মটরশুঁটি হচ্ছে মটর ডাল (বৈজ্ঞানিক নাম: Pisum sativum) দানা।মটরশুঁটি রুচিকর খাবার। আস্ত মটরের ঘুগনি বাঙালি রসনায় বড়ই প্রিয়। বিজয়া দশমীতে আজকাল এই ঘুগনি না হলে অতিথিদের মন ভরে না। এ ছাড়া মটর সেদ্ধ করে তেঁতুলের চাটনি ও দই সহযোগে তৈরি করা হয় চটপটা বা চাট। এটি উত্তর প্রদেশের প্রসিদ্ধ মুখরোচক খাবার।
মটরশুঁটি ডালের ধোঁকা খেতে সকলেরই ভাল লাগে। মটর ডাল ভাতে, মটর ডালের বড়া, মুলা দিয়ে মটর ডাল, ভাতের সঙ্গে ঘন মটর ডাল সবই খাওয়া হয় অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে। টক রান্না করতে চাই মটর ডালের বড়ি।
স্বাস্থ্যরক্ষায় মটর উপকারি
১. মটর ডাল ভেজানো জল খেলে বমি থামে।
২. মটর ডাল তেঁতুল, নুন ও দুধে বেটে প্রলেপ দিলে ফোড়া তাড়াতাড়ি ফেটে যায়।
৩. বৈজ্ঞানিক মতে, এতে অনেক খনিজ, সুপাচ্য প্রোটিন বেশি মাত্রায় আছে, আছে কার্বোহাইড্রেট ও ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ সেইজন্যে এই ডালের পোষণ মূল্য বা পুষ্টি মূল্য খুব বেশি। এই ডাল খাওয়া স্বাস্থ্যের দিক থেকে ভাল।
৪. আয়ুর্বেদ মতে, মটর ডাল লঘু, শরীর শীতল করে, মলরোধক ও রুচিকর।
৫. রক্তদোষ পিত্তের বিকার ও কফ রোগ উপশম করে।
৬. অজীর্ণ ও উন্মাদ রোগে এই ডাল খাওয়া উচিত নয় এই রকম অভিমত আছে।
৭. আরও বলা হয় এই ডাল মধুর অর্থাৎ পাকে মধুর।
৮. মটর শাকের ভাজা মলকারক, হজমের পক্ষে হালকা এবং ত্রিদোষ (কফ, পিত্ত বাত) নাশক।
তথ্যসূত্রঃ
১. সাধনা মুখোপাধ্যায়: সুস্থ থাকতে খাওয়া দাওয়ায় শাকসবজি মশলাপাতি, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, নতুন সংস্করণ ২০০৯-২০১০, পৃষ্ঠা,৬৯-৭০।
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।