পাহাড়ি বিছুটি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ভেষজ গুল্ম

গুল্ম

পাহাড়ি বিছুটি

বৈজ্ঞানিক নাম: Cnesmone javanica Blume, Bijdr.: 630 (1825). সমনাম: Tragia hastata Reinw. ex Hassk. (1868). স্থানীয় নাম: পাহাড়ি বিছুটি।
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae – Plants অবিন্যসিত: Angiosperms অবিন্যসিত: Eudicots বর্গ: Malpighiales পরিবার: Euphorbiaceae গণ: Cnesmone প্রজাতি: Cnesmone javanica

ভূমিকা:  পাহাড়ি বিছুটি (বৈজ্ঞানিক নাম: Cnesmone javanica) চিরহরিৎ পেঁচানো গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। বাংলাদেশের বনাঞ্চলে জন্মে।

পাহাড়ি বিছুটি-এর বর্ণনা:

বৃহৎ, চিরহরিৎ পেঁচানো অতিরোমশ গুল্ম। পত্র একান্তর, ৮-১২ x ৪-৭ সেমি, দীর্ঘায়ত থেকে বিডিম্বাকার, মূলীয় অংশ তাম্বুলাকার, শীর্ষ দীর্ঘা, দস্তুর, উভয় পৃষ্ঠ ঘন ক্ষুদ্র কোমল রোমাবৃত, পার্শ্বীয় শিরা প্রতি পার্শ্বে ৪-৬ টি, বৃন্ত ১.২-৫.০ সেমি লম্বা, উপপত্র প্রশস্ত ডিম্বাকার, সূক্ষ্মাগ্র, স্থায়ী, সহপত্রী।

পুষ্প সবুজাভ, দলহীন, একলিঙ্গ, শীর্ষীয় বা পত্রের বিপরীত মুখী রেসিম মঞ্জরীতে বিন্যস্ত। পুংপুষ্প ওপরে এবং স্ত্রীপুষ্প নিচে জন্মে, মঞ্জরীপত্রিকা ২টি, সবৃন্তক।

পুংপুষ্প: বৃতি গোলাকার, খন্ড ৩টি, প্রান্তস্পর্শী, পুংকেশর ৩টি, বৃতি খন্ডের সাথে একান্তর, পুংদন্ড মুক্ত, পরাগধানী পৃষ্ঠলগ্ন। স্ত্রী পুষ্প: বৃহৎ, অর্ধবৃন্তক, বৃত্যংশ ৩টি, মখমল। সদৃশ, গর্ভাশয় ৩ কোষী, কন্টক রোমী, প্রতিকোষে ডিম্বক ১টি, গর্ভমুন্ড ৩ খন্ডিত।

ফল ক্যাপসিউল, হীরকাকার-ডিম্বাকার, অখন্ড বা গোলাকার দন্তযুক্ত, কন্টকরোমী, কক্কি ২ কপাটিকা যুক্ত, বীজ গোলাকার, বহিস্তৃক বহু বর্ণে চিত্রবিচিত্রিত।

আবাসস্থল ও বংশ বিস্তার:

এই গুল্ম অরণ্যে জন্মে। ফুল ও ফল ধারণ সময়কাল এপ্রিল থেকে আগস্ট।

পাহাড়ি বিছুটি-এর বিস্তৃতি:

ভারত, মায়ানমার ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া। বাংলাদেশের ঢাকা ও সিলেট জেলায় জন্মে (Datta and | Mitra, 1953; Alam, 1988)।

অন্যান্য তথ্য:

বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ৭ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) পাহাড়ি বিছুটি প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, আবাসস্থল ধ্বংসের কারণে বাংলাদেশে এটি সংকটাপন্ন হিসেবে বিবেচিত।

বাংলাদেশে পাহাড়ি বিছুটি সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে মাঠপর্যায়ে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে উদ্ভিদ প্রজাতিটির বর্তমান অবস্থা জানা আবশ্যক এবং আবাসস্থল সুরক্ষার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ আশু প্রয়োজন।

আরো পড়ুন:  কুঁচ দক্ষিণ এশিয়ার ভেষজ গুণ সম্পন্ন লতানো উদ্ভিদ

তথ্যসূত্র:

১. বুশরা খান (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ৭ম (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৪১৭-৪১৮। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

Leave a Comment

error: Content is protected !!