সাদা ঘাস ফুল বাগানের শোভাবর্ধনকারী বিরুৎ

ভুমিকা: সাদা ঘাস ফুল (বৈজ্ঞানিক নাম: Zephyranthes candida, ইংরেজি নাম: ফেয়ারি লিলি) হচ্ছে এমারিলিডাসি পরিবারের জেফিরান্থিস গণের সপুষ্পক বিরুৎ জাতীয় একটি প্রজাতি। এই প্রজাতিটি বাগানের শোভাবর্ধনের জন্য লাগানো হয়ে থাকে।

বর্ণনা: সাদা ভুঁইচাপা বা সাদা ঘাস ফুল বহুবর্ষজীবী কন্দাল বীরুৎ, ঝাড়ে জন্মে, কন্দ ডিম্বাকৃতি, প্রায় ২.৫ সেমি লম্বা। পত্র প্রস্থচ্ছেদে গোলাকার, রৈখিক, প্রায় ৩০ সেমি লম্বা, উজ্জ্বল সবুজ।

পুষ্প সবৃন্তক, শীর্ষীয়, একল, উভলিঙ্গ। পুষ্পপুট খন্ড ৬, সাদা। পুংকেশর ৬টি, পুষ্পপুটের অর্ধসম লম্বা। গর্ভপত্র ৩টি, যুক্ত, গর্ভাশয় অর্ধগর্ভ, ৩-কোষী, গর্ভদন্ড পাতলা, গর্ভমুণ্ড ৩ খাজ বিশিষ্ট। এদের ফল ক্যাপসুল, অর্ধগোলাকার। এদের ফুল ও ফল ধারণ ঘটে আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে।[১]

ক্রোমোসোম সংখ্যা: 2n = ৩৬, ৩৮, ৪০, ৪৮, ৫০ [২]

চাষাবাদ: উদ্যানে ব্যাপক চাষাবাদ হয়। বিশেষ যত্নের দরকার নেই। বীজ থেকে চারা হয়।

বিস্তৃতি: আদিনিবাস সাউথ আমেরিকা। চীনের দক্ষিণাঞ্চলে দেশ্যভুত। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বহুদেশে চাষাবাদ করা হয়। অর্থনৈতিকভাবে এর তেমন ব্যবহার ও গুরুত্ব নেই; তবে উদ্যানে বাহারি উদ্ভিদরূপে ব্যাপক চাষাবাদ হয়।

অন্যান্য তথ্য: বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ১১ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) সাদা ঘাস ফুল প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এদের শীঘ্র কোনো সংকটের কারণ দেখা যায় না এবং বাংলাদেশে এটি আশঙ্কামুক্ত হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশে সাদা ঘাস ফুল সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটির বর্তমানে সংরক্ষণের প্রয়োজন নেই। তবে বাগানে চাষাবাদ করে এটির সম্প্রসারন বাড়াতে হবে।[৩]

তথ্যসূত্র:

১. এম এ হাসান (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস”  আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ১১ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা  ৩৭২। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

২. Kumar, V. and Subramaniam,, B. 1986 Chromosome Atlas of Flowering Plants of the Indian Subcontinent. Vol.1. Dicotyledons Botanical Survey of India, Calcutta. 464 pp.  

৩. এম এ হাসান  প্রাগুক্ত, প. ৩৭২   

বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিপিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Kenraiz