হলুদ ঘাস ফুল বাগানের শোভাবর্ধনকারী বিরুৎ

বিরুৎ

হলুদ ঘাস ফুল

বৈজ্ঞানিক নাম: Zephyranthes tubispatha (LHer.) Herbert ex Traub, Taxon7: 110 (1958). সমনাম: Amaryllis tubispatha LHer. (1789). ইংরেজি নাম: জেফার লিলি, ফেয়ার লিলি, রেইন লিলি। স্থানীয় নাম: হলদে ঘাসফুল, হলুদ ভুঁইচাপা। জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস জগৎ/রাজ্য: Plantae বিভাগ: Angiosperms অবিন্যাসিত: Monocots বর্গ: Asparagales পরিবার: Amaryllidaceae গণ: Zephyranthes প্রজাতির নাম: Zephyranthes tubispatha.

ভুমিকা: হলুদ ঘাস ফুল (বৈজ্ঞানিক নাম: Zephyranthes tubispatha, ইংরেজি নাম: জেফার লিলি, ফেয়ার লিলি, রেইন লিলি) হচ্ছে এমারিলিডাসি পরিবারের জেফিরান্থিস গণের সপুষ্পক বিরুৎ জাতীয় একটি প্রজাতি। এই প্রজাতিটি বাগানের শোভাবর্ধনের জন্য লাগানো হয়ে থাকে।

বর্ণনা: হলুদ ভুঁইচাঁপা ক্ষুদ্র বহু বর্ষজীবী বীরুৎ, কন্দ ভূনিম্নস্থ, খাঁজ যুক্ত। পত্র সরল, রৈখিক, ৩০ সেমি x ৩ মিমি, সবুজ অখন্ড, স্থুলা, পুষ্পেদগমের সময় জন্মে।

পুষ্প একল, সবৃন্তক। মঞ্জরীপত্র চমসা সদৃশ, লম্বা ফাপা ভৌম পুষ্পদন্ডের (প্রায় ২৮ সেমি লম্বা) শীর্ষে অবস্থিত। পুষ্পপুট চোঙ্গাকার, নালি ক্ষুদ্র, পুষ্পপুটাংশ ৬টি, নিম্নাংশ যুক্ত, উপরিভাগ মুক্ত, প্রায় ৭ মিমি লম্বা।

পুংকেশর ৬ টি, পরাগধানী পৃষ্ঠ লগ্ন, অনুদৈর্ঘ্য বিদারী। গর্ভপত্র ৩, যুক্তগর্ভপত্রী, গর্ভাশয় ৩-কোষী, ডিম্বক অনেক, গর্ভদন্ড ১, লম্বা, গর্ভমুণ্ড খাটো, ৩-খন্ডিত।

হলুদ ভুঁইচাঁপার ফল অর্ধবর্তুলাকার ৩ প্রকোষ্ঠযুক্ত ক্যাপসুল, কোষ্ঠী বিদারী। বীজ দীর্ঘায়ত, কালো। এদের ফুল ও ফল ধারণ ঘটে জুন থেকে আগস্ট মাসে।[১]

ক্রোমোসোম সংখ্যা: 2n = ২৪ [২]

চাষাবাদ:  সুনিষ্কাশিত ভূমি বা উদ্যানে ব্যাপক চাষাবাদ হয়। বিশেষ যত্নের দরকার নেই। বীজ বা কন্দের থেকে চারা হয়।

বিস্তৃতি: আদিনিবাস পেরু, আমেরিকার উষ্ণাঞ্চল ও ওয়েস্টইন্ডিজ। পৃথিবীর বহু অঞ্চলে দেশ্যভূত এবং সেখানে, উদ্যানে চাষাবাদ হয়।

অর্থনৈতিক ব্যবহার ও গুরুত্ব: বাহারি বীরুৎরূপে গুরুত্বপূর্ণ।

অন্যান্য তথ্য: বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ১১ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) হলুদ ভুঁইচাপা  প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এদের শীঘ্র কোনো সংকটের কারণ দেখা যায় না এবং বাংলাদেশে এটি আশঙ্কামুক্ত হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশে হলুদ ভুঁইচাপা  সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটির বর্তমানে সংরক্ষণের প্রয়োজন নেই। তবে বাগানে চাষাবাদ করে এটির সম্প্রসারণ বাড়াতে হবে।[৩]

আরো পড়ুন:  পানপাতা বেগোনিয়া পাহাড়িঞ্চলে জন্মানো বাহারি প্রজাতি

তথ্যসূত্র:

১. এম এ হাসান (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস”  আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ১১ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা  ৩৭২-৩৭৩। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

২. Kumar, V. and Subramaniam,, B. 1986 Chromosome Atlas of Flowering Plants of the Indian Subcontinent. Vol.1. Dicotyledons Botanical Survey of India, Calcutta. 464 pp.  

৩. এম এ হাসান  প্রাগুক্ত, প. ৩৭৩-৩৭৪।

বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিপিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: GTBacchus

Leave a Comment

error: Content is protected !!