কুলালিয়া এশিয়ায় জন্মানো উপকারী বিরুৎ

কুলালিয়া

বৈজ্ঞানিক নাম: Desmodium triflorum (L.) DC, Prodr. 2: 334 (1825). সমনাম: Hedysarum triflorum L. (1753), Nicolsonia triflora (L.) Griseb. (1857). ইংরেজি নাম: Trefle Gros। স্থানীয় নাম: কুলালিয়া, কোদালিয়া।
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae, বিভাগ: Angiosperms. অবিন্যাসিত: Edicots. অবিন্যাসিত: Rosids. বর্গ: Fabales. পরিবার: Fabaceae. গণ: Desmodium প্রজাতি: Desmodium triflorum.

ভূমিকা: কুলালিয়া (বৈজ্ঞানিক নাম: Desmodium triflorum) প্রজাতিটির গ্রীষ্মমন্ডলী অঞ্চলে জন্মে। বাংলাদেশের পাহাড়িঞ্চলে জন্মে। এই প্রজাতি ভেষজ চিকিৎসায় কাজে লাগে।

কুলালিয়া-এর বর্ণনা:

কুলালিয়া ছোট আকৃতির বীরুৎ। এদের কাণ্ড সিজপিটোজ (caespitose), অত্যন্ত সরু, অনুসঙ্গী, ১৫-২৫ সেমি লম্বা, প্রচুর শাখান্বিত, সূক্ষ্ম ছড়ানো রোম দ্বারা আচ্ছাদিত। পত্রক বিডিম্বাকার, ১-৪ সেমি লম্বা, কর্তিতায় বা খাতায়, নিচের দিকে অল্প রোমযুক্ত, উপপত্র বল্লমাকার, স্থায়ী, পত্রবৃন্ত ২-৫ সেমি লম্বা।

পুষ্প সবৃন্তক, পুষ্পবৃত্তিকা ১-২ সেমি লম্বা। বৃতি কোমল ক্ষুদ্র রোমাবৃত, ১-২ সেমি লম্বা, দত্তক অত্যন্ত লম্বা, দীর্ঘ রোমাকৃতি। পড ১-২ সেমি লম্বা, ৩-৫টি সন্ধিযুক্ত, উপরের সন্ধিরেখায় কোমল ক্ষুদ্র রোম বিদ্যমান, নিচের সন্ধিরেখা আংশিক খাঁজকাটা।

ক্রোমোসোম সংখ্যা: 2n ১৮, 22 (Kumar and Subramaniam, 1986)।

কুলালিয়া-এর আবাসস্থল:

পতিত জমি, তৃণভূমি ও অনুর্বর জমিতে এই প্রজাতিটি জন্মায়। এদের ফুল ও ফল ধারণ সময়কাল প্রায় সারা বছর ধরেই। বীজ থেকে নতুন চারা জন্মে।

বিস্তৃতি:

ভারত, শ্রীলংকা, পাকিস্তান, ভুটান, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, চীন, তাইওয়ান, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা এবং আমেরিকা। বাংলাদেশের সর্বত্র ইহা পাওয়া যায়।

ব্যবহার:

মূল ও পাতা সর্দি-কাশি, হাঁপানী সারাতে ব্যবহৃত হয়। জীবন সম্পর্কে বিষাদগ্রস্থ অবস্থা ও ফোঁড়ার চিকিৎসায়ও ব্যবহার করা হয়। পাতার রস আমাশয়ে ব্যবহার করা হয় (Ghani, 2003)

অন্যান্য তথ্য:

বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ৮ খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) কুলালিয়া প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এদের শীঘ্র কোনো সংকটের কারণ দেখা যায় না এবং বাংলাদেশে এটি আশঙ্কামুক্ত হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশে কুলালিয়া সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটি বর্তমানে সংরক্ষণের প্রযোজন নেই।

আরো পড়ুন:  পানিসরা বা পিচান্দি উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলের উপকারী বৃক্ষ

তথ্যসূত্র ও টীকা:

১. এ টি এম নাদেরুজ্জামান (আগস্ট ২০১০) “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। খন্ড ৮, পৃষ্ঠা ৮২। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিমিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Jeevan Jose

Leave a Comment

error: Content is protected !!