জাতেরি লম্বামালা দক্ষিণ এশিয়ায় জন্মানো বিরুৎ

জাতেরি লম্বামালা

বৈজ্ঞানিক নাম: Gomphostemma strobilinum Wall. ex Benth. in Wall., Pl. As. Rar. 2: 12 (1831). সমনাম : জানা নেই।ইংরেজি নাম : জানা নেই। স্থানীয় নাম : জাতেরি লম্বামালা । 
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস 
জগৎ/রাজ্য: Plantae. বিভাগ: Angiosperms. অবিন্যাসিত: Edicots. বর্গ: Lamiales. পরিবার: Lamiaceae. গণ: Gomphostemma প্রজাতির নাম: Gomphostemma strobilinum

ভূমিকা: জাতেরি লম্বামালা (বৈজ্ঞানিক নাম: Gomphostemma strobilinum) হচ্ছে  এক প্রকারের বর্ষজীবী বীরুৎ। এই প্রজাতিটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশে জন্মায়।

জাতেরি লম্বামালা-এর বর্ণনা :

জাতেরি লম্বামালা শক্ত বর্ষজীবী বীরুৎ। এটি উচ্চতায় ৪০-১৩০ সেমি পর্যন্ত হয়। এদের কাণ্ড গভীর খাঁজযুক্ত, ৪ কোণাকার-স্থূলাগ্র, খসখসে। পাতা প্রায় বৃন্তহীন, পত্রবৃন্ত ০.২-০.৫ সেমি লম্বা, ফলক ১৫-২৫ × ১০-১৬ সেমি, উপবৃত্তাকার-ডিম্বাকার, সূক্ষ্মাগ্র, দপ্তর, ক্ষীণ, উপরের পৃষ্ঠ স্কার্ভি, নিচের পৃষ্ঠ এবং পত্রবৃন্ত রোমহীন।

পুষ্পবিন্যাস প্রান্তীয় স্পাইকবিশিষ্ট, খাড়া, গোড়ার দিকে বিছিন্ন। মঞ্জরীপত্র সমূহ সমান, ১.৮-২.০ × ১.০-১.৫ সেমি, ডিম্বাকার-বল্লমাকার, বৃতি অপেক্ষা দীর্ঘতর, রোমশ, কীলকাকার, কিনারা অনিয়মিতভাবে দম্ভর এবং শীর্ষের দিকে সিলিয়াযুক্ত, গোড়ার দিকে অখণ্ড, মঞ্জরীপত্রিকা ০.৬- ০.৮ সেমি লম্বা, দন্ত নালী অপেক্ষা ক্ষুদ্রতর, সমান, নালী রোমশ।

দল কমলা-হলুদ, বৃতি অপেক্ষা দ্বিগুণ লম্বা, সরু ও পাতলা, দলফলক ওষ্ঠাধরাকৃতি, উপরের ওষ্ঠ ঘোমটাসদৃশ, খাঁজাগ্র, নিচের ওষ্ঠ প্রশস্ত, ৩-খণ্ডক, নল রোমাবৃত, উপরের ওষ্ঠের বাইরে রোমশ, দলের অন্যান্য অংশ রোমহীন, ১.৮-২.২ সেমি লম্বা। পুংকেশর ৪টি, ঊর্ধ্বগ, দীর্ঘদ্বয়ী, নিচের জোড়া দীর্ঘতর, পরাগধানী ২- কোষী। গর্ভাশয় ৪-প্রকোষ্ঠী, মসৃণ, গর্ভদণ্ড ২-খণ্ডক, রোমহীন। নাটলেট ৪টি, প্রায় ১.৫-০.৫ মিমি, বাদামি।

আবাসস্থল ও বংশ বিস্তার:

পাহাড়ের চূড়ার ছায়াময় স্থানে জন্মে। বীজ থেকে চারা জন্মে। ফুল ও ফল ধারণ সেপ্টেম্বর-জানুয়ারি।

বিস্তৃতি:

ভারত এবং মায়ানমার। এর একমাত্র নমুনাটি ১৯৯৭ সালে কক্সবাজার জেলার বড় ইনানী থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে (Khanam and Hassan, 2008)।

অন্যান্য তথ্য:

বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের  ০৮ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) জাতেরি লম্বামালা প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশে এটি সংকটাপন্নের কারণ হলো আবাসস্থল ধ্বংস। বাংলাদেশে জাতেরি লম্বামালা সংরক্ষণের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এক্স-সিটু সংরক্ষণের পদ্ধতি গ্রহণ করা প্রয়োজন।

আরো পড়ুন:  ঘোড়ানিম বা মহানিম-এর নানাবিধ গুণের বিবরণ

তথ্যসূত্র:

১. মাহবুবা খানম (আগস্ট ২০১০) “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। খন্ড ০৮ম, পৃষ্ঠা ২৮৫-২৮৬। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

Leave a Comment

error: Content is protected !!