বাঙালি বাড়িতে বিট সাধারণত স্যালাড হিসেবেই খাওয়া হয়। সেদ্ধ করে চাকা চাকা করে কেটে বা কাঁচাই পাতলা পাতলা করে কেটে পাতিলেবুর রস, নুন ও গোলমরিচ মিশিয়ে স্যালাড তৈরি করা হয়। এইভাবে স্যালাড় তৈরি করলে খেতেও ভাল লাগে এবং শরীরের পক্ষেও উপকারী।
বিটের ওপরের পাতা ঠিক পালং শাকের মতো দেখতে সেইজন্যে অনেকে বিটকে বিট পালংও বলেন। এই পাতা ফেলে না দিয়ে শাক হিসেবে রান্না করে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। মল পরিষ্কার হয়, প্রস্রাব ভাল করে হয়, ফোলা কমে। অবশ্য টাটকা ও কচি পাতাই এইভাবে খেলে ভাল লাগে।
আরো পড়ুন: বিট শীতকালীন সবজি হিসাবে খুব জনপ্রিয় ও ভেষজ গুণসম্পন্ন
আজকাল গাজরের হালুয়ার সঙ্গে সকলেই পরিচিত। ঠিক একই ভাবে বিটেরও হালুয়া তৈরি করা যেতে পারে নতুন স্বাদের এই মিষ্টি খেতে খুব। ভাল লাগবে, নতুনত্বের স্বাদ পাওয়া যাবে।
সুস্থ থাকতে বিটের ব্যবহার:
বিট শরীরের রক্ত বৃদ্ধি করে, শক্তি বাড়ায় এবং পুষ্টিকর। রোজকার খাওয়ার তালিকায় বিটের স্যালাড় রাখলে ছোট বড় অনেক ব্যাধির হাত থেকেই নিষ্কৃতি পাওয়া যাবে। এর গুণাবলীর জন্যে বিদেশে এত কদর। বিটের খাদ্যগুণ অশেষ এবং খাদ্য হিসেবে বিট নিদোষ।
১. রক্ত বৃদ্ধি: রক্ত বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শরীরের লালিমা বৃদ্ধি করে এবং দুর্বলতাও দূর করে। বিট খেলে শরীরে একটি বিশেষ শক্তি ও মনে একটি বিশেষ চেতনার সৃষ্টি হয়।
২. বিট হজমকারক নয়: যদিও এটি খুব উপকারী তবুও মাটির নীচে জন্মানো সব তরকারির মতোই হজম হতে একটু দেরি লাগে। বেশি মাত্রায় খেলে গ্যাস ও বায়ু হয়। কাজে কাজেই যাঁদের হজম শক্তি দুর্বল তাঁরা অল্প পরিমাণে বিট খাবেন। বিট হজম করতে পারলে শরীরের কৃশতা কমেও স্থূলতা বাড়ে এবং শরীরের উত্তাপ বৃদ্ধি হয়।
৩. নানা পুষ্টিগুণ: বৈজ্ঞানিক মতে, বিটে প্রোটিন, শর্করা, স্টার্চ, ভিটামিন এ, বি, সি, চুন, লোহা আর ফসফরাস আছে। বিটে বিশেষ ভাবে শর্করা বেশি আছে। বিটের পাতায় ভিটামিন ও ক্ষারজ পদার্থ যথেষ্ট আছে।
তথ্যসূত্রঃ
১. সাধনা মুখোপাধ্যায়: সুস্থ থাকতে খাওয়া দাওয়ায় শাকসবজি মশলাপাতি, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, নতুন সংস্করণ ২০০৯-২০১০, পৃষ্ঠা,১২৪।
বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিমিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Susan Slater
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।