ভূমিকা: কলনসো হচ্ছে ক্রাসুলসি পরিবারের একটি সপুষ্পক বিরুৎ। এটিকে বাংলাদেশে আলংকারিক উদ্ভিদ হিসেবে বাগানে বা গৃহে চাষাবাদ করা হয়। বাড়ির টবে বা বাগানের শোভাবর্ধন করে এই গণের বিরুৎগুলো। এরা আকারে বেশি বড় হয় না।
বিবরণ: কলনসো গণের প্রজাতিগুলো ঋজু বা আরোহী বহুবর্ষজীবী রসালো বীরুৎ। পাতা সাধারণত প্রতিমুখ বা উপরের পত্র একান্তর, সরল, অখন্ড বা গভীর ভাবে খন্ডিত।
ফুল ঋজু, বহুপুষ্প সমন্বিত অর্ধপেনিকুলেট সাইম মঞ্জরীতে বিন্যস্ত । বৃত্যংশ ৪-খন্ডিত। পাপড়ি ৪টি, যুক্ত, দলফলক ৪ খন্ডিত, বৃতি অপেক্ষা দীর্ঘতর।
পুংকেশর ৮টি, ২ সারিতে বিন্যস্ত, দলনালি লগ্ন। গর্ভপত্র ৪টি, দল নালির মূলীয় অংশ লগ্ন, সরু, বহির্গামী, গর্ভমুন্ড তির্যক কর্তিতাগ্র। ফল বহুবীজী ফলিকল।
এই গণে ১২৫টি প্রজাতি আছে তার মধ্যে লাল পাথরকুচি (বৈজ্ঞানিক নাম: Kalanchoe blossfeldiana) একটি পরিচিত গাছ।
তথ্যসূত্র:
১. এম এ হাসান (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ৭ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ২৯৮। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিপিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Hatem Moushir
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।