চারচারা পার্বত্যঞ্চলে জন্মানো গুল্ম। দক্ষিণ এশিয়ার দেশে এই প্রজাতি জন্মে। এর ভেষজ গুণাগুণ আছে। তবে সেটা নথিবদ্ধ করা হয় নি।
চারচারা-এর বর্ণনা:
চারচারা কাষ্ঠল ও ত্রিকোণাকার শাখা সমেত উঁচু গুল্ম। এটি দৃঢ় শুষ্ক ঝিল্লিময়। পত্রক ১০-১৫ সেমি লম্বা, আয়তাকার, অর্ধ- চর্মবৎ, উভয় প্রান্তে ক্রমশঃ সরু, উপরের পৃষ্ঠ মসৃণ ও রোমহীন, নিচের পৃষ্ঠে শিরার উপর কেবল অল্প ছোট অস্পষ্ট রোম বিদ্যমান, পত্রবৃন্ত ১০-১৫ সেমি লম্বা, ত্রিকোণাকার, গভীরভাবে খাঁজযুক্ত, পক্ষযুক্ত নয়। রেসিম ঘন, আয়তাকার, বেলনাকার, প্রায়ই গুচ্ছাকারে সজ্জিত, মঞ্জুরীপত্র রেখাকার, নিচের মঞ্জরীপত্র অন্যগুলো অপেক্ষা বৃহৎ এবং প্রায় স্থায়ী, উপরের গুলো দৃঢ়ভাবে শুষ্ক ঝিল্লিময়, রেখাকার, অল্প রেশমি, পুষ্প প্রসারিত হবার পূর্বে ঘনভাবে ইম্ব্রিকেটেড, পুষ্পবৃত্তিকা অত্যন্ত খাটো। বৃতি ৫-১০ মিমি লম্বা, দন্তক রেখাকার, সর্বাপেক্ষা নিচেরটি অন্যগুলোর তুলনায় দৈর্ঘ্যে দ্বিগুণ। দলমণ্ডল নিচের দন্তকের সমান, ধ্বজকীয় পাপড়ি অন্যগুলো অপেক্ষা অধিকতর লম্বা। ফল পড়, প্রায় মসৃণ। ক্রোমোসোম সংখ্যা: জানা নেই।
আবাসস্থল : অরণ্য ও পাহাড়ী এলাকা। ফুল ও ফল ধরে মার্চ থেকে জুন মাসে। বীজ থেকে চারা জন্মে।
বিস্তৃতি: ভারত, মায়ানমার, ভুটান এবং চীন। বাংলাদেশে ইহা সিলেট, চট্টগ্রাম জেলা ও পার্বত্য চট্টগ্রামে পাওয়া যায় ।
অন্যান্য তথ্য:
বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ৮ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) চারচারা প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশে এটি আশঙ্কামুক্ত হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশে চারচারা সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটি সংরক্ষণ করা প্রয়োজন নেই।[১]
তথ্যসূত্র:
১. এ টি এম নাদেরুজ্জামান (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ৮ম (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ১০২। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি flowersofindia.net থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Manoranjan Paramanik
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।