ভূমিকা: জিঞ্জিবার (গণের বৈজ্ঞানিক নাম: Zingiber) জিঞ্জিবারাসি বা আদা পরিবারের একটি গণের নাম। এই গণের প্রজাতিগুলো রাইজোমসমৃদ্ধ বীরুৎ।
বর্ণনা: জিঞ্জিবার গণের উদ্ভিদসমূহ পত্রল-কান্ড সাধারণতঃ অনেক পাতা সমৃদ্ধ। পুষ্পবিন্যাস সাধারণত মূলজ, মাঝে মাঝে পত্রল কান্ডের মাথায়। মঞ্জরীপত্র সাধারণত প্রান্ত-আচ্ছাদি, প্রতিটি একটি ফুল ধারণ করে, উপ-মঞ্জরীপত্র গোড়া পর্যন্ত খোলা। বৃতি নলাকার বা চমসাকার, ৩-দস্তুর। দলনল প্রায় মঞ্জরীপত্রের সমান, খন্ড ল্যান্সাকার। পাশের খন্ড দুইটি আংশিক পরস্পরের সঙ্গে ও লেবেলামের সঙ্গে সংযুক্ত। পার্শ্ব ষ্টেমিনোড লেবেলামের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে একটি ৩-খন্ড আকার ধারণ করে, মাঝে মাঝে অনুপস্থিত। পুংদন্ড খাটো এবং চওড়া, পরাগধানী কোষ সংলগ্ন, সংযোজক উপরের দিকে ঠোটের মত প্রায় পরাগধানী সমান উঠে থাকে, যা বাকা পুংদন্ডের উপরের অংশকে আবৃত করে রাখে। গর্ভাশয় ৩-প্রকোষ্ঠী, ডিম্বক অনেক, গর্ভমূন্ড খুব কম ক্ষেত্রেই গর্ভদন্ডের চেয়ে চওড়া হয়। ফল আয়তাকার বা গোলাকার, বিদারী। বীজ উপবৃত্তাকার, এরিলযুক্ত।
বাংলাদেশে জিঞ্জিবার গণে আছে ছয়টি প্রজাতি এবং সেগুলো হচ্ছে ১. জংলি আদা ২. মুর আদা ৩. আদা ৪. মালায়াঞ্চি (কেরালা) ৫. বাংলা আদা এবং ৬. একাঙ্গী বা মহা-বরি বচ আদা।
তথ্যসূত্র:
১. মোহাম্মদ ইউসুফ, (আগস্ট ২০১০)। অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ১২ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৪৮৯-৪৯০। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।