রক্সবার্গের শিয়াল বুকা বিরল প্রজাতির গুল্ম

রক্সবার্গের শিয়াল বুকা

বৈজ্ঞানিক নাম: Antidesma roxburghii Wall. ex Tulasne, Ann. Sci. Nat. Ser. 3, 15: 234 (1851).. সমনাম: জানা নেই. ইংরেজি নাম: জানা নেই. স্থানীয় নাম: রক্সবার্গের শিয়াল বুকা।
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae, বিভাগ: Angiosperms. অবিন্যাসিত: Eudicots. অবিন্যাসিত: Rosids. বর্গ: Malpighiales. পরিবার: Phyllanthaceae. গণ: Antidesma প্রজাতি: Antidesma roxburghii.

ভূমিকা: রক্সবার্গের শিয়াল বুকা (বৈজ্ঞানিক নাম: Antidesma roxburghii) Antidesma গণের Phyllanthaceae পরিবারের গুল্ম। এই প্রজাতিটি সিলেট জেলায় জন্মে। এটি অনেক ভেষজ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

রক্সবার্গের শিয়াল বুকা-এর বর্ণনা:

এটি গুল্ম আকারের প্রজাতি। প্রায় ৩ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। তরুণ শাখা ও পত্র ঘন মরচে রোমশ। পত্র ৮-২৫ x ৪-১০ সেমি, বিডিম্বাকার, ৬ বিডিম্বাকার-দীর্ঘায়ত বা বিডিম্বাকার-উপবৃত্তাকার, শীর্ষ লেজ আকৃতি থেকে দীর্ঘা, মূলীয় অংশ গোলাকার, কর্তিতাগ্র বা তাম্বুলাকার, অখন্ড, অর্ধচর্মবৎ, রোমশ, পার্শ্বীয় শিরা প্রতি অর্ধাংশে ৮-১০ টি, প্রসারিত, পত্রক অক্ষ শক্ত, বৃতি ঘন, রোমশবৃত, বৃন্ত ৪ মিমি লম্বা, উপপত্র, রৈখিকচতি বল্লাকার, স্থায়ী।

পুষ্পবিন্যাস স্পাইক, ৫-১৫ সেমি লম্বা, দন্ড শক্ত ঘন, কখনও অর্ধ প্যানিকেল সদৃশ। পুষ্প সবুজাভ, সহপত্রী, মঞ্জরীপত্র প্রতিপুষ্পে ১টি, ক্ষুদ্র। পুংপুষ্প: বৃতি পর ৩-৪ খন্ডিত, প্রান্তআচ্ছাদী অতিরোমশ, পাপড়ি অনুপস্থিত, চাকতি বালিশ আকৃতি, রোমশ বিহীন, পুংকেশর ৩-৪ টি, পুংদন্ড মুক্ত, পরাগধানী মুকুল অবস্থায় বহির্মুখী, সর্বমুখ, অনুদৈর্ঘ্য বিদারী, বন্ধ্যা গর্ভকেশর অর্ধগোলাকার। স্ত্রী পুষ্প: বৃতিখন্ড ৩-৪ টি, রোমশ, গর্ভাশয় ১-প্রকোষ্ঠী, ঋজু, ক্ষুদ্র ঘন কোমল রোমাবৃত, ডিম্বক ২ টি, গর্ভদন্ড অতিশয় খাটো, গর্ভমুন্ড শীর্ষীয়। ফল ০.৫-০.৮ সেমি লম্বা, অর্ধবৃন্ত ডিম্বাকার থেকে উপবৃত্তাকার, অর্ধ-চাপা, উজ্জ্বল লাল। বীজ কেরাঙ্কল যুক্ত, বীজপত্র প্রশস্ত, চ্যাপ্টা।

আবাসস্থল ও চাষাবাদ: এই প্রজাতিটি পর্ণমোচী ও মরু অঞ্চলের অরণ্যে জন্মে। ফুল ও ফল ধারণ সময় এপ্রিল থেকে অক্টোবর মাস। বীজ থেকে নতুন চারা জন্মায়।

বিস্তৃতি: ভারতসহ বাংলাদেশের সিলেট জেলা থেকে নথিভুক্ত (Hooker, 1887; Kanjilal et al., 1940)।

আরো পড়ুন:  বরুণ গাছ, পাতা, ফুলের নানাবিধ ভেষজ গুণাগুণ

অন্যান্য তথ্য:

বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের  ৭ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) রক্সবার্গের শিয়াল বুকা প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, আবাসস্থল ধ্বংসের কারণে বাংলাদেশে এটি বিরল প্রজাতি হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশে রক্সবার্গের শিয়াল বুকা সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে উদ্ভিদ প্রজাতিটির অবস্থান নির্দেশ জরুরি এবং তা সম্ভব হলে আবাস স্থল সুরক্ষা সহ যথাস্থানে ও যথাস্থানে বাইরে সংরক্ষণের প্রয়োজন।

তথ্যসূত্র ও টীকা:

১. এম অলিউর রহমান (আগস্ট ২০১০) “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। খন্ড ৭ম, পৃষ্ঠা ৩৯৯। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি powo.science.kew.org থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Dipankar Borah

Leave a Comment

error: Content is protected !!