ভূমিকা: মটর (বৈজ্ঞানিক নাম: Pisum sativum ইংরেজি নাম: Mung beans) হচ্ছে ফেবাসি পরিবারের Pisum গণের একবর্ষজীবী সপুষ্পক বিরুৎ। মটরশুঁটি চাষ করা হয় ডাল হিসাবে খাওয়ার জন্য।
বিবরণ:
মটরশুঁটি দ্বিদল বীজ। এই গাছের ডালে ডালে শুটির মধ্যে মটরের দানা হয়। এটা লতা জাতীয় গাছ।মটরকে সাধারণতঃ দুইভাগে বিভক্ত করা যায়, যথাবিলাতী ও দেশী। বিলাতী মটরশুঁটি আকারে বড়, এবং দেশী মটরশুঁটি আকারে ছোট হয়। ছোট দেশী মটরকে কোথাও কোথাও পায়রা মটরও বলে। আর এক রকম বড় মটরও আছে সেটাকে কাবুলী মটর বলে। কাবুলী মটরকে দেখিতে সাদা ও আকৃতি বড়। ইহার ডাল আকৃতিতে বড়, দেখিতে ছোলার ডাইলের মতো।
মটর চাষাবাদ:
বীজের পরিমাণ ও বপন সময়-কাবুলী মটর বা বড় দানা বিঘা প্রতি ৭ সের, পায়রা মটর ছোট দানা বিঘা প্রতি ৫ সের বপন করিতে হয়। স্থানভেদে উঁচু জমিতে আশ্বিন কার্তিক এবং নীচু জমিতে কার্তিক অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত মটরের বীজ বোনা যায়। সাধারণতঃ পৌষ মাঘ মাসে শুটি ধরে। চৈত্র মাসে ফল পেকে উঠে ও লতা শুকাতে আরম্ভ করে। মটরের গাছ প্রতি বৎসর ফল ধারণের পর মারা যায়।
এই মটরের চাষাবাদের জন্য সারযুক্ত দোআঁশ বা পলিপড়া মাটি হতে জল নেমে গেলে বীজ ছিটিয়ে বুনিতে হয়। উচু জমিতে ৩ বার চাষ দিয়ে মই দিয়ে মাটি সমান করতে হয়। বীজ বপনের পরে পুনরায় মই দিতে হয়।[১]
বিস্তৃতি:
প্রাচীন পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন অনুসারে নিওলিথিক যুগের সিরিয়া, তুরস্ক, এবং জর্ডান এ মটরশুঁটির খোঁজ পাওয়া যায়। এছাড়া শীতপ্রধান দেশে ও নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই মটরের জন্মে।
মটর খাওয়ার ভেষজ গুণ:
মটরশুঁটি রুচিকর ও ভেষজ গুণ সম্পন্ন খাবার। আয়ুর্বেদ মতে, মটর ডাল লঘু, শরীর শীতল করে, মলরোধক ও রুচিকর। মটর শাকের ভাজা মলকারক, হজমের পক্ষে হালকা এবং ত্রিদোষ (কফ, পিত্ত বাত) নাশক। [২]
তথ্যসূত্রঃ
১. ডা: শ্রীযামিণী রঞ্জন মজুমদার: খাদ্যশস্য, মি: বি ছত্তার, কলকাতা, দ্বিতীয় সংস্করণ ১৩৫১, পৃষ্ঠা, ৬৭-৬৮।
২. সাধনা মুখোপাধ্যায়: সুস্থ থাকতে খাওয়া দাওয়ায় শাকসবজি মশলাপাতি, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, নতুন সংস্করণ ২০০৯-২০১০, পৃষ্ঠা,৬৯-৭০।
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।