ঝলক মুরালি শীতপ্রধান অঞ্চলে জন্মানো ভেষজ গুল্ম

ঝলক মুরালি

বৈজ্ঞানিক নাম: Eranthemum splendens Hort., Blumeng. ed. 3, Sieb. & VoSS, 1: 806 (1895). সমনাম: Daedalacanthus splendens T. Anders. (1867). ইংরেজি নাম: জানা নেই. স্থানীয় নাম: ঝলক মুরালি।
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae, বিভাগ: Angiosperms. অবিন্যাসিত: Edicots. অবিন্যাসিত: Asterids. বর্গ: Lamiales. পরিবার: Acanthaceae. গণ: Chromolaena প্রজাতি: Eranthemum splendens.

ভূমিকা: ঝলক মুরালি (বৈজ্ঞানিক নাম: Eranthemum splendens) অ্যাান্থেসিস গণের এ্যারান্থেমাম পরিবারের একটি গুল্ম। এই প্রজাতি শীতপ্রধান অঞ্চলে জন্মে ও ভেষজ কাজে এর ব্যবহার বেশি হয়।

ঝলক মুরালি-এর বর্ণনা:

ঝলক মুরালি গুল্ম। এটি ০.৯-১.৫ মিটার উঁচু, উপরের অংশ রোমশ। পাতা বৃন্তযুক্ত, পত্রবৃন্ত ১০-১৫ মিমি লম্বা, পত্রফলক ৮-১১ X ৩.২-৪.৮ সেমি, ডিম্বাকৃতি বা উপবৃত্তাকৃতি, উভয় প্রান্ত দীর্ঘাঘ্ন, হালকা রোমশ, উভয় পার্শ্ব র‍্যাফাইড যুক্ত সুক্ষ্ম রেখায়িত। স্পাইক ছোট মঞ্জরীদণ্ড বিশিষ্ট। মঞ্জরীপত্র ২.২-২.৫ সেমি লম্বা, সবগুলি। ইমব্রিকেট, ১-পুষ্পবিশিষ্ট, বিডিম্বাকার, গ্রন্থিযুক্ত-রোমশ, সবুজ জালিকাকার শিরাযুক্ত সাদাটে বা বাদামি, মঞ্জরীপত্রিকা ২টি, ৫-১২ মিমি লম্বা, রৈখিক-বল্লমাকার। বৃতি প্রায় ৫ মিমি লম্বা, অর্ধভাবে খন্ডিত, সরু-বল্লমাকার, অণুরোমশ।

দলমণ্ডল প্রায় ৫ সেমি লম্বা, কিঞ্চিৎ বক্র, ইটলাল, খন্ড ১.২ সেমি লম্বা, গোলাকার-উপবৃত্তাকার, পুষ্পে ছড়ানো বা পশ্চাৎমুখীবক্র, বাইরের দিকে রোমশ। পুংকেশর মসৃণ, পরাগধানী বেরিয়ে আসে। গর্ভাশয় প্রায় ২ মিমি লম্বা, গর্ভদণ্ড প্রায় ৩ সেমি লম্বা, সূত্রকার, মসৃণ। ক্যাপসিউল প্রায় ২.০ x ০.৪ সেমি, পাতলা গ্রন্থিলরোমশ। বীজ ৪ x 8 মিমি, হালকা বাদামি, রোমশ। ক্রোমোসোম সংখ্যা: ২ = ২৪ (Kumar and Subramaniam, 1986)

আবাসস্থল ও চাষাবাদ:

শুকনা জায়গা এই প্রজাতি ভালো জন্মে। এর ফুল ও ফল ধারণ সময়কাল ফেব্রুয়ারি থেকে জুন মাস। বীজ থেকে নতুন চারা জন্মে।

বিস্তৃতি: ভারত (হিমালয়ের সিকিম) । বাংলাদেশে এই প্রজাতিটি সিলেট জেলার জৈন্তাপুর থেকে নথিভূক্ত করা হয়েছে।

অন্যান্য তথ্য:

বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের  ৬ষ্ঠ খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) ঝলক মুরালি প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এদের আবাসস্থল ধ্বংসের কারণে বাংলাদেশে এটি সংকটাপন্ন হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশে ঝলক মুরালি সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটি সংরক্ষণের এক্স-সিটু পদ্ধতিতে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।

আরো পড়ুন:  উলুচা বাংলাদেশের পাহাড়ীঞ্চলে জন্মানো গুল্ম

তথ্যসূত্র ও টীকা:

১. মমতাজ বেগম (আগস্ট ২০১০) “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। খন্ড ৬ষ্ঠ, পৃষ্ঠা ২৭। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি iplant.cn থেকে নেওয়া হয়েছে।

Leave a Comment

error: Content is protected !!