ৮–১২ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা ও ৩–৫ সে.মি. ব্যাসবিশিষ্ট হয়ে থাকে। প্রতিটি শাখায় দুই থেকে তিনটি উপশাখা থাকে। প্রতিটি শাখা প্রায় সমান উচ্চতা হয়ে থাকে এবং এজন্য এদের পত্রাচ্ছাদন সুষম হয়ে থাকে। কাণ্ডের রং ধূসর থেকে কালচে সবুজ হয়। এদের পাতা ৫–১০ সেমি লম্বা, পিনেট অথবা বাইপিনেট এবং উপপত্র সূচিবৎ।
এদের সাদা বা গোলাপি রঙের ছোট ছোট ফুলের বিন্যস্ত থাকে। প্রতি পুষ্পছত্রে পাঁচ থেকে সাতটি পুষ্প থাকে।এদের ফল পার্শ্বীয়ভাবে ফিউজিফর্ম বা ডিম্বাকার অ্যাকিন। ফলগুলো ৪–৫ মি.মি. পর্যন্ত লম্বা হয়। এরা দ্বিগর্ভপত্রী; এদের প্রতিটি গর্ভপত্রে একটি করে বীজ থাকে। জিরার বীজে তৈলনালি-সহ আটটি খাঁজ থাকে। জিরার বীজ দেখতে অনেকটা কারোয়ার মতো। গোলাকার লম্বাটে গঠন, আড়াআড়ি খাঁজ এবং হলুদাভ-বাদামি রঙে। অ্যাপিয়াসি (আম্বেলিফেরি) গোত্রের অন্যান্য উদ্ভিদের যেমন: কারোয়া, পার্সলে ও সোয়া বা সালফা প্রভৃতির মতো দেখতে।
চাষাবাদ: শুকনো বীজ থেকে চাষ করতে হয়। দোআঁশ মাটিতে ভালো জন্মে। জিরার ফুল ও পাতা নরম। তাই পোকার আক্রমণ হয়।
ব্যবহার: মসলা হিসাবে যেমন এর ব্যবহার আছে তেমনি ভেষজ কাজেও। বাত, কফ, অরুচি, জ্বর, পেটের অসুখ, চোখের সমস্যা, ক্ষত সারাতে ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হয়।
বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিমিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Caduser
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।