বেগুনি শালপানি বা শালপর্ণী এশিয়ায় জন্মানো ভেষজ গুল্ম

বেগুনি শালপানি

বৈজ্ঞানিক নাম: Desmodium gangeticum (L.) DC., Prodr. 2: 327 (1825). সমনাম: Desmodium gangeticum (L.) DC. var. maculatum (L.) Baker (1876), Hedysarum gangeticum L. (1753), Desmodium maculatum L. (1753), Meibomia gangetica (L.) O. Kuntze (1891). ইংরেজি নাম: জানা নেই। স্থানীয় নাম: শালপানি, চালানি।
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস 
জগৎ/রাজ্য: Plantae. বিভাগ: Angiosperms. অবিন্যাসিত: Edicots. বর্গ: Fabales. পরিবার: Fabaceae. গণ: Dalbergia প্রজাতির নাম: Dalbergia lanceolaria

ভূমিকা: বেগুনি শালপানি বা বেগুনি শালপর্ণী (বৈজ্ঞানিক নাম: Desmodium gangeticum) এক প্রকারের ভেষজ বৃক্ষ। শোভা বর্ধনের জন্য লাগানো হয়।

শালপানি-এর বর্ণনা:

বেগুনি শালপানি ছোট গুল্ম, ৬০-১২০ সেমি উঁচু। কাণ্ড কাষ্ঠল, সামান্য কোণাকার, উপরের দিক খর্বকার ধূসর লোম দ্বারা আবৃত। পত্র ১-ফলক, পত্রক আয়তাকার, সাধারণত ৩-৬টি, গোড়া গোলাকার, একটি সূক্ষ্মাগ্র বিন্দুতে ক্রমে চিকন, নিচের পৃষ্ঠ ধূসর রোম দ্বারা হালকাভাবে আবৃত, পত্রবৃন্ত ১.৫-২.৫ সেমি লম্বা।

পুষ্পবিন্যাস রেসিম, প্রচুর, আরোহী, পার্শ্বীয় এবং প্রান্তীয়, অর্ধশিথিল, ১৫-২০ সেমি লম্বা, সরল অথবা নিচের অংশে কিছু খর্বকার আরোহী শাখাযুক্ত, পুষ্পবৃন্তিকা ৪-৮ মিমি লম্বা, আরোহী, মঞ্জরীপত্র অতি সূক্ষ্ম, শক্ত ক্ষুদ্র রোমযুক্ত। বৃতি প্রায় ৩ মিমি লম্বা, লোমশ, দন্তক বল্লমাকার। দলমণ্ডল ৩-৬ মিমি লম্বা। ফল একটি পড, কাস্তে আকৃতি, সংযুক্তি ৬-৮ টি, মসৃণ অথবা সামান্য আংটা সদৃশ রোম দ্বারা আবৃত।

ক্রোমোসোম সংখ্যা: ২ = 22 (Fedorov, 1969)।

আবাসস্থল ও বংশবিস্তার:

বেগুনি শালপানি ছায়াযুক্ত স্থানে বড় গাছের নিচে ছোট গাছ হিসেবে জন্মে।  ফুল ও ফল ধারণ সময়কাল এপ্রিল-নভেম্বর। বীজ থেকে নতুন চারা জন্মে।

শালপানি-এর বিস্তৃতি:

ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, মায়ানমার, তাইওয়ান, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, গ্রীষ্মমন্ডলীয় আফ্রিকা এবং চীন। বাংলাদেশের ইহা সর্বত্র বিরাজমান।

অন্যান্য তথ্য:

বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ৮ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) বেগুনি শালপানি প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, উদ্ভিদের আবাসস্থান ধবংসের কারণ বাংলাদেশে এটি সংকটাপন্ন হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশে শানপানি সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটি রক্ষার জন্য ইন-সিটু এবং এক্স-সিটু পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।

আরো পড়ুন:  দামেস্ক গোলাপ-এর গুণাগুণ, উপকারিতা ও প্রয়োগ

তথ্যসূত্র:

১. এ টি এম নাদেরুজ্জামান (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ৮ম (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৭৪। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিমিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Dinesh Valke

2 thoughts on “বেগুনি শালপানি বা শালপর্ণী এশিয়ায় জন্মানো ভেষজ গুল্ম”

  1. শালপানী বৃক্ষও না গুল্মও না।। আগে সঠিক জ্ঞান অর্জন করুন।।

    Reply
    • পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এটা ছোট গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এই নিবন্ধে যে তথ্যসূত্র ব্যবহৃত হয়েছে সেটা খেয়াল করবেন।

      Reply

Leave a Comment

error: Content is protected !!