ভূমিকা: উলুচা (বৈজ্ঞানিক নাম: Desmodium triquetrum) প্রজাতিটির গ্রীষ্মমন্ডলী অঞ্চলে জন্মে। বাংলাদেশের পাহাড়িঞ্চলে জন্মে। এই প্রজাতি ভেষজ চিকিৎসায় কাজে লাগে।
উলুচা-এর বর্ণনা:
উলুচা গুল্ম জাতীয়। এদের শাখা ত্রিকোণাকার এবং শীঘ্রই প্রায় মসৃণে পরিণত হয়। পত্রক ডিম্বাকার বা বল্লমাকার, সূক্ষ্মাগ্র, দৃঢ়ভাবে প্রায় চর্মবৎ, উপরের পৃষ্ঠ মসৃণ, নিম্নপৃষ্ঠের শিরার উপর রোমযুক্ত, পত্রবৃন্ত ২-৫ সেমি লম্বা, প্রতিপার্শ্বে পক্ষযুক্ত। রেসিম লম্বা, অক্ষীয় ও প্রান্তীয়, পুষ্পবৃত্তিকা উর্ধ্বারোহী।
বৃতি ঘণ্টাকার, উপরের দত্তক ব-দ্বীপ সদৃশ, নিচেরগুলো রেখাকার। ফল পড়, ২-৫ সেমি লম্বা, ৬-৮টি সন্ধিযুক্ত, মসৃণ, সন্ধিগুলো প্রায় বর্গাকার, নিচের সন্ধিরেখা আংশিক খাঁজকাটা।
আবাসস্থল: পাহাড়ী অরণ্য পরিবেশে উলুচা জন্মে। ফুল ও ফল ধারণ সময়কাল প্রায় সারা বছর ধরে। বংশ বিস্তার হয় বীজ দ্বারা।
বিস্তৃতি: ভারত ও মায়ানমার এই প্রজাতিটি দেখা যায়। বাংলাদেশে ইহা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে পাওয়া যায়।
অন্যান্য তথ্য:
বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ৮খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) উলুচা প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এদের আবাসস্থল সীমাবদ্ধ এবং বাংলাদেশে এটি বিরল প্রজাতি হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশে উলুচা সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতির আবাস্থল সংরক্ষণের প্রয়োজন।
তথ্যসূত্র ও টীকা:
১. এ টি এম নাদেরুজ্জামান (আগস্ট ২০১০) “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। খন্ড ৮, পৃষ্ঠা ৮৩-৮৪। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিমিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Dinesh Valke
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।